শুনো সকল ভক্তগনে একদিন হরিঠাকুরের এক আশ্চর্য্য ঘটনা। বিশ্বনাথ নামেতে ছিল এক রাখাল। সর্বক্ষণ ঠাকুরের সাথে রয় একসঙ্গে খেলে আর গরুর পাল চরায়। ঠাকুর বিশ্বনাথে বাসিত ভাল নিজ আত্মা সম তারে। একদিন সকল রাখাল এলো কিন্ত বিশ্বনাথে নয় কারন বাধা পড়ল দৈবের নির্ব্বন্ধনে। ঠাকুর বলেন সকল সখাগনে এলি তোরা গোষ্ঠ গোচারণে কিন্ত বিশে কোনখানে। তখন রাখাল নাটু কহে ওহে হরি কি কহিব আর আসিলাম বলিতে বিশের সমাচার। বিশের হয়েছে রাত্রে বিসূচিকা ব্যাধি। বিশে মৃতপ্রায় সবাই করতাছে কাঁদাকাঁদি। তখন ঠাকুর বললেন নিদানের কর্ত্তা আমি। তখন নাটুকে সাথে লয়ে চলিল বিশার বাড়ি, হেনকালে বিশ্বনাথ অজ্ঞান হইল। বিশার হয়েছে মৃত্যুর লক্ষন,ঘনশ্বাস বইছে তার উত্তার নয়ন। বিশার জ্ঞাতি, বন্ধু সবাই বলছে বাহিরে নিয়া করো অন্তর্জ্জলি। হেনকালে প্রভু নাটু সঙ্গে তাড়াতাড়ি,উঠিতেছে হরিচাঁদ বিশেদের বাড়ি। বিশের মা কাঁদিতেছে পথ আগলিয়া বলছে ঠাকুরকে, ছেড়ে যায় আজ তোর বিশ্বনাথে। আর কি করিবি খেলা লয়ে বিশ্বনাথে,বলে হরি আইলাম বিশারে কিনিতে। ঠাকুর বলে বিশে শীঘ্র উঠে আয়, চলে যায় রাখালিয়া খেলার সময়, খেলা ছেড়ে কেনবা রইলি অন্তর্জ্জলে। অন্তর্জ্জলে তোরে দেখে মোর অন্তর জ্বলে, এই বলি হাত ধরি ঠাকুর বিশারে তুলিল। নিদ্রাভেঙ্গে যেন বিশে গোষ্ঠেতে চলিল। বিশ্বনাথ গোঠে গেল ঠাকুরের সাথে, সকল রাখাল মন্ডলে গিয়া খেলা করে রঙ্গে। উঠিল মঙ্গলরোল জুড়িয়া পৃথিবীতে। বালক,বৃদ্ধ,যুবক সবে করে জয় জয় ধ্বনি। কেহ বলে রামকান্ত দিয়াছিল বর, এ ছেলে মানুষ নয় ব্রহ্ম পরাৎপর। আবার কেউ বলে যশোমন্ত অতি নিষ্ঠানর, তার পূণ্যে হলো কোন দেব অবতার।
তথ্য সংগ্রহঃ শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত।
বিদ্রঃ ভুল-ক্রটি ক্ষমা করবেন
No comments:
Post a Comment