শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
(সংলাপ), জিজ্ঞাসা-৪ - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    (সংলাপ), জিজ্ঞাসা-৪

     

    প্রসঙ্গ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের হস্ত লিখিত পাণ্ডুলিপিঃ
    আমরা সকলেই জানি যে, শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের মূল পাণ্ডুলিপি প্রেস থেকে হারিয়ে গিয়েছিল বা নষ্ট করে ফেলা হয়েছিল। এই বিষয়েই কিছু প্রশ্ন আছে আমার মনে। যদি মতুয়া বিজ্ঞজন মনের বিবাদ ভঞ্জন করেন তবে কৃতার্থ হব।
    ১~ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের হস্ত লিখিত পাণ্ডুলিপি কয় কপি করা হয়েছিল? 
    ~ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের পরিশিষ্ট খণ্ডের ভক্তগণ প্রমত্ত (প্রথম সংস্করণ) অনুসারে অন্তত পাঁচ কপি হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি করা হয়েছিল। মূল খণ্ড শ্রীমৎ তারক গোঁসাইয়ের লেখা। বাকি চার কপি হরিবর সরকারের কাকাত বা জ্যাঠাত ভাই যাদব লিখিত। 
    এই প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের ভক্তগণ প্রমত্ত অনুচ্ছেদ থেকে কিছু লেখা তুলে দিচ্ছি।

    "দুই যাদবের এই রচনার প্রীতি।
    সকৌতুকে পরিশ্রম করিয়াছে অতি।।
    যাদব বিশ্বাস হয় এ গ্রন্থ লেখক।
    মল্লিক লেখায় তারে হইয়া পাঠক।।
    লেখক যাদব ইনি পর উপকারী।
    বহুদিন লেখে গ্রন্থ কার্য ত্যাগ করি।।"
    --------------------------------------------
    --------------------------------------------
    --------------------------------------------
    "এইরূপ শুদ্ধ শান্ত পুরুষ রতন।
    এই রচনার তার বড়ই যতন।।
    এ গ্রন্থ লেখার কালে মোকর্দ্দমা ছিল।
    টাকা জন্য বাড়ি যাবে তারকে জানাল।।
    তারক বলিল ধর এই টাকা লও।
    ফিরায়ে নিব না টাকা অদ্য হেথা রও।।
    শুনিয়া যাদব অধোবদনে রহিল।
    বাক্য নাহি অশ্রুজলে ভাসিতে লাগিল।।
    অর্থ দিবে এই ভয় লুকাইয়া গেল।
    যাদব মল্লিক গিয়া খুঁজিয়া ধরিল।।
    বলে এই ভাগবত করিব লিখন।
    কর্তা মোরে অর্থ সাধে কিসের কারণ।।"
    ---------------------------------------
    ---------------------------------------
    ---------------------------------------
    "হরিবর সরকার পূর্বেতে লিখিত।
    লেখক যাদব হন তস্যবংশ জাত।।
    হরিবর যাদবের হন খুল্লতাত।
    পুনর্বার এই গ্রন্থ তার করাঙ্কিত।।
    বর্ণাশুদ্ধি সংশোধক এই হরিবর।
    বহু পরিশ্রম করি লিখে চারিবার।।"

    উদ্ধৃতির এই অংশ থেকে এটা নিশ্চিত করে বলা হয় শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের হস্ত লিখিত পাণ্ডুলিপি অন্ততপক্ষে পাঁচ কপি হয়েছিল।
    ২~ যদি পাঁচ কপি হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি করা হয়ে থাকে, তবে প্রেসে কয় কপি দেওয়া হয়েছিল। বড়জোর দুই কপি। তারক চন্দ্রের লেখা কপি এবং অন্য এক কপি। প্রশ্ন হল বাকী অন্তত তিন কপি কোথায় এবং কার কাছে? কোথায় গেল এই তিন কপি?
    ৩~ এই গ্রন্থ লেখার সময় মোকর্দ্দমা ছিল। সেই মামলা কি বিষয়ে ছিল। এই গ্রন্থ বিষয়ে নাকি অন্য কোন বিষয়ে?
    ৪~ এইসব গ্রন্থ লেখা হয়েছিল তারক চন্দ্র বেঁচে থাকতেই, কারণ গ্রন্থ লেখা বা কপি করার জন্য তারক সরকার যাদবকে টাকা দিয়েছিল নিজে। এর মানে প্রেসের প্রসঙ্গ তুলে লীলামৃত বিকৃত করার যে কথা বলা হয়ে থাকে এই পাঁচ কপি সম্পূর্ণভাবে বিকৃত মুক্ত। এই লীলামৃত গুলোর সন্ধান করা উচিত নয় কি?
    ৫~ মতুয়া গবেষকদের প্রতি নিবেদন বিকৃতপূর্ব এই পাঁচ কপি শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের সন্ধান করুন। আমার বিশ্বাস এর কোন এক কপি পাওয়া যাবে।
    হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.