শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান নংঃ ১১১-১৩০ - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান নংঃ ১১১-১৩০

    গান নংঃ ১১১-১৩০


    ১১১নং তাল - গড়খেমটা
    যে দিন গুরু কৃপা করেছে,
    আমার ভ্রান্তি মসিতম নিশিসেই দিন সুপ্রভাত হয়েছে
    আমার হৃদাকাশে চিদানন্দরবি উদয় হয়েছে।।
    হেরে আনন্দ ভাষ্করভয় পেয়ে ছয় রিপু তস্কর,
    ভেবে তারা বিষম দুষ্করহারে পলায়ে গিয়াছে,
    আমার হৃদ সরোজেশান্তিময়ী পুষ্কর বিকাশ হয়েছে।।
    পূর্ব্বাহ্ন কি সায়হ্নআমার সব ঘুচে হল মধ্যাহ্ন,
    শ্রীগুরুর কৃপা ধন্যসন্ধ্যাকে বন্ধ্যা করেছে,
    তাইতে না পেলাম ঠিকসন্ধ্যা আহ্নিকআত্মা তম্ময় হয়েছে।।
    পোহাল তমঃ নিশিঅনুরাগ এক সিংহ আমি,
    চিত্ত গিরি শৃঙ্গে বসিহারে সে হুষ্কার করতেছে,
    আমার কাম ক্রোধরূপহস্তী শার্দ্দুলভয়ে পলায়ে গিছে।।
    হেরে সেই রূপের আলোনিরানন্দ উলুক লুকাইল,
    জ্ঞান আত্মার মত্ততা গেলজ্ঞান শূন্য বিরাগ এসেছে,
    তারা আলোক পেয়েপুলক হয়ে দোহে নৃত্য করতেছে।।
    দয়াল মহানন্দ কয়আমার হরি সূর্য্য হল উদয়;
    কু-আশা কুতম লুকায়জীবের আর ভাবনা কি আছে;
    ভেবে অশ্বিনী কয় হরি বিনেভবে বন্ধু কে আছে।।
     
    ১১২নং তাল - আদ্দা
    গুরু পতির বসে বামে
    ও তোর এ দেহ দক্ষিণা দিয়েযেও না দক্ষিণাশ্রমে।।
    গুরু সন্তোষ অন্তঃপুরেবসে থাক মন জ্যোতির ঘরে,
    তবে ঐহিকে পর পুরুষ তোরেছোবেনা মন কোনক্রমে।।
    গুরু শাসন শাশুড়ীর পায়ভক্তি রেখ রে মন সদায়;
    তবে বধুভাব হইবে উদয়থাকবিরে মন শান্তিধামে।।
    গুরুচিন্তা শঙ্খ শাড়ীসাধ করে মন ধারণ করি,
    গুরুকৃপা শয্যায় শয়ন করিমজে থাক মন গুরুর প্রেমে।।
    গুরু প্রতি করলে রমণপুত্র হবে মনের মতন,
    ও তোর অনুরাগ হইবে নন্দনকন্যা হবে ভক্তি নামে।।
    তারক চাঁদের বাক্য ধরগুরু পতির কারণ কর,
    স্বামী মহানন্দের দয়া বড়অশ্বিনী কেন ডুবলি ভ্রমে।।
     
    ১১৩নং তাল - একতালা
    হরিচাঁদ প্রেমের আগুণ লাগল গায়
    আমার হৃদ কাননেআগুণ লেগেধর্ম্ম মন্দির দগ্ধ হয়।।
    মন্দিরে পুণ্য ধন ছিলও তা পুড়ে ছাই হল,
    আমার সাধন ভজনগিল্টির গহনাসব পুড়ে গেল;
    আমার ঘৃণা আসন লজ্জা বসন গো,
    এক কালে পুড়ে হল ভষ্মময়।।
    অনলের সহায় মন পবনপ্রেম ঘৃত ঢালছে গুরু ধন,
    আমার হিংসা নিন্দামহিষ গন্ডারমল অগনণ,
    ও সে কাম বাঘিনী ত্যজল জীবন গো
    ক্রোধ গজ পুড়ে ধরনী লোটায়।।
    কুলমান পড়সী যারাদেশ ছেড়ে পলাল তারা,
    আমার মুক্তিবাগেআগুন লেগেপুড়ে হয় সারা,
    আমার যোগ নিদ্রাবিমাতা ছিল গো,
    অষ্টপাশ ছেড়ে মাপালায়ে যায়।।
    প্রতিষ্ঠা ভগিনী ছিল মোরঅনল দেখে সে করে সোর,
    আমার প্রেমের আগুণনিবাইতে করল বহু জোর,
    ও তার পূড়ে গেলমান্য বাসর গো,
    তাই দেখে বিবেকভাই নেচে বেড়ায়।।
    অনলের তরঙ্গ দেখেতারকচাঁদ বলেছে ডেকে,
    ও তোর জীবন যৌবন আহুরি দেকাজ কি প্রাণ রেখে;
    গোঁসাই মহানন্দবলছে সুখে গো
    অশ্বিনীর মহাযজ্ঞের সময় যায়।।
     
    ১১৪নং তাল-একতালা
    করেছি মহাযজ্ঞের আয়োজন
    লয়ে যজ্ঞেশ্বরীএস হরিক্ষীরোদশায়ী নীরদবরণ।।
    জ্বালিয়া বিচ্ছেদ হুতাশনএ দেহ কাষ্ঠ সম্মিলন,
    আমার হৃদয় ঘটেচিত্তপটে দিয়াছি আসন,
    আমার ভজন পূজনঅশ্ব দিব গো
    আহুতি দিব এ জীবন যৌবন।।
    করিব পুণ্যক্ষয় যজ্ঞধর্ম্মকে করলেম উৎসর্গ,
    পঞ্চবিধা ভূক্তি মুক্তিদিব তায় অর্ঘ্য,
    আমি বর্গফলআমেশ্বর দিব গো,
    এ যজ্ঞে দিবপ্রতিষ্ঠা চন্দন।।
    এ যজ্ঞের শুন পরিণামসর্ব্বস্ব ত্যাগ সর্ব্বস্ব বাম,
    নাহি স্বর্গ নাহি মর্ত্ত্যফলে নিষ্ফল কাম,
    আমা লক্ষ্মী ভাগ্য যজ্ঞে দিব গো,
    মনেতে করেছি এই আকিঞ্চণ।।
    দশ দশা দশমী দিনেরসে প্রেম গঙ্গা পুলিনে,
    আমি মহাযজ্ঞসঙ্গ করিবযোগাসনে,
    যে দিনব্রহ্মরন্ধ্য যাবে ফেটে গো,
    সেই দিন হবে যজ্ঞ সমাপন।।
    স্বামী মহানন্দ কয়এই দশা ঘটবে যে সময়,
    আমার হরিচাঁদের শীতল কিরণলাগবে তখন গায়,
    ওরে অশ্বিনী তুই হ নিরাশয় গো,
    এ যজ্ঞের ফলে কি তোর প্রয়োজন।।
     
    ১১৫নং তাল-রাণেটী
    (আমার) আর কবে ঘুচিবে গুরুসাধন ভজন পৈশাচ বৃত্তি
    আমার সুখাভিলাষহবে বিনাশগুরুপদে হবে আর্ত্তি।।
    নিষ্কাম বৃক্ষের মূলেতে যাব (হারে) বিচ্ছেদ অগ্নিকুন্ড জ্বেলে বসিয়া রব
    (আমি) চিন্তাভষ্ম গায় মাখিব(ও গুরু আমি) কাঁদব বলে গুরুপতি।।
    ধর্ম পূণ্য হবে বিসর্জনকবে হবে গুরুপদে আত্ম সমর্পণ
    আমার জ্ঞান পুত্রের হইবে মরণ(ওরে) ঘটবে প্রেম অবলার রীতি।।
    কবে আমার ঘুচবে শুচি বাইঅঘোর পন্থী হয়ে সদা কাঁদিয়া বেড়াই
    (আমি) সন্ধ্যার মুখে মাখিয়া ছাই(ও কবে) মধ্যাহ্নকে করব স্থিতি।।
    কবে আমার ঘুচবে আমিত্বগুরুর পদে মন মজাইয়ে করিব নৃত্য
    (আমি) হব গুরুর অনুগত(আমার) জ্বলবে হৃদয় বিচ্ছেদ বাতি।।
    দয়াল মহানন্দ আনন্দ রবিকবে হৃদয় উদয় হবে (আমি) বসে তাই ভাবি
    গোঁসাই তারকচাঁদ কয়দেখতে পাবি (ওরে) অশ্বিনী হ’ ছন্নমতি।।
     
    ১১৬নং তাল-গড়খেমটা
    আমায় কি সপ্ন দেখালেগুরু স্বপ্ন দেখালে
    আমার সর্ব্বস্ব ধন,করে হরণআজ আমার দেউলা নাম লেখায়ে দিলে।।
    আমার দেহ জমিরাজ্য ভূমিবাকীর দায় নিলাম করিলে,
    আমার বাস্তু বাড়ীনিলে কাড়িআজ আমায় চিন্তা কান্থা গলায় দিলে।।
    আমার সাধন ভজনভ্রাতা দুজন রাজ্য হতে তাড়িয়ে দিলে,
    আমার পুণ্য অর্থছিল যতআজ হতে খাস বাজারে লুঠাইলে।।
    আমার সুখ সুন্দরীবিলাস নারীছিলাম যাহার মায়ায় ভুলে,
    আমার দুঃখের ভরাদেখে তারাসেও আমাকে গেল ফেলে।।
    আমার শুচি মাতাআচার পিতাচিরকাল যার ছিলাম কোলে,
    আমার দশা দেখেমনের দুঃখেতারা আমায় ফেল্ল ঠেলে।।
    বলে গোঁসাই মহানন্দঅশ্বিনী তুই অবোধ ছেলে,
    যারে মাতা ছাড়েপিতা ছাড়েঅন্তিমে হরিচাঁদ তারে করে কোলে।।
     
    ১১৭নং তাল - একতালা
    হরিচাঁদ দৃষ্টি ভূতেভুতে পেল যারে
    কি অদ্ভূদ সেই ভূতের দৃষ্টিরে,
    পঞ্চ ভূতের দফা সারে হারে কর্ম্ম সারে।।
    নাই তার গুরু জনার ভয়কণ প্রলাপ বাক্য কয়,
    কখন হাসে কখন কাঁদেকখন ধূলায় গড়ি যায়,
    কখন বীরাচারেহুঙ্কার ছাড়েরে,
    কখন করুণ স্বরে রোদন করেকত রোদন করে।।
    নিরাশ্রয় ছাড়া ভিটায় রয়নাই তার ঘৃণা লজ্জার ভয়,
    আহার বিহার পরেজীবের লাগে ভয়,
    ও তার লস্ফ ঝম্পদেখলে পরে,
    কত গৃহবাসী গৃহ ছাড়েহারে গৃহ ছাড়ে।।
    ভৈরবী ভৈরব রবেকি যেন বলে কি ভেবে,
    সে ভারতী বুঝতে শক্তিধরে কি সবেও তা বুঝলে,
    পরেকর্ম্ম সারেঅমনি দৃষ্টি ভূতে ধরে তারেহারে ধরে তারে।।
    দৃষ্টি রোগের নাহিকবিধানআয়ুর্ব্বেদ খুজিলে নিদান,
    তন্ত্রে মন্ত্রে সারে না রোগহল বৈদ্য হতজ্ঞানকত ওঝা
    বৈদ্য হল হদ্দদৃষ্টি রোগ না সারতে পারেহারে সারতে পারে।।
    সে রোগের রোগী হীরামণগোলোকচাঁদ মৃত্যুঞ্জয় লোচন,
    যার হয়েছে দৃষ্টিরোগসে আর সারবে না কখন,
    বলে গোঁসাই তারকসে দৃষ্টিরোগ,
    অশ্বিনী তোর ঘটল নারেহারে ঘটল নারে।।
     
    ১১৮নং তাল - একতাল
    হরি প্রেম মদের নেশানেশা যার লেগেছে
    হয়ে মত্ত মাতালহালছে বেহালপ্রেমের মদ খেয়ে,
    সে মেতে গিছেহারে মেতে গিছে।।
    গাঁজা ভাং ধুতরায় কি করেমুষ্টিযোগ দিলে যায় সেরে,
    যার লেগেছেপ্রেমের নেশাও তার অনুক্ষণ বাড়ে,
    ও সে নেশার ঝেঁকে প্রলাপ বকেসাইজি বলে হাই ছাড়তেছেশুধু হাই ছাড়তেছে।।
    প্রেমের নেশার নাই বিরামতিলেক দন্ডে নাই আরাম,
    কখন বলে হরেকৃষ্ণকখন বলে রামও সে নেশার ভরে,
    নৃত্য করেনয়ন জলে ভাসিতেছে হারে ভাসিতেছে।।
    প্রেমের নেশাতে পাগলও সে কেটে ভবের গোল,
    আর কোন বোল নাইরে মুখেকেবল বলছে হরিবোল,
    তার হরির নামেলোমে লোমে সর্ব্ব অঙ্গ জ্বারিতেছেহারে জ্বারিতেছে।।
    প্রেমের নেশাতে অজ্ঞানধর্ম্ম পূণ্য দেয় না স্থান;
    অষ্ট পাশের দফা সারাবেদ বিধি মানবে কেনও তার
    সন্ধ্যা আহ্নিকনাই কোন ঠিকমন মানুষেমিশে গিছে হারে মিশে গিছে।।
    স্বামী মহানন্দ কয়প্রেমের মদ নিবি কে আয়,
    শ্রীগুরুর আনন্দ মেলায়প্রেমের মদ বিকায়,
    বলে তারকচাঁদেবিষয় মদেঅশ্বিনী ভুলে রয়েছে হারে পড়ে পেচে।।
     
    ১১৯নং তাল এক তালা
    আমার জন্ম মৃত্যু দুট অশৌচ পল
    তাইতে পূজা ব্রতহল হত,
    আমার বৈদিক ক্রিয়া বাদ পড়িলহারে বাদ পড়িল।।
    হরি প্রেমে রোগে আক্রমণআমায় করিল যখন,
    ছিল অষ্ট পাশেমা মহামায়াত্যজিল জীবন,
    গুরু কৃপা ক্রমেবিবেক নামে,
    সেই দিনে এক পুত্র হল, হারে পুত্র হল।।
    ঠেকেছি গুরুদশার দায়ভাগ্যে কি যেন কি হয়,
    শৌচ আচার ত্যাজল আমায়লেম অশৌচী আশ্রয়,
    আমায় সাজিয়ে বেহালপথের কাঙ্গালভাবের উত্তরী,
    এক গলায় দিলহারে গলায় দিল।।
    শ্রীহরিপদ পদ্ম গয়ায়শ্রীগুরু পাঠলেন আমায়,
    যোগ মায়া জননীর শ্রাদ্ধ করিবার আশায়,
    আমার সব ঘুচায়ে মন মুড়ায়ে,
    মত পোড়া আউল করিলআউল করিল।।
    কটিতে কটকৌপিন দিয়েঅনুরাগ ডোর তায় পরায়ে,
    নিহেতু এক শিক্ষা শিরেদিল ঝুলায়ে,
    আমায় ভক্তি তিলক ফোঁটা দিয়ে,
    বিনা সূতের মালা দিলহারে মালা দিল।।
    মহানন্দের ভারতিএই রূপে সেজে প্রকৃতি,
    দিবা নিশি সেবা কর শ্রীগুরু পতিঅশ্বিনী তোর
    কি দুর্গতিগুরুর প্রতি রতি না হলহারে মতি না হল।।
     
    ১২০নং তাল-কাশ্মিরী
    কেউ যদি ঢেউ ধরতে পারপ্রেম সরোবরে।।
    অখন্ড ব্রহ্মান্ড সে ঢেউচলে ভেদ করে।।
    ঢেউ লেগেছে যার অন্তরেসে কি ঘরে রইতে পারে,
    ঝাঁপ দিয়ে সেই প্রেম সাগরেআর ফিরে এলনা ঘরে।।
    ঢেউ লেগে কেউ হয়েছে মাতালমাতাইল আকাশ পাতাল,
    জয় করে সেই কাল মহাকালঢেউ দিয়ে জগৎ পাগল করে।।
    দুই এক জনার যোগ ভাগ্যেপাগল হল সেই ঢেউ লেগে,
    তনুজ্বলে অনুরাগেপ্রেমানন্দে নৃত্য করে।।
    ঢেউ লেগে সেই গোলোক পাগলমুখেতে নাই আর কোন রোল,
    জয় হরিবোল গৌর হরিবোলবলে সদায় হুঙ্কার ছাড়ে।।
    মহানন্দ সেই ঢেউ ধরিরেখেছে ঢেউ হৃদয় পুরী,
    মাতাইল পুরুষ নারীঅশ্বিনী তুই মাতলি নারে।।
     
    ১২১নং তাল কাশ্মিরী
    নিদান বন্ধু বটেএই ভবের হাটে
    নিদানে পড়িলে মনে কত ভাব উঠে।।
    নিদান আমার বন্ধু ধরে যারেভোগ বিলাসের দফা সারে,
    সুখ পৈশাচি তাড়িয়ে দূরেদুঃখ সম্পত্তি দেয় গো জুঠে।।
    সুখ পেলে মন রয় না বাটীধরতে চায় সে বিষের বাটি,
    বোঝাই করে ময়লা মাটীডুবে মরে ভবের ঘাটে।।
    দুঃখ ভার্য্যা তাপ রজকিনীমনের ময়লা ঘুচান তিনি,
    দন্ড সাবান জ্বালিয়া ধনিমনকে কাচে শাসন পাটে।।
    দীন বন্ধু হরি যিনিনিদানেরই বন্ধু তিনি,
    তত্ত্ব জেনে শূলপানিসদায় সে শ্মশানে ছোটে।।
    দয়াল মহানন্দ বলেগুরু দন্ড না হইলে,
    কিসে মনের ময়লা খোলেঅশ্বিনী তুই যাস না চটে।।
     
    ১২২নং তাল কাশ্নিরী
    মন চল যাই বিদেশ ছেড়ে নিবৃত্তিপুরে
    তথায় আছে শান্তি মা আমারদেখ মন্দিরে।।
    বিদেশে বাণিজ্য দিয়েমা আছেন পথ পানে চেয়ে,
    ভুলে রলি কি সুখ পেয়েএদেশে তোর বন্ধু কেরে।।
    হয়ে রলি মায়ার সেবকখুলে ফেল মণি মজক,
    দুদিন পরে দেখবি নরকদেশে যাওয়া হবে নারে।।
    এদেশে রয় দিশে হরিদিক ভুলায়ে করে চুরি,
    নৌকায় দিবে কুঠার মারিআপন আপন বলিস যারে।।
    ধন অনুরাগের বৈঠে বেয়ে চল প্রেমের হাটে,
    নাও লাগাসনে ভবের ঘাটেশুল্লুক জাহাজ যাচ্ছে বুড়ে।।
    গুরুচাঁদ তাই করছে মানাভবের ঘাটে কেউ যেওনা,
    অশ্বিনী তোর মন ভালনাডাকলে কেন শুননারে।।
     
    ১২৩নং তাল - কাশ্মিরী
    মনে ভাবি কাঙ্গাল হববেহাল সাজিব
    ছেড়া কান্থা করিয়া ধারণগাছতলায় যাব।।
    মহামায়া মাতা যিনিকাতর বাক্যে বলেন তিনি,
    কোথায় যাওরে যাদুমণিকোন প্রাণে তোরে বিদায় দিব।।
    প্রবৃত্তি মহিষী এসেবাঁধতে চায় সে ভোগ বিলাসে,
    ভুলাতে চায় মায়া রসেকেমনে তারে প্রবোধ দিব।।
    লোভ মোহ পুত্র ছয়জনবিনয়বাক্যে করে বারণ,
    পুত্রের মায়া করে ছেদনপ্রানান্তে যেতে দিব।।
    আমোদ আহলাদ প্রতিবেশীযাত্রা ভঙ্গ করে আসি,
    কি দুঃখে হও বিদেশবাসীগৃহে তোর কি অভাব।।
    পাগলচাঁদ কয় অনুরাগেআর কতকাল মরবি ভুগে,
    অশ্বিনী তুই এই সুযোগেবাহির হ তোর সঙ্গে যাব।।
     
    ১২৪নং তাল -
    আমি পিতৃমাতৃ হলেম ত্যাগী বিষয় বিরাগী
    ঘরে বসে কাঁদিবে বিলাসভার্য্যা অভাগী।।
    ত্যাগ করিলাম পুত্র কণ্যেগৃহে থাকি যাহার জন্যে,
    মন মতি হয়েছে হন্যেকি যেন কি বস্তু লাগি।।
    পিতা কাঁদলে করে হায় হায়কঠিন পাষাণ বলি তোমায়,
    বল ভবে কেউ কারো নয়পাষাণে বুক বাঁধ রাখি।।
    পাখী যত আছ ডালেমা কাঁদিলে পুত্র বলে
    তোমরা ডেক মা বোল বলেপ্রহরে প্রহরে জাগি
    ভার্য্যা কাঁদলে চিকন স্বরেকাল ভ্রমর কই তোমারে,
    বুঝাইও গুণ গুণ স্বরে কেউ কারো নয় দুঃখের ভাগী।।
    গুরুচাঁদের শাসন চোটেভব বন্ধন গিছে কেটে,
    কাঁদতে হবে ঘাটে মাঠেঅশ্বিনী হও প্রেম বৈরাগী।।
     
    ১২৫নং তাল - কাশ্মিরী
    এই দেখা ত শেষ দেখা ভাইবালাই লয়ে যাই
    এ ক্ষেপে দেখা পাই কি না পাই।।
    দেখা হল কত শতহয়না দেখা মনের মত;
    মনের দুঃখ আর বলব কতজন্মের মত বিদায় হতে চাই।।
    যা হবার তা হয়ে গেলভবের খেলা সাঙ্গ হল;
    বন্ধুবর্গে হরিবলযার আমি ভাই তারে যেন পাই।।
     
    ১২৬
    সমর্পিত দেহ মম আমিত্ব কি আর,
    আমিত্ব স্বামীত্ব তুমি সর্ব্ব মূলাধার।।
    মহাভাব ভাবিনীর বশেমহাসাগর মহারসে,
    দেহ তরী যাচ্ছে ভেসেনা পেলাম কিনার।।
    তুমি নিত্য নবীন নেয়েএ তরীর কান্ডারী হয়ে,
    প্রেম সাগরে বেড়াও বেয়েওগো গুণধার।।
    তব কৃপা-অনুযোগেহরিণাম বাতাসের বেগে,
    লছে তরী অনুরাগেআনন্দ বাজার।।
    গুরুর কৃপায় ঘুচলো ভ্রান্তআমি কান্তাতুমি কান্ত,
    পূর্বের মন যদি তাই জানতথাকত না বিকার।।
    স্বামি মহানন্দ বলেমন প্রাণ না সপিঁলে,
    কোথায় হরি পতি মেলেঅশ্বিনী বর্ব্বর
     
    ১২৭
    বিপদ সুপদ মন উভয় একাকার 
    নিরাশা দরিয়ার মাঝেদিয়াছি সাঁতার।।
    সুমতি কুমতি দুজনদ্বন্ধ ঘুচে হল এক মন,
    য়ে তারা প্রেমের ভাজনল নির্ব্বিকার।।
    ভক্তির কণ্টক যে পঞ্চজনপ্রেমানলে হল দাহন,
    তাই দেখে ছয়জনকাঁদে অনিবার।।
    প্রেমানুরাগ হব বলেভাসিতেছে নয়ন জলে,
    ঝাঁপ দিতে চায় প্রেম সলিলেঅকুল পাথার।।
    প্রেম উন্মত্ত হয়ে সবেহুঙ্কার ছারে সিংহরবে,
    প্রাণ দিয়ে সেই প্রাণ বল্লতেকামনা কি আর।।
    ডেকে বলে তারকচন্দ্রমহানন্দের কি আনন্দ,
    দেখলি না অশ্বিনী অন্ধআনন্দ অপার।।
     
    ১২৮
    যারে নয়ন ধরগে তারেযে রূপে প্রাণ নিল হরে,
    দেখতে দেখতে নয়ন তারেপলক দিতে যায় গো সরে।।
    তুই নয়ন মোর বান্ধব ছিলিতবে কেন পলক দিলি,
    পলকে রূপ হারাইলিআর কি দেখা পাব ফিরে।।
    তুই নয়ন থাকতে প্রহরীতবে কেন সেই চোরা হরি,
    মন প্রাণ করে চুরিআমায় যায় পাগোল করে।।
    যে রূপেতে মন মজিলোসেও যদি আজ ছেড়ে গেল,
    এ জীবনে কাজ কি বলকাজ কি এ ছার জীবন ধরে।।
    মন প্রাণ দিলাম যারেসেও যদি আজ না চায় ফিরে,
    এ দুঃখ আর বলব কারে, ওই দুঃখে মোর বুক বিদরে।।
    গোলকচাঁদের মনচোরাহানন্দের মনোহরা,
    ধরবি যদি অধর ধরাঅশ্বিনী থাক জীয়ন্তেরে।।
     
    ১২৯
    হরি দয়াময় করলে কি আমায়
    তব বিচ্ছেদ জ্বরে দহিছে হৃদয়।।
    প্রেম দাহানলেসদায় মরি জ্বলে
    এই ছিল কপালেকরি কি উপায়।।
    তব বিচ্ছেদ জ্বরহইলো প্রবল
    চিন্তা পথ্য তায়কুপথ্য ঘটালো।।
    স্বাত্বিক বিকারেখেত বৃদ্ধি করে
    হরি বিনেপিপাসায় প্রাণ যায়।।
    বুঝতে নারি গতিযেন সান্নিপাতি
    দুরন্ত পিপাসানা হয় নিবৃতি।।
    দুর্ব্বৈদ্য আসিয়াশিয়রে বসিয়া
    এক বিন্দু বারি না দিল আমায়।।
    অধৈর্য্য উলূর্ব্বাননাহি কোন ঞ্জান
    জলধর বিনেজ্বলে যায় প্রাণ।।
    জ্বরে তনু জ্বরশুষ্ক ওষ্ঠাধার
    নিরস রসনাপিপাসায় প্রাণ যায়।।
    তৃস্না-তন্দ্রা-নিদ্রামোহ কম্পকায়
    স্বেদ অশ্রু পুলকবিকারে প্রাণ যায়।।
    হেন নাহি বন্ধুহরি কৃপাসিন্ধু
    এক বিন্দু বারিএনে দেও আমায়।।
    বলে মহানন্দহরি প্রেমসিন্ধু
    অশ্বিনী তোর ভাগ্যেঘটলনা এক বিন্দু।।
    গুরুচাঁদের পদ কররে সম্পদ,
    তবে পাবি সে ধন শ্রীগুরুর কৃপায়।।
     
    ১৩০
    হরি নামে পাপ খন্ডেকহে কোন ভন্ড
    হরিভক্ত এমনি শক্তচায়না সে বিধাতার ব্রহ্মাণ্ড।।
    কার উচ্চারনে মাত্রঅষ্টাদশ সিদ্ধি হয় প্রাপ্ত
    ভুক্তি মুক্তি দূরীভুতলুক্কায়িত কর্মকান্ড।।
    রি’ কার উচ্চারণ হলেঅনর্পিত প্রেম ফলে
    মোক্ষ ফল সে ফেলায় ঠেলেধর্ম্ম তার কাছে হয় দণ্ড।।
    হরিভক্ত সিংহ-শাবকঅন্তরে অনুরাগ পাবক,
    নরের আর থাকেনা নরকশরণ নিলে তিলেক দণ্ড।।
    গঙ্গাস্নানে পাপ হতগঙ্গাকে করে পবিত্র
    পরশ মাত্র হরিভক্তসাধু হয় যত পাষন্ড।।
    গোসাঁই তারকচাঁদের বাণীশ্রবণ মাত্র হরি ধ্বনি
    প্রাপ্ত হয় প্রেম আহলাদিনীঅবিশ্বাসী অশ্বিনী ভন্ড।।

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.