শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান নংঃ ১৩১-১৫০ - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান নংঃ ১৩১-১৫০

    গান নংঃ ১৩১-১৫০



    ১৩১
    ভক্তিকে যে তুচ্ছ করেমুক্তি করে শ্রেষ্ঠ
    হরিণামে পাপ খন্ডেব্যাখ্যা করে সেই দুষ্ট।।
    মাঘে প্রয়াগে করলে স্নানকোটি কন্যা করলে দান,
    সুমেরু সুবর্ন দাননাম হতে অতি নিকৃষ্ট।।
    ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বরেনামের গুণ না বলতে পারে
    হরিণামে কি ফল ধরেকে তাহার নির্দিষ্ট।।
    কোটীতীর্থ করলে ভ্রমনকল্পন্তর করলে যোগ সাধন,
    নামের তুল্য না হয় কখনভাগবতে বলে স্পষ্ট।।
    সত্যভামা করি ব্রতপেয়েছিল কিঞ্চিত তথ্য,
    হরি হতে নাম মাহাত্ম্যওজনেতে হল শ্রেষ্ঠ।।
    তারকচাঁদের এই ভারতীহরিনামে হল আর্তী
    ঘটিবে প্রেম মধুর রতিঅশ্বিনী তোর দুরদৃষ্টি।।
     
    ১৩২
    হরি প্রেম সাগরে বান ডেকেছে ভাই,
    এবার ঘুচলোরে দেশের বালাইগেলরে ভবের বালাই।।
    যত কুল মান ছিলঅকুলেতে ডুবিলো,
    অভিমানের পাহাড় ভেঙ্গে উথলি উঠিল।।
    কত কুলজার কুল ভেসে গেলগেলরে কুলের বড়াই।।
    যত ভক্ত বেহালহয়ে প্রেমরসে মাতাল,
    ব্রহ্ম তালেরূদ্র তালেকেউ ধরেছে তাল।।
    মাতাইলো আকাশ পাতাল জগতে কেউ বাকী নাই।।
    দেখে প্রেমের তরঙ্গঘুচলো কাম কলির রঙ্গ,
    হরি ভক্তের নফর হয়ে নাচে অনঙ্গ
    কলি বাঞ্চে সাধুর রঙ্গরাজ্যধনে কার্য়্য নাই।।
    যত যাগ য্ঞ্জ ছিলতাহা অযোগ্য হল,
    হরিণাম সংর্কীতন মহাযঞ্জে সবে মাতিল
    যাহা পঞ্চজনার বাঞ্চাছিলপুরাতে ছিল।।
    গোঁসাই তারকচন্দ্র কয়হল হরিচাঁদ উদয়,
    অশ্বিনী তোর কিসের শঙ্খাগেল ভব ভয়
    দয়াল মহানন্দ আছে সহায়তিনি সেই দয়াল নিতাই।।
     
    ১৩৩
    উত্তাল তরঙ্গ দরিয়ায়ডুবদেরে প্রেমের গোলায়,
    এবার ঝাঁপ দেরে প্রেমের গোলায়।।
    কলিযুগ ধন্যজীবের ঘুচাতে দৈন্য,
    ওড়াকান্দি অবতীর্নহরি চৈতন্য
    হরিণাম বিনে গতি নাই অন্যপান কর নাম রসনায়।।
    হরি প্রেম মদে হও রে বিভোরনেশা ছুটবে নারে তোর,
    হরিণামের গাঁজা খেয়েহও রে নেশাখোর
    মহাভাবে বিভোর হয়েডুবে থাকরে সদায়।।
    মহাভাবের মাতাল হওসদায় হরি গুণ গাও,
    সাধুর দোকানেভক্তি রতন কিনে লও
    গুরু চিন্তা- চন্দন অঙ্গে মাখাওসাধুর বাতাস লাগবে গায়।।
    বড় সুযোগ পেয়েছকেন বসে রয়েছ,
    হরি বলে বাহু তুলেআনন্দে নাচ
    হরি ভক্তের কাছে প্রেম ধন যাচদিবে প্রেম তুলে হ্রদয়।।
    দয়াল নিতাই চাঁদ যিনিমহানন্দ চাঁদ তিনি,
    সেই বুঝি নগরে এসে দেয় হরিধ্বনি
    এবার ডুবাইলো ধনী-মানীঅশ্বিনী ডুবল না তায়।।
     
    ১৩৪
    মনরে খেপাখেপে যা এবার
    আপন সেরে কামের ঘরেঅনুরাগের কপাট মার
    খেপ যদি খেপার মতগে রূপের অনুগত
    তেয়াগিয়া আত্ম-স্বার্থপ্রেম পাথারে দেরে সাতাঁর।।
    যদি হবি সুজন খেপাধারণ কর রূপের ছাপা,
    গুরুর কাছে কর রে রফাভোগ বিলাসের দফা সার।।
    ত্যাজ্য কর বেদের বিধিছেড়ে দিয়ে অষ্টসিদ্ধি,
    বিবেক ভাইয়ের দিয়ে বৃদ্ধিচল আনন্দ বাজার।।
    এক খেপেছে গোলকচন্দ্রআর খেপেছে মহানন্দ,
    দিয়া হরি প্রেমানন্দখেপাল ত্রি-সংসার।।
    তারকচন্দ্র ডেকে বলেযে জন বাবার খেপা ছেলে
    সদায় থাকে বাবার কোলেবুঝলি না অশ্বিনী ছার।।
     
    ১৩৫
    সহজ অনুরাগে খেপেছে যে জন
    য়ে আত্মহারাপাগোলপারামানে না বিধির বন্ধন।।
    বায়ু-পিত্ত-কফের নাড়ীঘুরছে মাথা চঞ্চল ভারী,
    পোড়ায়ে সে মায়াপূরীজ্বালিয়া প্রেমের হুতাশন।।
    অন্তরে অনন্ত দাহজ্বলিতেছে অহরহ,
    ঠিক যেন সেই খিপ্ত সিংহসাই বলে করছে গর্জন।।
    হয়ে সেই রূপের আশ্রিতব্রহ্মা দস্যুর দৃষ্টির মত,
    কাদিতেছে অবিরতপলকহীন দুটি নয়ন।।
    ঠিক যেন সেই পাগোলভোলাঘুচাইয়া ভবের জ্বালা,
    প্রেমন্মোত্ত হরিবোলাতার আর কিছুতে রয়না মন।।
    মহানন্দ ডেকে বলেসহজে কি মানুষ মেলে
    অনূরাগী না হইলেঅশ্বিনীর নাই সে সাধন।।
     
    ১৩৬
    ভালবেসে গুণমণি এদশা করেছেন তিনি,
    মন প্রাণ হরিয়ে নিয়েআমায় করলেন পাগোলিনী।।
    আমায় বড় ভালোবেসে তাইতে রাখলো না বাসে,
    দীন হীন দণ্ডীর বেসেকরল আমায় কাঙ্গালিনী।।
    সে যাহারে ভালবাসে জাত কুল মান আগে নাশে,
    সর্ব্ব ধন নিয়ে শেষেকরে মণি হারা ফনী।।
    অসহ্য বিরহ আগুন মরমে জ্বলিছে দ্বিগুণ
    কি বলিবো গুণমণির গুণকরল আমায় বিরহিনী।।
    ঘটায়েছে বিষম দশাসদায় বাড়ে প্রেম পিপাসা
    ছোটে না তার প্রেমের নেশাকেঁদে বেড়ায় দিন-রজনী।।
    মহানন্দের হৃদয়ের ধনপ্রেম ছাড়া সে রয়না কখন
    অশ্বিনী করলি না যতনকিসে পাবি রতন মণি।।
     
    ১৩৭
    অহৈতুকী কই ঘটলো অবলার ভাব,
    মুক্তির আশেআছ বসেহল না সেই ভক্তি লাভ।।
    ধর্ম্ম-পূন্য বোঝাই করিসাজায়েছে মানব তরী,
    যেতে চাও বৈকুন্ঠপুরীকরতেছ ধর্মের গৌরব।।
    না পাহিলা নব অনুরাগমরমে লাগল না সে দাগ,
    ঘটলো না বৈরাগ্য বিরাগপেলেম না সে মহাভাব।।
    মহাভাব ভাবিনীর রসেমহানন্দ বেড়ায় ভেসে
    গোলকচন্দ্র সেই রূপ-রসেকরে হরি সিংহ রব।।
    তারকচাঁদ সেই রসে মাখাপেয়ে সে স্বরূপের দেখা,
    অশ্বিনী তুই এমন বোকানিলি না সেই রুপের সৌরভ।।
     
    ১৩৮
    হরি তোমায় করি আর্শীবাদ,
    এবার পুরুক তোমার মনোসাধ
    ওহে গুণনিধিনিরবধি কর রাধার প্রেমাস্বাদ।।
    আমার সুকৃতি যততোমায় অর্পিলাম নাথ,
    ভক্তের সঙ্গে রসরঙ্গে হও প্রেমে মত্ত
    আমি বল্যানীর ঠাঁই এ ভিখা চাইঘুচুক তোমার সব প্রমাদ।।
    তুমি মহাসুখে রওমহারাসে রও,
    কান্তিময় কদম্বডালে বাশরী বাজাও
    প্রেমানন্দে রাধার গুণগাওপুরাও ব্রজবাসীর সাধ।।
    প্রিয় রাখালগণ লয়েদেহ গোষ্ঠেতে গিয়ে,
    চিত্ত সিংহাসনে বস মহারাজ হয়ে
    আমার হৃদপদ্মে পাদপদ্ম দিয়েকর শাসন সিংহনাদ।।
    অন্তরঙ্গ সখীগণলয়ে শ্রী মধূসুদন,
    সহস্রার কুঞ্জেতে গিয়েহও যুগল মিলন
    তোমার প্রেমময়ী রাইকে নিয়েকর আনন্দ আহলাদ।।
    গুরুচাঁদের এই বাণীতুই শোনরে অশ্বিনী,
    হরিকে আর্শীবাদ করা প্রলাপ কাহিনী
    ওরে তুচ্ছ মূঢ় মুখে উচ্চ কথাভজনে পড়বি বাদ।।
     
    ১৩৯
    হরিদাস খুজে পেলাম না ত্রিলোকে
    হরিদাস পরিচয় দেওয়ামিছেলোকে ভুল বকে।।
    ভক্তের অধীননাম ভক্তাধীনবলে তারে সব লোকে,
    ও সে ভক্তের বোঝা বয়ে ফেরেবিচারে দাস হবে কে।।
    খুজে আগম নিগমঅনেক রকমসাধন করে সাধকে
    তারা মেরে মজাপাপের বোঝাউঠাইয়ে দেয় হরিকে।।
    ধ্রুব প্রহ্লাদহয়ে অহলাদহরিবলে পুলকে,
    তাদের বিপদের ভারহরি আমারধারণ করে মস্তকে।।
    অন্তরঙ্গ কি বহিরঙ্গভুলোকে কি গোলোকে,
    তারা সকলে হরিকে খাটায়হরির খাটুনি খাটে কে।।
    অশ্বিনী কয় দিন বয়ে যায়জানাব কি তোমায়,
    এবার জেনে শুনে যাহা করতোমা বিনে আর আছে কে।।
     
    ১৪০
    আমার এক চাকর আছে ভাই,
    মনের ভাব জেনে সে কার্য্য করেহারে এমন নফর দেখি নাই
    ও তার গুণের কথাবলব কোথাগুণের বলিহারী যাই
    যখন যাহা বাঞ্ছা করিপলকে না হতে দেরী,
    অমনি দেয় সে যোগার করিহারে তার মান-অভিমান নাই
    সে কোথায় থাকেকেউ না দেখেতারে খুঁজে নারে পাই।।
    যখনে ঘুমে থাকিসে তখন দেয়গো চৌকী,
    আমার সুখেতে সুখীহা রে তার আত্মসুখ আর নাই
    আমার পিপাসার জলক্ষুধার অন্নমনে করিলে অমনি পাই।।
    খাটনির বিরাম নাই মোটেসে পাটনি হয়ে পারের ঘাটে,
    পার করে দেয় নিষ্কপটেহারে তার পারের মাশুল নাই
    আমার এই বাসনা রাত্রি দিনমরি লয়ে তার বালাই।।
    সে আমার এমনি ভৃত্যকে জানে তার মাহাত্ম্য,
    কিঞ্চিত জানিয়া তত্ত্বপাগোল হয় ভোলানাথ সাই
    ও সে ত্যাজে কাশিশ্মশানবাসীঅঙ্গে মাখে চিতার ছাই।।
    কখন শ্যামকখন শ্যামাত্রেতায় রাম অপার মহিমা,
    ও রূপের তার নাই উপমাভারত পুরানে শুনতে পাই,
    ও সে ওড়াকান্দি হরিচন্দ্রনবদ্বীপ ছিল নিমাই।।
    অশ্বিনী তুই ভ্রান্ত মনেতারে চাকর বলিস কোন পরানে,
    শঙ্কা নাই কি তোর মনেচুপে থাক শ্রীগুরুর দোহাই
    সে যে কোটি-ব্রহ্ম শিরোমণি রেতার তুল্য দিতে নাই।।
     
    ১৪১
    হরি ভজব কি আর তোমায়,
    ইচ্ছা হয় ও দয়াময়ভজসে আমায়
    আমার বলতে যে ধন ছিলসব দিয়াছি তোমায়,
    আমি তোমার ধন তোমাকে দিয়েবসে আছি তোমার আশায়।।
    ভক্তের অধীননাম ভক্তাধীনবলে সবে তোমায়
    (দয়াময় ও দয়াময়)
    তুমি ভক্তের বাঞ্চা পূর্ন করআমি ঠেকাবনা সে দায়।।
    এ দেহের ভার ঘুচাইতেযদিচ দুঃখ হয়,
    তোমার দুঃখ আমায় দিয়েতুমি সুখে থাক সদায়।।
    ভক্তগণ ভক্তির গুণেবেধেঁ তোমায় ঘুরায়,
    আমি সে ধর্ম্মে দেই জলাঞ্জলিযাতে তোমার শাস্তি না হয়।।
    হরিচাঁদের প্রেম সাগরেভাসি শেলকার প্রায়,
    দয়াল মহানন্দের এই বাসনাঅশ্বিনী যেন ডুবে রয়।।
     
    ১৪২
    চন্দ্র তূল্য অভিমন্যু পল রণে,
    গিয়ে দ্রোণ বুহ্যমধ্যে নিগম না জেনে।।
    মাতুল যাহার শ্রীকৃষ্ণ ধনপিতা যাহার নর-নারায়ণ,
    সহায় থাকতে আত্মস্বজন মল পরাণে।।
    তত্ত্ব-নিগম না জানিলেকি হয় গুরু সহায় বলে,
    রক্ষা নাই তার কোন কালেকাম-দ্রোণের বাণে।।
    তত্ত্ব-নিগম জান আগেজয় কর রিপু ছয় আগে,
    কামদ্রোণকে হঠাও আগেসূবুহ্য সন্ধানে।।
    তত্ত্ব-নিগম যে জন জানেটলে না কাম দ্রোণের বাণে,
    যুগল মিলন নিশি দিনেদেখে নয়নে।।
    তারকচাঁদ কয় করে বিক্রমশোন বলি অশ্বিনী অধম,
    শিক্ষা দিব তত্ত্ব-নিগমথাক চেতনে।।
     
    ১৪৩
    পঞ্চ-আত্মা পান্ডবের সহায় হও শ্রীহরি,
    দূর্মতি দুষ্ট দুর্যোধন মম অরি
    দেহ কুরুক্ষেত্র মাঝেসেজে এল রণ সাজে,
    সঙ্কট তরঙ্গ মাঝে ডুবে মরি।।
    ধর্মাত্মারূপ ধর্ম্মসূতসদায় তোমার অনুগত,
    ডাকে অনুরাগ বৃকোদর কতগর্জ্জন করি
    সুক্ষ রসরূপ বীর ধনঞ্জয়ডাকে তোমায় দীন দয়াময়,
    সারথীর বেশে হও উদয়কৃপা করি।।
    দম রসরূপ ডাকে নকুলদম রস সহদেব আকুল,
    এ বিপদে হও অনুকুল, বিপদ হারী।।
    ভক্তিরস রূপ যাঞ্জসেনীডাকে তোমায় চিন্তামণি,
    ভক্তি-বিহীন দ্বীন অশ্বিনী এস মুরারী।।
     
    ১৪৪
    আয়রে ও মন মত্ত করি,
    আমরা দুজন হয়েসুজন গুরুর চরণ ধরি
    সংসার কাননকরিয়া দলনযথা গুরুকরি অন্বেষণ
    পেলে দরশন জুড়াবি জীবনশেষে প্রেমানন্দে নৃত্য করি
    সংসার কাননে আর কত দিন রবযথা আছে গুরু তথা মোরা যাব,
    চরণ ভজিবপ্রেমেতে মজিবনেচে দেখব ঐ রূপ নয়ন ভরি।।
    যদি গুরু তোরে করে আরোহণনিবে গুরু তোরে নিত্য বৃন্দাবন,
    যথা শান্তি নিকেতনশান্তি অনুখনসেথা রাস কররে রাসবিহারী।।
    মহারাসে গুরু হয়ে রসেশ্বররাসেশ্বরী লয়ে করে রাসবিহার
    মহারাস হেরিবমহরাস করিবতথা মেতে রব প্রেমরস পান করি।।
    গুরু মহানন্দ লয়ে প্রেমরসপ্রেমসুধা দিয়েকরলেন জগত বশ,
    অশ্বিনী নীরস নিলি না সে রসতুই হলি না রাসের অধিকারী।।
     
    ১৪৫
    হাট কর মন সাধনগঞ্জমদনগঞ্জ যাস না ভুলে
    তবে প্রাপ্ত হবি সিদ্ধিগঞ্জনারায়ণগঞ্জ যাবি চলে।।
    মদনগঞ্জের এমনি অবিচার (হা রে) সে হাটে হয় কলি রাজার ছয় তশীলদার,
    তারা ফাকি দিয়ে রং দেখায়ে ধন কেড়ে লয় লাভে মূলে।।
    নারায়ণগঞ্জ গেলে আমার মন তার বামেতে লক্ষীগঞ্জ পাবি দরশন ,
    কত যোগী ঋষি দিবানিশি কান্দে ঐ রূপ দেখব বলে।।
    তার দক্ষিনে গোপালগঞ্জ রয় (হারে) তার বামেতে রাধাগঞ্জ কিবা শোভা পায়,
    যে জন অটল মানুষপ্রেমে বেহুঁশসেই মোকামে যায়গে চলে।।
    সেই মোকামে যেতে যদি চাও (হারে) হরিণামের সাদা বাদাম টেনে এবার দাও,
    হরির নামের গুনে ছারবে প্রেমবায়ুচলবে তরী নামের বলে।।
    সেই দুই মোকাম হয়ে একত্তর (হারে) ওড়াকান্দি করছে লীলা অতি চমৎকার,
    গোঁসাই তারকচাঁদের বাঞ্চা এবারঅশ্বিনী তোর নাই কপালে।।
     
    ১৪৭
    সাধের এক ময়না পুষে ঘটলো যন্ত্রনা
    কত চাল ছোলা তার ঠোঙ্গায় দিলাম,
    পাখী তোর ঘ্যাজ ঘ্যাজি বোল তাও গেল না।।
    সাধ করে পুষেছি ময়নাতোরে সাজাবো বলে ভক্তিরণে গড়েছি গয়না,
    পাখি শান্তি হরিচাঁদ বলে নাআমার এই খেঁদে আর প্রাণ বাঁচে না।।
    শোন বলি ও ময়না পাখিএবার হরি গুণ গানে আমায় কররে সুখী,
    ও সেই কাল বিড়ালকে দিব ফাঁকিতা হলে ভবপারের ভয় আর রবে না।।
    কত না সমাদর করেকত চিনি সন্দেস মন্ডা মিঠা খাওয়ালাম তোরে,
    লবি হরি কথা বদন ভরেঅন্তরে ছিল আমার এই বাসনা।।
    রেখে মোর হৃদি পিঞ্জিরায়কত দিবানিশি হরি কথা সুধালাম তোমায়,
    পাখীর তাতে হল না ভাবের উদয়চিরদিন রইলো মনে এই বেদনা।।
    অশ্বিনী মনো দুঃখে কয়পাখি হরি-গুরু বোল বোলে না করি কি উপায়,
    ও সে বাহ্য কথা বলে সদায়পাখি তোর জুঙ্গলী ভাষা ত্যাগ হল না।।
     
    ১৪৭
    শ্রীধাম ওড়াকান্দি চল যাইএমন দিন আর হবে না রে ভাই
    এল দয়া করিদয়াল হরিহেরে তাপিত প্রাণ জুড়াই।।
    প্রভুর মনের অভিলাসজগত করতে হরিদাস,
    হরিচন্দ্র নামে এবার হয়েছে প্রকাশ
    এবার পুরাতে ভক্তের অভিলাসএল ক্ষীরোদের গোঁসাই।।
    প্রভু বলছে বারে বারের সত্য অঙ্গিকার,
    হরিনামটি বিনে জীবের গতি নাইরে আর,
    হরি নাম ভিন্নগতি নাই অন্যসাখি তিনকড়ি গোঁসাই।।
    যত যোগী-ঋষিগণতারা ছেড়ে যোগ সাধন,
    বৈষ্ণবের কুটি নাটি দিয়ে বির্সজন,
    এবার প্রেমানন্দে করে কীর্ত্তনহরিবলে ছাড়ে হাই।।
    অন্য তন্ত্র মন্ত্র ধ্যানছাড় ধর্ম্ম কর্ম ঞ্জান,
    প্রেমানন্দে কর হরির নামামৃত পান,
    হরি প্রেম সাগরে উঠেছে বানআনন্দের আর সীমা নাই।।
    গোঁসাই মহানন্দ কয়যে জন ওড়াকান্দি যায়,
    গয়া কাশী দিবানিশি তারা দেখতে পায়,
    গোঁসাই তারকচাঁদ কয় দিন বয়ে যায়অশ্বিনী তোর ভাগ্যে নাই।।
     
    ১৪৮
    কৃপাসিন্ধু দীনবন্ধু হরি দয়াময়
    অনন্ত না পেয়ে অন্ত রে নাম রা’খলেন অনন্তময়।।
    রসবতী শ্রীমতি রমনপ্রেম রসেতে তনু মাখা বাঁকা দু-নয়ন
    মুখে মৃদু হাসিকরে বাশি রেমোহন চুড়া হেলছে বায়।।
    ভক্ত চকোর মনোমোহনভক্ত বাঞ্চা কল্পতরু চারু-চন্দ্রানন,
    বনমালা গলে দোলে দেখলে তাপিত প্রাণ জুরায়।।
    ব্রহ্মার বাঞ্চিত সেই ধনকলির শেষে বঙ্গদেশে করলেন বিতরণ
    পাষন্ড করিলেন দলনজগত ভাসাও প্রেম বন্যায়।।
    কলি জীবের বড় সৌভাগ্যকলি যুগে প্রচারিল হরিনামযঞ্জ,
    তারা তুচ্ছ করি চতুবর্গ প্রেম রসেতে মেতে যায়।।
    গুরুচাঁদ সেই প্রেমের ভান্ডারীগোঁসাই মহানন্দ তারকচন্দ্র বিতরণ কারী,
    এবার দিচ্ছে জীবের করে ধরিঅশ্বিনী পেল না তার।।
     
    ১৪৯
    গুরু কি ধন চিনলি না মন মানব জনম যায় বিফলে
    ও তোর প্রেম অনুরাগ ভক্তি বিবেকহলো না তা যাবার কালে।।
    মন গুরুর সহযোগেস্থুলের ঘর বাধ আগে,
    প্রবর্তে অনুরাগে ফেলাও মনের কপাট খুলে,
    এবার যে ঘুচাবে মনের আধারঠিক কর তায় গুরু বলে।।
    গুরু ঠিক হলে পরেগিয়ে সাধকের ঘরে,
    এ দেহ সাধ তারেসদয় হবে সাধন বলে,
    হলে গুরু সদয় প্রেমের উদয়দেখবি রে তোর হৃদ কমলে।।
    গুরুমুখের পদ্মবাক্যহৃদপদ্মে কর ঐক্য,
    এ দেহ হবে সূক্ষকাজ কি তোর মোক্ষ ফলে,
    গিয়ে সিদ্ধির ঘরেপাবি তারেঅনন্ত সাগর মিলে।।
    শ্রীগুরু অনন্তময়অনন্ত অন্ত না পায়,
    যাবি সে গুরুর কৃপায়অনন্ত সাগরে চলে,
    ও তোর কাম মহাকাম হবে বিরামদেখবি সে রূপ দ্বিদল দলে।।
    বলে তারক রসনাঅশ্বিনী সে রস নে না,
    যে রস তোর উপাসনাগুরু দিল কর্ণমূলে,
    ও তোর সাধনের ধনমহানন্দপ্রাণান্তে তুই যাসনে ভুলে।।
     
    ১৫০
    মনা ভাই আয় না রে যাই তীর্থ ভ্রমনে,
    করব মনের মত তীর্থ ভ্রমনতীর্থরাজ আছে গুরুর চরণে।।
    তুমি আমি মিলিয়া দুজনগয়া গঙ্গা তীর্থ কাশী করিব ভ্রমন,
    আছে গুরুর পদে শ্রীবৃন্দাবনসব তীর্থ বিরাজ করে সেখানে।।
    শুনেছি শ্রীগুরুর মুখেওরে সাধুসঙ্গ মহাতীর্থ চল পুলকে,
    তথায় তীর্থ লাখে দুইপ্রেম গঙ্গা ঢেউ খেলে রাত্রি দিনে।।
    ধ্রুবময়ী গঙ্গা যাহার নামযেতে সাধুসঙ্গ মহাতীর্থ বাঞ্চা অবিরাম,
    গেলে ভব ব্যাধি হবে আরামরূচি হবে নাম সুধা পানে।।
    গুরু পদে আছে প্রেম তীর্থহরিচাঁদ দুলবে হৃদ আঙ্গিনে।।
    ত্রিজগত করতে পবিত্রআমার হরিচন্দ্র অবতীর্ন লয়ে প্রেমতীর্থ
    বলে মহানন্দ জেনে তত্ত্বঅশ্বিনী ঝাঁপ দে প্রেম গঙ্গাস্নানে।।

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.