কবি রসরাজ শ্রীমৎ তারক চন্দ্র সরকারের জীবনী গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি গেল কই?
শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের শেষে পরিশিষ্ট নামে একটি পাতা ছিল, যেটাতে হরিবর সরকার বিশেষ কিছু তথ্য সংকলন করে গেছেন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটা হল শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত গ্রন্থের গ্রন্থাকারের জীবনী বিষয়ে। হরিবর সরকারের উক্তি অনুসারে লীলামৃত ছাপানোর সময় গ্রন্থাকারের জীবনী ছাপানো হয় নাই, কারণ তা হত বহু ব্যয় সাধ্য।
এ থেকে আমরা কিছু বিষয় ধারণা করতে পারি। যেমন,
১~ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত গ্রন্থ প্রথম মুদ্রণের সময় বেশ বড় আকারের তারক সরকারের জীবনী পাণ্ডুলিপি আকারে লিখিত ছিল।
২~ উক্ত তারক সরকারের জীবনীর পাণ্ডুলিপি কে লিখেছিলেন তা নিশ্চিত নয়, তবে ধারণা করা যায় তারক সরকার নিজে অথবা হরিবর সরকার উক্ত পাণ্ডুলিপি লিখেছিলেন।
৩~ গ্রন্থাকারের জীবনী সাধারণত বইয়ের সাথে এক/দু পাতা আকারে সংযোজিত হয়, এখানে নিশ্চিত যে এই জীবনী দু এক পাতার ছিল না, কারণ হরিবর সরকার সেটা ছাপাতে বহু ব্যয় সাধ্য কথাটি উল্লেখ করেছেন। দু এক পাতার হলে বহু ব্যয় সাধ্য হত না।
৪~ তারক সরকারের জীবনীর সেই পাণ্ডুলিপি ছাপা হয়নি তখন। এবং আজো পর্যন্ত তা বই আকারে পাওয়া যায় নি। তাহলে ঐ পাণ্ডুলিপি গেল কই?
তৎকালীন সময়ে মতুয়াদের ভবিষ্যত নির্ধারণকারী এসব মূল পাণ্ডুলিপি নিয়ে কি করা হয়েছে? কোন পাণ্ডুলিপির সন্ধান নাই? আশ্চর্যজনক বিষয়। লীলামৃত নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে তখন, কিন্তু এটি নিয়ে ত তেমন কিছু শোনা যায় না। তাহলে এসব পাণ্ডুলিপি কে কোথায় হারিয়ে ফেলল বা লুকিয়ে ফেলল?
মতুয়াদের জন্য যেসব মূল পাণ্ডুলিপি অবশ্যই দরকারী- --
১~ শ্রীশ্রীহরিলীলামৃতের হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি (তারক সরকার, যাদব বিশ্বাস, হরিবর সরকার মিলে অন্তত পাঁচ কপি হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি করা হয়েছিল।)
২~ সুধন্য ঠাকুর কর্তৃক লিখিত হরি ঠাকুরের জীবনী গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি।
৩~ লীলামৃত প্রথম মুদ্রণের সময়ের আগে লিখিত তারক সরকারের জীবণী গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি।
মতুয়াদের সকল মূল দলিল অবহেলাবশত বা অসতর্কতা বশত হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে, এই তত্ত্ব মেনে নেওয়ার মত নয়।
সুদুর অতীতকাল থেকেই যে বিতর্ক চলে আসছে, এখন যেটা একটা চরম পর্যায়ে এসে পৌছেছে তার মূলে এইসব মূল পাণ্ডুলিপি হারিয়ে যাওয়া বা হারিয়ে ফেলাকে প্রধানত দায়ী।
এই বিতর্ক চিরতরে দুর করতে উক্ত পাণ্ডুলিপি গুলো খুঁজে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
Social Counter
Comments