শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
নমঃশূদ্র জাতি কারা আপনি কি জানেন - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    নমঃশূদ্র জাতি কারা আপনি কি জানেন



    নমঃশূদ্র বা নমঃস্বেজ হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বড় জনগোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর বিস্তার মূলত বাংলাদেশ এবং ভারত। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন দেশে তারা অল্প সংখ্যায় ছড়িয়ে আছে। ঐতিহ্যগতভাবে এরা পেশায় কৃষিজীবী। সামাজিকভাবে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের চারটি বর্ণের বাইরে অবস্থান করে অর্থাৎ তারা একটি অবর্ণ বা মুক্তবর্ণ হিন্দু জনগোষ্ঠী। ভারতীয় উপমহাদেশে বহুকাল ধরে তারা শোষিত এবং নির্যাতিত জনগোষ্ঠী এবং এক ধরনের বর্ণ বিদ্বেষের তথা রূপকার্থে তারা ইহুদী-ভাগ্যের শিকার। ১৮৯১ সালে ব্রিটিশদের একটি পরিসংখ্যানে তাদের পূর্বপুরুষের শ্রুতি অনুযায়ী, অধিকাংশ নমঃশূদ্রই কাশ্যপ গোত্রের অন্তর্গত।

    ইতিহাস
    ১৮৯১ সালে ব্রিটিশদের একটি পরিসংখ্যানে তাদের পূর্বপুরুষের শ্রুতি অনুযায়ী , অধিকাংশ নমঃশূদ্র বা নমঃস্বেজ ই কাশ্যপ গোত্রের অন্তর্গত।[৪] এছাড়াও কয়েকটি গোত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়|জ্ঞানীঋষি বুদ্ধ কাশ্যপ এর পরবর্তী নমস মুনির বংশধর হেতু তারা নিজেদের সম্প্রতি নমঃস্বেজ বলে অভিহিত করে ।


    নমঃশূদ্র বা নমঃস্বেজ আন্দোলন

    মতুয়া ধর্মসম্প্রদায়কে কেন্দ্র করেই নমঃশূদ্রদের সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়। তাদের আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল ফরিদপুর জেলার ওড়াকান্দি গ্রামে। নমঃশূদ্ররা এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে একটি সমিতি গঠন করে এবং নিয়মিত উন্নয়নী সভার আয়োজন করে। তা ছাড়া যাত্রানুষ্ঠান ও প্রতি পরিবার থেকে মুষ্টি সংগ্রহের মাধ্যমেও আন্দোলনের বিস্তার ঘটে। নমঃশূদ্ররা ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে Bengal Namasutra Association প্রতিষ্ঠা করে পুরোপুরি সংগঠিত হয়ে আন্দোলন পরিচালনা করে।

    • নমঃশূদ্ররা তাদের নমঃশূদ্র নামের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দাবি করেছিল। এই আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিল হরিচাঁদ ঠাকুরের পুত্র শ্রী গুরুচরণ বা গুরুচাঁদ ঠাকুরের হাতে। এবং তাকে প্রভূত সাহায্য করেছিলো মিড্ সাহেব। এর আগে ব্যবস্থা লিখিয়ে হিন্দু বর্ণ সমাজের পন্ডিতদের সম্মতি নিতে হয়। সেখানে ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার প্রধান পন্ডিত সহ বিভিন্ন জেলার আরও ৪১ জন পন্ডিত সহি করে। সেখানে কিন্তু এদের শূদ্র বলা হয় নাই। হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রত্যাদেশ নাম অর্থাৎ গোত্র সূত্র ধরে নমস মুনির থেকে সৃষ্ট বলে আত্মপরিচয়ের কথা বলা হয়েছে এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরআপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে তখনকার মতো এই শূদ্র-লেবেল যুক্ত নাম গ্রহণের কথা লেখেন এবং শূদ্র জুড়ে দেওয়ার ব্যাপারে তার আপত্তি লিখে রাখেন। জনগণনার নথিতে নাম পরিবর্তনের দাবিপত্রের সাথে এই ব্যবস্থার অনুলিপি জমা দেওয়া হয়। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারিতে নমঃশূদ্র নামকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
    • এমনকি রিজলী সাহেবের লেখা বইতে 'নম' নামটি কিন্তু ১৯১১ এর আগেই লেখা হয়েছিল। অর্থাৎ নমস স্বজন বা  নমস সৃজ  গোষ্ঠী এই ব্যাপারটা কিন্তু সমাজে চালু ছিল। হয়ত কোনো সামাজিক চাপেই এই অবর্ণ বা মুক্তবর্ণ গোষ্ঠীর নামের শেষে শূদ্র শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়।
    • নমঃশূদ্ররা তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে কিছু সুযোগ-সুবিধার দাবি করে এবং এক্ষেত্রে তারা কিছু সুযোগ-সুবিধা পেতে সক্ষম হয়।
    • রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নমঃশূদ্রদের দাবি ছিল পৃথক নির্বাচন ও স্বয়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি সংখ্যা বাড়ানো। ব্রিটিশ সরকার এক্ষেত্রেও নমঃশূদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। তাই নমঃশূদ্ররাও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্ৰহণ করেনি

    3 comments:

    1. নমশূদ্রগণ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেনি কথাটি ঠিক নয়। সংগঠনের কয়েকজনের সিদ্ধান্ত বিরাট ভূমিকা রাখে বলার অপেক্ষারাখে না। ভারতীয় জনগোষ্ঠীর কজন লোক কংগ্রেস কিংবা মুসলিমলীগ করতোা? সব মিলিয়ে২০% লোকও হয়তো এদের দলীয় সদস্য হবে না।
      অথচ ৮০ ভাগ মানুষের মতামতের বাইরে ভারতকে ভাগ করা হয়েছে। একইভাবে কথাটি নমশূদ্র সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে চলে। তাছাড়া আমার জানা মতে অনেক ব্রিটিশ বিরোধী নেতা রয়েছেন এ সম্প্রদায়ের মধ্যে।

      ReplyDelete
      Replies
      1. যথার্থ বলেছেন,বাংলায় ১৯৪৬ সালে ৩০টা সংরক্ষিত সিটের মধ্যে ২৭টা সিটে কংগ্রেস জিতেছেl
        এবার কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থীদের স্বাধীনতা সংগ্রামী না বললে বলতে হয় কংগ্রেস দলটাই স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেনিl

        Delete

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.