শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান, নংঃ ৯১-১১০ - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান, নংঃ ৯১-১১০



    গান নংঃ ৯১-১১০

    ৯১নং তাল - একতাল
    ধন্যরে যুগ পুষ্পন্ত কলিকাল
    মানব দেহ ধরি দয়াল হরি হল যশোমন্ত দুলাল;
    শ্রীধাম ওড়াকান্দি হরিহল পরকাশ;
    পাপ তাপ দুরে গেলতিমির বিনাশ
    ভকত চকোর যারা সুধাপানে মাতোয়ারা,
    পেয়ে প্রেম সুধারসজগৎ হইল বশ,
    প্রেমানন্দে বাড়ায়ে উল্লাস (হায় গো)
    পূরলরে মনের অভিলাষফিরলরে চাঁদের কপাল।।
    অনর্পিত চরিং চিরাৎযে ধন বাকী ছিল,
    এই না দয়াল অবতারেসে ধন বিলাইল,
    কেউ না বাকী রলপ্রেম সুধা সবে পেল;
    যারে দেখে আপন কাছেকরে ধরে প্রেম যাচে;
    এমন দয়াল আর কি ভবে আছে (হায় গো)
    জীবের কর্ম বন্ধ গেল ঘুচেএলরে পরম দয়াল।।
    নাম সিন্ধু করি মন্থনহরি গুণ মণি,
    উঠাইল প্রেম সুধা সুরস নবনী,
    লয়ে সব ভক্তগণ করে প্রেম বিতরণ,
    ব্রহ্মার বাঞ্চিত ধনপেয়ে নাচে সর্ব্বজন,
    অনুদিন বাড়ে অনুরাগ (হায় গো)
    প্রেমে তনু ডগমগ হলরে মত্ত মাতাল।।
    নদীয়ার চন্দ্র হরিনদীয়া ছাড়িয়ে;
    পুনরায় হল উদয়ভক্তগণ লয়ে;
    ভক্ত গণ লয়ে সাথেকলুষ নাশিতে;
    নব রসের গোরাপ্রেম রসে মাতোয়ারা,
    দুনয়নে বনে প্রেমধারা (হায় গো)
    ও সেই ব্রজ গোপীর মনোচোরাএলরে সেই নন্দদুলাল।।
    হরি প্রেমের আমার তারক মহানন্দ;
    অকাতরে বিলাইতেছেহরি প্রেমানন্দ;
    উদিত হরিচন্দ্রঘুচিল তমঃসন্দ;
    প্রেমানন্দ বাড়িলনিরানন্দ ছাড়িল,
    প্রেমানন্দে ধুলায় গড়ি যায় (হায় গো)
    হরি প্রেমধন পেল সবায়পেলনা অশ্বিনী কাঙ্গাল।।
    ৯২নং তাল - একতালা
    দয়া করি এস হরি দয়াময়
    প্রিয় ভক্তের সঙ্গেরসে রঙ্গেএস হৃদি আঙ্গিনায়।।
    এই বাসনা রাত্রি দিনেবসায়ে আঙ্গিনে,
    শ্রদ্ধারসসচন্দনদিব ঐ চরণে,
    তাই বা হবে কেননাহি মম ভক্তি ধন,
    মনে মম এই সাধকমলা সেবিত পদ
    মনোসাথে হেরিব নয়নে, (হায় গো)
    এই বাসনা রাত্রি দিনে প্রাণ সপে দিব ঐ পায়।।
    ভক্ত বৃন্দ সঙ্গে লয়েকীর্ত্তনরূপ হরি,
    প্রেমানন্দেকর কীর্ত্তনঅমি শ্রবণ করি,
    প্রেমানন্দে ভাসিবহাসিবকাঁদিব,
    প্রেম সাগরে অতল নীরেডুব দিব বিরাগভাবে;
    পুনঃ ফিরে না আসিবঘরে (হায় গো)
    দেখব ওরূপ নয়ন ভরেবাসনা মম হৃদয়।।
    উচ্চৈঃস্বরে কর কীর্ত্তনখোল করতাল লয়ে,
    আমার মন পাষন্ডহবে দলনসে ধ্বনি শুনিয়ে,
    শুনে মধুর হরিনামপুরাবো মনোষ্কাম;
    শুনে হরি সিংহ রবপলাইবে রিপু সব,
    সিংহ ডরে যেন করী ধায়, (হায় গো)
    কাম রিপু হবে পরাজয়কি করবে রবির তনয়।।
    হৃদি আকাশ ঈশাণ কোনেহও এসে উদিত
    অনুক্ষণ বরিষণ কর প্রেমামৃত,
    মন মতি চকোরসুধা পিয়ে বিভোর,
    পিয়ে মতি চকোরসুধা পিয়ে বিভোর,
    পিয়ে হরি প্রেম সুধা ঘুচাইবে ভব ক্ষুধা,
    মায়া হবে বিসর্জন (হায় গো)
    দেখিব ও রূপ ভুবন মোহনমোহন চুড়া হেলবে বায়।।
    গোলোকচন্দ্রতারকচন্দ্রপ্রেমিক মহানন্দ,
    অন্তরঙ্গ ভক্ত লয়েকরে প্রেমানন্দ,
    প্রেমানন্দ আসিবেনিরানন্দ নাশিবে,
    কলির কলুষ দাগযাবে দশ ইন্দ্র যাগ,
    অনুরাগে ছাড়হুহুঙ্কার (হায় গো)
    অশ্বিনী তোর মনের বিকার ঘুচবে শ্রীগুরুর কৃপায়।।
    ৯৩নং তাল - কাওয়ালী
    মান অপমান যাহার সমানতার মত আর মানী কে;
    শুভ অশুভ সমজ্ঞানতার তুল্য নাই ত্রিলোকে।।
    তৃণ হতে সুনীচেনতার কাছে নাই অভিমান;
    প্রাপ্ত হয়ে তত্ত্বজ্ঞানভাসে প্রেম পুলকে।।
    তরুরেব সহিষ্ণুতাঅমানীণ মান দাতা;
    সদায় বলে হরিকথাঅন্য বলি নাই মুখে।।
    সুখে দুঃখে সদায় খুশীভুক্তি মুক্তি হয় তার দাসী;
    ধর্ম পূণ্য দিবানিশি স্থান দিতে চায় মস্তকে।।
    তাতে না হয় বশীভুতমহা ভাবেতে উম্মত্ত;
    জীবকে দিতে গুরুতত্বভ্রমণ করে ভুলোকে।।
    নিজের হেতু নাইক মোটেজীবের জন্য ভবের হাটে;
    হয়ে জীবের পারের মুটেজীবকে পাঠায় গোলোকে।।
    মহানন্দ হয়ে দৈন্যকেঁদে ফিরে জীবের জন্য;
    অশ্বিনী তুই ভক্তি শূন্যমত্ত হলি ঐহিকে।।
    ৯৪নং তাল - একতাল
    কি মধুর নাম আনলেন হরিজীবের ভাগ্যক্রমে;
    নামে জগৎ মাতিলবাকী নাহি রলমধুর হরিনামে।।
    এ যে অনর্পিত নামহরি গুণধামঅর্পিলেন ধরাধামে;
    করতে পাষন্ড দলনযশোমন্ত নন্দনমজাল রাধা প্রেমে।।
    পিয়ে হরিনাম সুধাগেল ভব ক্ষুধাপাষন্ড হৃদয় রমে;
    আহা না কর বিরামশুধু হরিনাম লওরে দমে দমে।।
    নাম ব্রহ্মার বাঞ্চিততুলনা রহিতঅবর্ণিত বেদাগমে,,
    এবার নামের কল্লোলেপ্রেমের হিল্লোলেঢেউ উঠেছে ব্যোমে
    নামে প্রেম সুধা ক্ষরেজপরে অধরেজারিবে লোমে লোমে;
    এ নাম অতি সুমধুরমধুর মধুরআপার মহিমে।।
    এ যে দয়াল অবতারহরিচাঁদ আমার প্রেম বিলায় অধেম;
    মূঢ় অশ্বিনী যে কয়দেখা দাও আমায়রাইকে লয়ে বামে।।
    ৯৫নং তাল - একতালা
    হারে ও তম দূর হলোহরিচাঁদের আগমনে
    যত ভকত চকোর প্রেমেতে বিভোর মত্ত সুধা পানে।।
    এ চাঁদ অতি সুনির্ম্মলবড় সুশীতলহেরিলে নয়নে
    করে প্রেমে মাতোয়ারাদুনয়নে ধারাবহে রাত্রি দিনে।।
    এ চাঁদ করলে দরশনকিম্বা পরশন যে করে যখনে
    ও তার কল মান রাশিঅমনি পড়ে খসিদাসী হয় চরণ।।
    এ চাঁদ কাউরে নহে বাম সবার মনষ্কামপুরায় নিজগুণে।।
    ও চাঁদ কাউরে নহে বাম সবার মনষ্কামপুরায় নিজগুণে।।
    এ চাঁদ হইয়ে সদয়ভূতলে উদয়যশোমন্তের ভবনে
    এ চাঁদ অনাদির আদিগেলে ওড়াকান্দিদেখবি বর্তমানে।।
    দয়াল মহানন্দ কয়হরিচাঁদ উদয়জীবের ভাগ্য গুণে
    যাবে তম সন্দ তোরঅশ্বিনী বর্ব্বরহরিচাঁদের কিরণে।।
    ৯৬নং তাল - ঠুংরী
    বাঁকা সখা হরি হেদেখা দিয়ে প্রাণ রাখ
    আমি জঙ্গলে জঙ্গলেফিরি কাঙ্গাল পানে চেয়ে দেখ।।
    না দেখিলে প্রাণে মরিবিচ্ছেদ জ্বালা সইতে নারি;
    তবে জ্বালা সহিতে পারিতুমি যদি সুখে থাক।।
    তুমি আমার গুণমণিমন ভুলানো তনুখানি;
    তাইতে ওরূপ দিন রজনীদেখতে চায় মোর মন চাতক।।
    ভকত চাতক যততব রূপের অনগত;
    যে হয় তোমার মনের মতদিবানিশি তার হৃদয়ে থাক।।
    গোলোকচাঁদ সেই রূপ দেখিপালটীতে নারে আঁখি;
    ভক্তের হৃদয় সদায় থাকিঘুচালে ভক্তের দুঃখ।।
    মহানন্দ হেরে সে রূপজন্মের মত দিয়াছে ডুব;
    অশ্বিনী দেখলি না সে রূপঘুচল না সংসারের পাক।।
    ৯৭নং তাল - গড়খেমটা
    মরি তাই ভেবে মোরআর কি সে দিন হবে
    যখন বাল্যকালেমায়ের কোলেছিলাম সুনির্ম্মল স্বভাবে।।
    পিতামাতা তুষত আমায় আনন্দ উৎসবে,
    আমি কান্না নিলেকর্ণমূলেহরির নাম শুনাইত মধুর রবে।।
    মেরেছি ধরেছি কতচঞ্চল স্বভাবে
    তবু নাইক কষ্টসদায় তুষ্ট কত রস খাওয়াইত মিষ্ট ভেবে।।
    গেছে বয়স বেড়েসে ভাব ছেড়ে যৌবনের প্রভাবে;
    পেয়ে পুত্র দারাসে ভাব হারাডুবেছি সংসার রৌরবে।।
    গুরুর তবিল না হল মিলগণে দেখি এবে;
    আমি হুজুরে কি জবাব দিবযখন এসে হিসাব লবে।।
    মহানন্দের বাণীশোন অশ্বিনীমরিস না আর লোভে;
    তোর স্বভাব গেলেঅভাব যাবেপড়ে থাকগে গুরুচাঁদকে ভেবে।।
    ৯৮নং তাল-গড়খেমটা
    এ মহাদেশেতার হরির অভাব কিসে।।
    ও যার চরিত্র পবিত্র হৃদয়সদা প্রেমানন্দে ভাসে।।
    জলে হরি স্থলে হরি হৃদয় বাসে;
    ওরে অনলে অনিলে হরিহরিরূপ রসে গেছে মিশে।।
    যার হরিকথা হৃদয় গাঁথাতার তুলনা কিসে;
    ও সে হরিকথা কইতে কইতেনয়ন জলে বয়ন ভাসে।।
    হরিনামামৃত অবিরত পান করে যে বসে;
    হয়ে নামে রুচি সর্ব্ব শুচিনেচে বেড়ায় বেহাল বেশে।।
    হয়ে নামে নিপুননিদ্রা মৈথুন তাড়িয়াছে দ্বেষ দিসে;
    হয়ে পাগল পারামতোয়ারাএকবার কাঁদে একবার হাসে
    মহানন্দপাগল ছন্দপ্রেম দিয়ে কাম নাশে;
    অশ্বিনী তুই রইলি ভুলেহলি প্রেম ঘটলনা তোর কর্ম্মদোষে।।
    ৯৯নং তাল  ঠুংরী
    বড় ভাব লাগায়ে গেলি মনে
    প্রেমে তনু ডগমগ ধারা বহে দুনয়নে রে।।
    তোর ভাবনা ভেবে মরিধৈর্য্য হতে নাহি পারি;
    কি করিতে কি না করিভাবি নিশি দিনে (রে)।।
    তোর ভাবনা বক্রগতিমানুষ করে ছন্নমর্তি;
    তার হৃদয় জ্বলে বিষের বাতিপ্রবোধ নাহি মানে রে।।
    ভাবনা রোগ হলে বৃদ্ধি কি করিবে মহাঔষধি;
    ভাবনা রোগের নাইক বিধিআয়ুর্ব্বেদ নিদানে রে।।
    ১০০নং তাল - আড়া
    আপন বলিতে আমারকেউ হলনা ভবে
    যারে এত ভালবাসিসেও ডুবায় গৌরবে।।
    যার সুখের আশেআশাময় আকাশে, চাঁদ ধরব বলে উঠিলাম হরিষে
    সেও করিয়া ছলদিল রসাতলপরিণামে কি হবে।।
    যাহার জন্যতে ক্ষুধা তৃষ্ণা শীতে; অর্থ সঞ্চয় করি সে দুঃখ নাশিতে,
    সেও হয়ে বৈমুখদিল অশেষ দুঃখএখন মরি ভেবে।।
    সাধু সঙ্গে নাহি হল সৎ অন্তরঅসৎ সঙ্গে হল সদায় বিহার,
    যে আনিল মোরেএ ভব সংসারে; তারে গণিনা গৌরবে।।
    দীনবন্ধু হরি সকরুণ স্বরে সুধা করে লয়ে ডাকিল আমারে;
    নাহি চহিলাম ফিরেকরমেরই ফেরে অকুলে মরিলাম ডুবে।।
    দয়াল মহানন্দপ্রেম সুধা লয়ে, ঐ যে চলে গেল যাচিয়ে যাচিয়ে,
    তাহে না ভজিলামগরলে মজিলামঅশ্বিনী মরিল লোভে।।
    ১০১নং তাল - ঠুংরী
    দেহ পবিত্রময় হলে হৃদয়সেই দেহে হয় ভাবের উদয়
    অপবিত্র দেহ হলেতার দেখলে মহাভাব লুকায়।।
    ভাবগ্রাহি জনার্দ্দনভাবুক জনে কয়,
    ভাবের ভাবুক যারাজানে তারা,
    ভাব ছাড়া হরি নাহি রয়ইহা সাধু শান্ত্রে কয়।।
    সদানন্দ হরি আমার ভাবুকের হৃদয়,
    যোগী হৃদয় নচ নচ বৈকুণ্ঠ আলয়, হরি ভক্তের কাছে রয়।।
    ভাবিলে ভাবুকের দেহে কত ভাব উদয়,
    ভাব যোগ্য দেহ হলেশেষে হরিচাঁদকে পাওয়া যায় ইহা কভু মিথ্যা নয়।।
    ভাবের পাগলপ্রেমে বিভোলআনন্দ হৃদয়,
    ও সে প্রেমানন্দে সাঁতার খেলেধুলায় গড়ি যায়কত কেঁদে বুক ভাসায়।।
    প্রেমের পাগল মহানন্দ প্রেমধন বিলায়,
    জগৎ ভরি পেল সে প্রেমএকবিন্দু অশ্বিনী না পায়ও তার কঠিন হৃদয়।।
    ১০২নং তাল - ঠুংরী
    হরি তোমারই তুলনা তুমি
    কোন গুণে কার সনেহরি তুলনা করিব আমি।।
    সোনাচুনি মণিপরশ পাথর জানি, তব রূপ সনেকিসে বল গণি,
    তুমি শুন্যময়অন্ত কেবা পায়অন্তময় অন্তর্য্যামি।।
    ইন্দ্রচন্দ্রসূর্যতুমি সবার পূজ্য তোমার লাগিয়া সব করি তাজ্য,
    দেব মৃত্যুঞ্জয়হয়ে নিরাশ্রয়তোমারই আশায় বেড়ায় ভ্রমি।।
    অনাদির আদিতুমি গুণনিধি, বেদ বেদাঙ্গ বিধাতার বিধি,
    তুমি গুণাকরগুণের সাগরস্থাবর জঙ্গম ভূমি।।
    লক্ষ্মী দাসী যারভান্ডারী কুবের, অনন্ত গুণময় শিরোমণি শিবের,
    বিপদ ভঞ্জনশ্রীমধুসুদনজগৎ রঞ্জন জগৎ স্বামী।।
    প্রেম সম্বন্ধে বলে মহানন্দে, ব্রহ্মা শিব যারেকরযোড়ে বন্দে,
    তুল্য নাহি যারমহিমা অপারঅশ্বিনী কীটস্য কীট কৃমি।।
    ১০৩ নং তাল - কারফা
    তার রুপের কথা গুণের কথা বলা ভুল
    তার কি গুণ কবকি বর্ণিবঅনাদি যার পায় না মূল।।
    তার রুপের কথাবলব কোথাচাঁদ সূর্য্য নয় সমতুল;
    ও তার অবর্ণিত রূপ রাশিরূপ সাগরের নাহি কূল।।
    তার গুণের কাছেকি গুণ আছেসেই গুণেতে দিব তুল;
    সেত গুণাতীতগুণমণিযার গুণে জগৎ আকুল।।
    অনন্ত না পেল অন্তমহিমা ভেবে এক ধূল,
    ও সে বর্ণশ্বেরী বর্ণেহারীসমর্পিল জাতিকুল।।
    ও তার রূপ গুণের শেষনা পেয়ে শেষ পাতালাতে করল স্থুল
    ও তার নাম মাহাত্ম্য ব্রহ্মার সুতজানতে গিয়ে নামাককুল।।
    বলে স্বামী মহানন্দঅশ্বিনী তুই-হ আউল;
    ও তুই কি সুখ পেয়ে ভুলৈ রলিদেখে ভবের শিমুল ফুল
    ১০৪ নং তাল - গড়খেমটা
    গুরু পুণ্য ফাঁসি গলায় দিলে ধর্মবেড়ী পায়
    লয়ে তত্ত্বমসি দাঁড়াও আসি যাতে মোর মুক্তির বন্ধন কেটে যায়।।
    ভুক্তি মুক্তি দুই চাপড়াশী, আমায় ভোগবিলাসে অষ্টপাশে বাঁধতে চায় আসি,
    তাই দেখে চিন্ত মহিষীনয়ন জলেতে বয়ান ভেসে যায়।।
    নিবৃত্তি নামেতে ভগিনী, আমার বন্ধন দেখেমন দুঃখে হয় বিষাদিনী,
    আমার শান্তিময়ী জননী যিনিঐ দুঃখে পাষাণে বুক বেঁধে রয়।।
    গুরুকৃপা সত্যের কাছারী, হয়ে শশব্যস্তএই দরখাস্ত করি হুজুরী,
    যেন স্বর্গ জেল এড়াতে পারিনিবেদন করি গুরুর রাঙ্গা পায়।।
    বিবেক নামেতে ভাই আমার, আপীল করতে প্রেম বিলাতে হলেন অগ্রসর,
    রেখে অনুরাগ ভক্তি জুড়িদারশ্রদ্ধা অর্থব্যয় করল এ মামলায়।।
    তারকচাঁদ কেঁদে কেঁদে কয়, এই মানসা ওড়াকান্দীহরিচাঁদের পায়,
    অশ্বিনী যদি খালাস হয়চির দাস করে দিব রাঙ্গা পায়।।
    ১০৫ নং তাল - গড়খেমটা
    তুমি নাই রুপে কানাইতোমায়ে পলকে হারাই
    আড়ালে লুকায়ে রলিখুজে নারে পাই, কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাই।।
    তুইরে আমার চক্ষের মণিবক্ষের ধন দুঃখ হানি,
    মরিরে মোর গুণমণিলয়ে তোর বালাই
    আমারে কাঁদালে দুঃখেতুমি যদি থাক সুখে,
    দুঃখের বোঝা দাও আমাকেবহিয়া বেড়াই।।
    সুখময় সুখের নিধিসুখে থাক নিরবধি,
    আমি দুঃখে যদিতাতে ক্ষতি নাই।।
    ভুক্তি মুক্তি সুখ শান্তিতাতে সুখ নাই এক ক্রান্তি,
    তুমি যাতে থাক শান্তিতার মত সুখ নাই।।
    তারকচাঁদ ডেকে বলেঅশ্বিনী তুই অবোধ ছেলে,
    যত্ন বিনে রত্ন মিলেকভু শুনি নাই।।
    ১০৬ নং তাল - কারফা
    চলরে স্বদলে সেই ভজন বাদীর রণস্থলে
    এ রণে না জয়ী হইলেপড়বিরে বিষম গোলমালে।।
    কর রণের ষড়যন্ত্রশুদ্ধ রেখ হৃদয় যন্ত্র,
    ছেড়ে অন্য তন্ত্রমন্ত্র (হরি) নামের কামান লওরে তুলে।।
    শ্রদ্ধা রথে কর রথীবিবেক বন্ধ সেনাপতি;
    মন পবন কর সারথিচলরে রথ তালে তালে।।
    রণে পাঠাও মন মাতঙ্গরণে যেন দেয় না ভঙ্গ,
    বিপক্ষের সেনা অনঙ্গমযেন তার রণে পড়েনা ঢলে।।
    অনুরাগকে পাঠাও রণেযুদ্ধ করুক ক্রোধের সনে;
    বিনাশ করুক সহজ বাণেমঙ্কা যায় সেই ক্রোধ মলে।।
    লোভ মোহ মদ মাৎসর্য্যতারে মারুক ধৈর্য্য সহ্য,
    হবে দেহে সিংহ বীর্য্যগুরুর পদে প্রাণ সঁপিলে।।
    অশ্বিনী তোর কিসের সন্দসহায় গুরু মহানন্দ,
    শক্তি দিচ্ছে গোলোকচন্দ্রযার হুঙ্কারে পাষাণ গলে।।
    ১০৭ নং তাল - গড়খেমটা
    বাম করে ধর ভাবের গোবর্দ্ধন
    আমার অজ্ঞান ইন্দ্রের ঝড়ি বৃষ্টি ঘুচাও হে মধুসূদন।।
    জীবাত্মা ব্রহ্মার ভ্রান্তি দূর কর হে কাঙ্গালের ঠাকুর,
    আমার মুক্তিরূপ জমাল বৃক্ষ করহে সংচুর;
    আমার হৃদ কদম্ব তরুমূলে গো, প্রেম রাধার সঙ্গে হও যুগল মিলন।।
    মাৎসর্য্যরূপ কংশ যে অসুরক্রোধরূপ তৃণাবর্ত্তাসুর,
    আমার লোভ মোহঅঘা বকা নাশ কর ঠাকুর,
    আমার কাম কালীয় কর দমন গো, হিংসা রূপ পুতনা কর নিধন।।
    জ্ঞান মিশ্রানন্দালয়ে যাওআনন্দে নন্দের বাঁধা বও,
    আমার মতি যশোমতীর কোলে গোপাল বেশে রও,
    তুমি বাৎসল্য রস নবনী খাও গো, সঙ্গেতে লয়ে সখ্য রাখালগণ।।
    আত্মারাম রূপ বলায়ের সনে যাও মোদের সাধন তাল বনে,
    আমার মদান্ধকার বৃষাসুরকে বধ কর প্রাণে,
    নববিধ ভক্তি ধেনুগণে গো, আনন্দে চরাও হৃদি বৃন্দাবন।।
    হরিচাঁদ রূপে অবতার করিলে কলির জীব নিস্তার,
    মহানন্দ রূপে গুরু নিলে দেহের ভার,
    গোঁসাই তারকচাঁদের বাঞ্ছা এবার গো অশ্বিনী পায় যেন যুগল চরণ।।
    ১০৮ নং তাল - গড়খেমটা
    জগৎ পাগল করতে পাগল এল পাগল হরিচাঁদ
    পাগলে পাগল করে পাতিয়া প্রেমের ফাঁদ।।
    পাগলে পাগলের মেলাহতেছে পাগলের খেলা,
    সহজ পাগল হরিচাঁদ মোর নিশরিকালা,
    ও তার করণ ধারীনির্ব্বিকারীমত্ত পাগল গোলোকচাঁদ।।
    সেই ফাঁদে বেঁধে হীরামণদশরথ মৃত্যুঞ্জয় লোচন,
    পাগল হল সর্ব্বস্বধনদিয়া বিসর্জ্জন,
    পাগল মহানন্দতারকচন্দ্রআর এক পাগল বদনচাঁদ।।
    জুটে সব ভাবের পাগলপ্রেমরসে হল বিভোল,
    পুরুষ নারী করল পাগলবলে হরিবোল,
    লয়ে পাগল সবায়ষোলকলায় ওড়াকান্দি পূর্ণচাঁদ।।
    শুনে পাগলের হুঙ্কারনাচে ঐ পাগল দিগম্বর,
    মিলেছে পাগলের মেলাআনন্দ অপার,
    জীবের শঙ্কা গেলহরিবল পারের কর্ত্তা পাগলচাঁদ।।
    নিলে সেই পাগলের সঙ্গউঠবে তোর প্রেমতরঙ্গ,
    তালে তালে নাচবেরে মনমত্ত মাতঙ্গ;
    অশ্বিনীর জুড়াবে অঙ্গডেকে বলে তারকচাঁদ।।
    ১০৯ নং তাল - একতালা
    হরি প্রেম বন্যা এসে ভেসে যায়
    আমার জ্ঞান মার্গচতুর্ব্বর্গ ধর্ম্ম পূণ্য হল ক্ষয়।।
    হরিনাম পবন ডেকেছেসাগরে তুফান চেতেছে,
    যত অভিমানী কর্ম্মী জ্ঞানীরনৌকা ডুবেছে,
    তারা কুল পাব কুল পাব বলে গো,
    হরি প্রেম পাথারে সাঁতার খেলায়
    মহাভাব মেঘেরই উদয়অনুরাগ দেওয়অ গর্জ্জে তায়,
    নব রসের বৃষ্টি হয়েধরা ভেসে যায়,
    হল নাম সংকীর্ত্তন শিলা বর্ষণ গো
    মন্ত্র বীজ শস্যাদি হইল লয়।।
    যত সব ফলাফল ছিলমূল সহ ভাসাইয়া নিল,
    আমার মুক্তি তরুর মূলে ভেঙ্গে বন্যায় ডুবাল,
    যত বৈদিক ক্রিয়াগেল ধুয়ে গো
    তাই দেখে চিত্রগুপ্ত অবাক হয়।।
    প্রেম বন্যা প্লাবিত হয়েত্রিভূবন গেল তলাইয়ে,
    গোঁসাই মহানন্দতারকচন্দ্রযায় জোয়ার দিয়ে,
    গোঁসাই গোলোকচন্দ্র মকর হয়ে গো,
    হুক্কারে কাম কুম্ভীর তাড়িয়ে দেয়।।
    হরিচাঁদের ভক্ত যতদেখে সেই প্রেম বন্যার স্রোত,
    পরমহংস হয়ে কেলী করেহয়ে উন্মত্ত,
    গোঁসাই মহানন্দ বলছে ডেকে গো,
    অশ্বিনী ডুব দেরে প্রেমের গোলায়।।
    ১১০ নং তাল - একতালা
    হরি প্রেম সাগরে বান ডেকেছেঘটেছে মহা প্রলয়
    হয়েনামের পূবনউঠল তুফানভীষণ প্রলয় হয়েছেরে।।
    সত্য ক্রেতা দ্বাপরেতেযে প্রলয় না ছিল,
    এবার কলির শেষেহরিচাঁদ এসে সেই প্রলয় ঘটালরে।।
    আইল প্রেমেরই বন্যাবীজ মন্ত্র নাশ হল
    এবার তা দেখিয়াপঞ্চ জনার আনন্দ বাড়িল রে।।
    যে দিন শ্রীধাম ওড়াকান্দিহরিচাঁদ উদয় হল;
    জীবের চিত্ত সন্দকম্ম বন্ধসকল ঘুচে গেলরে।।
    ওড়াকান্দির প্রেমের বন্যায় তরঙ্গ বাড়িল,
    ও সে নারিকেল বাড়ী ডুবু ডুবজয়পুর ভেসে গেলরে।।
    প্রেমের বন্যায় পাক পড়িয়াউথলে উঠিল,
    গোঁসাই দশরথ লোচনগোলোক হীরামনমৃত্যুঞ্জয় ঝাঁপ দিলরে।।
    অভিমানী কর্ম্মী জ্ঞানীযারা বাকী ছিল,
    এবার প্রেম সাগরের ঢেউ লাগিয়োতারা সব ডুবিল।।
    ডেকে বলে মহানন্দকি আনন্দ হল;
    এবার অশ্বিনী বিহনে প্রেমে জগৎ মাতিল।।

    গান নংঃ ১১১-১৩০

    ১১১নং তাল - গড়খেমটা
    যে দিন গুরু কৃপা করেছে,
    আমার ভ্রান্তি মসিতম নিশিসেই দিন সুপ্রভাত হয়েছে
    আমার হৃদাকাশে চিদানন্দরবি উদয় হয়েছে।।
    হেরে আনন্দ ভাষ্করভয় পেয়ে ছয় রিপু তস্কর,
    ভেবে তারা বিষম দুষ্করহারে পলায়ে গিয়াছে,
    আমার হৃদ সরোজেশান্তিময়ী পুষ্কর বিকাশ হয়েছে।।
    পূর্ব্বাহ্ন কি সায়হ্নআমার সব ঘুচে হল মধ্যাহ্ন,
    শ্রীগুরুর কৃপা ধন্যসন্ধ্যাকে বন্ধ্যা করেছে,
    তাইতে না পেলাম ঠিকসন্ধ্যা আহ্নিকআত্মা তম্ময় হয়েছে।।
    পোহাল তমঃ নিশিঅনুরাগ এক সিংহ আমি,
    চিত্ত গিরি শৃঙ্গে বসিহারে সে হুষ্কার করতেছে,
    আমার কাম ক্রোধরূপহস্তী শার্দ্দুলভয়ে পলায়ে গিছে।।
    হেরে সেই রূপের আলোনিরানন্দ উলুক লুকাইল,
    জ্ঞান আত্মার মত্ততা গেলজ্ঞান শূন্য বিরাগ এসেছে,
    তারা আলোক পেয়েপুলক হয়ে দোহে নৃত্য করতেছে।।
    দয়াল মহানন্দ কয়আমার হরি সূর্য্য হল উদয়;
    কু-আশা কুতম লুকায়জীবের আর ভাবনা কি আছে;
    ভেবে অশ্বিনী কয় হরি বিনেভবে বন্ধু কে আছে।।
    ১১২নং তাল - আদ্দা
    গুরু পতির বসে বামে
    ও তোর এ দেহ দক্ষিণা দিয়েযেও না দক্ষিণাশ্রমে।।
    গুরু সন্তোষ অন্তঃপুরেবসে থাক মন জ্যোতির ঘরে,
    তবে ঐহিকে পর পুরুষ তোরেছোবেনা মন কোনক্রমে।।
    গুরু শাসন শাশুড়ীর পায়ভক্তি রেখ রে মন সদায়;
    তবে বধুভাব হইবে উদয়থাকবিরে মন শান্তিধামে।।
    গুরুচিন্তা শঙ্খ শাড়ীসাধ করে মন ধারণ করি,
    গুরুকৃপা শয্যায় শয়ন করিমজে থাক মন গুরুর প্রেমে।।
    গুরু প্রতি করলে রমণপুত্র হবে মনের মতন,
    ও তোর অনুরাগ হইবে নন্দনকন্যা হবে ভক্তি নামে।।
    তারক চাঁদের বাক্য ধরগুরু পতির কারণ কর,
    স্বামী মহানন্দের দয়া বড়অশ্বিনী কেন ডুবলি ভ্রমে।।
    ১১৩নং তাল - একতালা
    হরিচাঁদ প্রেমের আগুণ লাগল গায়
    আমার হৃদ কাননেআগুণ লেগেধর্ম্ম মন্দির দগ্ধ হয়।।
    মন্দিরে পুণ্য ধন ছিলও তা পুড়ে ছাই হল,
    আমার সাধন ভজনগিল্টির গহনাসব পুড়ে গেল;
    আমার ঘৃণা আসন লজ্জা বসন গো,
    এক কালে পুড়ে হল ভষ্মময়।।
    অনলের সহায় মন পবনপ্রেম ঘৃত ঢালছে গুরু ধন,
    আমার হিংসা নিন্দামহিষ গন্ডারমল অগনণ,
    ও সে কাম বাঘিনী ত্যজল জীবন গো
    ক্রোধ গজ পুড়ে ধরনী লোটায়।।
    কুলমান পড়সী যারাদেশ ছেড়ে পলাল তারা,
    আমার মুক্তিবাগেআগুন লেগেপুড়ে হয় সারা,
    আমার যোগ নিদ্রাবিমাতা ছিল গো,
    অষ্টপাশ ছেড়ে মাপালায়ে যায়।।
    প্রতিষ্ঠা ভগিনী ছিল মোরঅনল দেখে সে করে সোর,
    আমার প্রেমের আগুণনিবাইতে করল বহু জোর,
    ও তার পূড়ে গেলমান্য বাসর গো,
    তাই দেখে বিবেকভাই নেচে বেড়ায়।।
    অনলের তরঙ্গ দেখেতারকচাঁদ বলেছে ডেকে,
    ও তোর জীবন যৌবন আহুরি দেকাজ কি প্রাণ রেখে;
    গোঁসাই মহানন্দবলছে সুখে গো
    অশ্বিনীর মহাযজ্ঞের সময় যায়।।
    ১১৪নং তাল-একতালা
    করেছি মহাযজ্ঞের আয়োজন
    লয়ে যজ্ঞেশ্বরীএস হরিক্ষীরোদশায়ী নীরদবরণ।।
    জ্বালিয়া বিচ্ছেদ হুতাশনএ দেহ কাষ্ঠ সম্মিলন,
    আমার হৃদয় ঘটেচিত্তপটে দিয়াছি আসন,
    আমার ভজন পূজনঅশ্ব দিব গো
    আহুতি দিব এ জীবন যৌবন।।
    করিব পুণ্যক্ষয় যজ্ঞধর্ম্মকে করলেম উৎসর্গ,
    পঞ্চবিধা ভূক্তি মুক্তিদিব তায় অর্ঘ্য,
    আমি বর্গফলআমেশ্বর দিব গো,
    এ যজ্ঞে দিবপ্রতিষ্ঠা চন্দন।।
    এ যজ্ঞের শুন পরিণামসর্ব্বস্ব ত্যাগ সর্ব্বস্ব বাম,
    নাহি স্বর্গ নাহি মর্ত্ত্যফলে নিষ্ফল কাম,
    আমা লক্ষ্মী ভাগ্য যজ্ঞে দিব গো,
    মনেতে করেছি এই আকিঞ্চণ।।
    দশ দশা দশমী দিনেরসে প্রেম গঙ্গা পুলিনে,
    আমি মহাযজ্ঞসঙ্গ করিবযোগাসনে,
    যে দিনব্রহ্মরন্ধ্য যাবে ফেটে গো,
    সেই দিন হবে যজ্ঞ সমাপন।।
    স্বামী মহানন্দ কয়এই দশা ঘটবে যে সময়,
    আমার হরিচাঁদের শীতল কিরণলাগবে তখন গায়,
    ওরে অশ্বিনী তুই হ নিরাশয় গো,
    এ যজ্ঞের ফলে কি তোর প্রয়োজন।।
    ১১৫নং তাল-রাণেটী
    (আমার) আর কবে ঘুচিবে গুরুসাধন ভজন পৈশাচ বৃত্তি
    আমার সুখাভিলাষহবে বিনাশগুরুপদে হবে আর্ত্তি।।
    নিষ্কাম বৃক্ষের মূলেতে যাব (হারে) বিচ্ছেদ অগ্নিকুন্ড জ্বেলে বসিয়া রব
    (আমি) চিন্তাভষ্ম গায় মাখিব(ও গুরু আমি) কাঁদব বলে গুরুপতি।।
    ধর্ম পূণ্য হবে বিসর্জনকবে হবে গুরুপদে আত্ম সমর্পণ
    আমার জ্ঞান পুত্রের হইবে মরণ(ওরে) ঘটবে প্রেম অবলার রীতি।।
    কবে আমার ঘুচবে শুচি বাইঅঘোর পন্থী হয়ে সদা কাঁদিয়া বেড়াই
    (আমি) সন্ধ্যার মুখে মাখিয়া ছাই(ও কবে) মধ্যাহ্নকে করব স্থিতি।।
    কবে আমার ঘুচবে আমিত্বগুরুর পদে মন মজাইয়ে করিব নৃত্য
    (আমি) হব গুরুর অনুগত(আমার) জ্বলবে হৃদয় বিচ্ছেদ বাতি।।
    দয়াল মহানন্দ আনন্দ রবিকবে হৃদয় উদয় হবে (আমি) বসে তাই ভাবি
    গোঁসাই তারকচাঁদ কয়দেখতে পাবি (ওরে) অশ্বিনী হ’ ছন্নমতি।।
    ১১৬নং তাল-গড়খেমটা
    আমায় কি সপ্ন দেখালেগুরু স্বপ্ন দেখালে
    আমার সর্ব্বস্ব ধন,করে হরণআজ আমার দেউলা নাম লেখায়ে দিলে।।
    আমার দেহ জমিরাজ্য ভূমিবাকীর দায় নিলাম করিলে,
    আমার বাস্তু বাড়ীনিলে কাড়িআজ আমায় চিন্তা কান্থা গলায় দিলে।।
    আমার সাধন ভজনভ্রাতা দুজন রাজ্য হতে তাড়িয়ে দিলে,
    আমার পুণ্য অর্থছিল যতআজ হতে খাস বাজারে লুঠাইলে।।
    আমার সুখ সুন্দরীবিলাস নারীছিলাম যাহার মায়ায় ভুলে,
    আমার দুঃখের ভরাদেখে তারাসেও আমাকে গেল ফেলে।।
    আমার শুচি মাতাআচার পিতাচিরকাল যার ছিলাম কোলে,
    আমার দশা দেখেমনের দুঃখেতারা আমায় ফেল্ল ঠেলে।।
    বলে গোঁসাই মহানন্দঅশ্বিনী তুই অবোধ ছেলে,
    যারে মাতা ছাড়েপিতা ছাড়েঅন্তিমে হরিচাঁদ তারে করে কোলে।।
    ১১৭নং তাল - একতালা
    হরিচাঁদ দৃষ্টি ভূতেভুতে পেল যারে
    কি অদ্ভূদ সেই ভূতের দৃষ্টিরে,
    পঞ্চ ভূতের দফা সারে হারে কর্ম্ম সারে।।
    নাই তার গুরু জনার ভয়কণ প্রলাপ বাক্য কয়,
    কখন হাসে কখন কাঁদেকখন ধূলায় গড়ি যায়,
    কখন বীরাচারেহুঙ্কার ছাড়েরে,
    কখন করুণ স্বরে রোদন করেকত রোদন করে।।
    নিরাশ্রয় ছাড়া ভিটায় রয়নাই তার ঘৃণা লজ্জার ভয়,
    আহার বিহার পরেজীবের লাগে ভয়,
    ও তার লস্ফ ঝম্পদেখলে পরে,
    কত গৃহবাসী গৃহ ছাড়েহারে গৃহ ছাড়ে।।
    ভৈরবী ভৈরব রবেকি যেন বলে কি ভেবে,
    সে ভারতী বুঝতে শক্তিধরে কি সবেও তা বুঝলে,
    পরেকর্ম্ম সারেঅমনি দৃষ্টি ভূতে ধরে তারেহারে ধরে তারে।।
    দৃষ্টি রোগের নাহিকবিধানআয়ুর্ব্বেদ খুজিলে নিদান,
    তন্ত্রে মন্ত্রে সারে না রোগহল বৈদ্য হতজ্ঞানকত ওঝা
    বৈদ্য হল হদ্দদৃষ্টি রোগ না সারতে পারেহারে সারতে পারে।।
    সে রোগের রোগী হীরামণগোলোকচাঁদ মৃত্যুঞ্জয় লোচন,
    যার হয়েছে দৃষ্টিরোগসে আর সারবে না কখন,
    বলে গোঁসাই তারকসে দৃষ্টিরোগ,
    অশ্বিনী তোর ঘটল নারেহারে ঘটল নারে।।
    ১১৮নং তাল - একতাল
    হরি প্রেম মদের নেশানেশা যার লেগেছে
    হয়ে মত্ত মাতালহালছে বেহালপ্রেমের মদ খেয়ে,
    সে মেতে গিছেহারে মেতে গিছে।।
    গাঁজা ভাং ধুতরায় কি করেমুষ্টিযোগ দিলে যায় সেরে,
    যার লেগেছেপ্রেমের নেশাও তার অনুক্ষণ বাড়ে,
    ও সে নেশার ঝেঁকে প্রলাপ বকেসাইজি বলে হাই ছাড়তেছেশুধু হাই ছাড়তেছে।।
    প্রেমের নেশার নাই বিরামতিলেক দন্ডে নাই আরাম,
    কখন বলে হরেকৃষ্ণকখন বলে রামও সে নেশার ভরে,
    নৃত্য করেনয়ন জলে ভাসিতেছে হারে ভাসিতেছে।।
    প্রেমের নেশাতে পাগলও সে কেটে ভবের গোল,
    আর কোন বোল নাইরে মুখেকেবল বলছে হরিবোল,
    তার হরির নামেলোমে লোমে সর্ব্ব অঙ্গ জ্বারিতেছেহারে জ্বারিতেছে।।
    প্রেমের নেশাতে অজ্ঞানধর্ম্ম পূণ্য দেয় না স্থান;
    অষ্ট পাশের দফা সারাবেদ বিধি মানবে কেনও তার
    সন্ধ্যা আহ্নিকনাই কোন ঠিকমন মানুষেমিশে গিছে হারে মিশে গিছে।।
    স্বামী মহানন্দ কয়প্রেমের মদ নিবি কে আয়,
    শ্রীগুরুর আনন্দ মেলায়প্রেমের মদ বিকায়,
    বলে তারকচাঁদেবিষয় মদেঅশ্বিনী ভুলে রয়েছে হারে পড়ে পেচে।।
    ১১৯নং তাল এক তালা
    আমার জন্ম মৃত্যু দুট অশৌচ পল
    তাইতে পূজা ব্রতহল হত,
    আমার বৈদিক ক্রিয়া বাদ পড়িলহারে বাদ পড়িল।।
    হরি প্রেমে রোগে আক্রমণআমায় করিল যখন,
    ছিল অষ্ট পাশেমা মহামায়াত্যজিল জীবন,
    গুরু কৃপা ক্রমেবিবেক নামে,
    সেই দিনে এক পুত্র হল, হারে পুত্র হল।।
    ঠেকেছি গুরুদশার দায়ভাগ্যে কি যেন কি হয়,
    শৌচ আচার ত্যাজল আমায়লেম অশৌচী আশ্রয়,
    আমায় সাজিয়ে বেহালপথের কাঙ্গালভাবের উত্তরী,
    এক গলায় দিলহারে গলায় দিল।।
    শ্রীহরিপদ পদ্ম গয়ায়শ্রীগুরু পাঠলেন আমায়,
    যোগ মায়া জননীর শ্রাদ্ধ করিবার আশায়,
    আমার সব ঘুচায়ে মন মুড়ায়ে,
    মত পোড়া আউল করিলআউল করিল।।
    কটিতে কটকৌপিন দিয়েঅনুরাগ ডোর তায় পরায়ে,
    নিহেতু এক শিক্ষা শিরেদিল ঝুলায়ে,
    আমায় ভক্তি তিলক ফোঁটা দিয়ে,
    বিনা সূতের মালা দিলহারে মালা দিল।।
    মহানন্দের ভারতিএই রূপে সেজে প্রকৃতি,
    দিবা নিশি সেবা কর শ্রীগুরু পতিঅশ্বিনী তোর
    কি দুর্গতিগুরুর প্রতি রতি না হলহারে মতি না হল।।
    ১২০নং তাল-কাশ্মিরী
    কেউ যদি ঢেউ ধরতে পারপ্রেম সরোবরে।।
    অখন্ড ব্রহ্মান্ড সে ঢেউচলে ভেদ করে।।
    ঢেউ লেগেছে যার অন্তরেসে কি ঘরে রইতে পারে,
    ঝাঁপ দিয়ে সেই প্রেম সাগরেআর ফিরে এলনা ঘরে।।
    ঢেউ লেগে কেউ হয়েছে মাতালমাতাইল আকাশ পাতাল,
    জয় করে সেই কাল মহাকালঢেউ দিয়ে জগৎ পাগল করে।।
    দুই এক জনার যোগ ভাগ্যেপাগল হল সেই ঢেউ লেগে,
    তনুজ্বলে অনুরাগেপ্রেমানন্দে নৃত্য করে।।
    ঢেউ লেগে সেই গোলোক পাগলমুখেতে নাই আর কোন রোল,
    জয় হরিবোল গৌর হরিবোলবলে সদায় হুঙ্কার ছাড়ে।।
    মহানন্দ সেই ঢেউ ধরিরেখেছে ঢেউ হৃদয় পুরী,
    মাতাইল পুরুষ নারীঅশ্বিনী তুই মাতলি নারে।।
    ১২১নং তাল কাশ্মিরী
    নিদান বন্ধু বটেএই ভবের হাটে
    নিদানে পড়িলে মনে কত ভাব উঠে।।
    নিদান আমার বন্ধু ধরে যারেভোগ বিলাসের দফা সারে,
    সুখ পৈশাচি তাড়িয়ে দূরেদুঃখ সম্পত্তি দেয় গো জুঠে।।
    সুখ পেলে মন রয় না বাটীধরতে চায় সে বিষের বাটি,
    বোঝাই করে ময়লা মাটীডুবে মরে ভবের ঘাটে।।
    দুঃখ ভার্য্যা তাপ রজকিনীমনের ময়লা ঘুচান তিনি,
    দন্ড সাবান জ্বালিয়া ধনিমনকে কাচে শাসন পাটে।।
    দীন বন্ধু হরি যিনিনিদানেরই বন্ধু তিনি,
    তত্ত্ব জেনে শূলপানিসদায় সে শ্মশানে ছোটে।।
    দয়াল মহানন্দ বলেগুরু দন্ড না হইলে,
    কিসে মনের ময়লা খোলেঅশ্বিনী তুই যাস না চটে।।
    ১২২নং তাল কাশ্নিরী
    মন চল যাই বিদেশ ছেড়ে নিবৃত্তিপুরে
    তথায় আছে শান্তি মা আমারদেখ মন্দিরে।।
    বিদেশে বাণিজ্য দিয়েমা আছেন পথ পানে চেয়ে,
    ভুলে রলি কি সুখ পেয়েএদেশে তোর বন্ধু কেরে।।
    হয়ে রলি মায়ার সেবকখুলে ফেল মণি মজক,
    দুদিন পরে দেখবি নরকদেশে যাওয়া হবে নারে।।
    এদেশে রয় দিশে হরিদিক ভুলায়ে করে চুরি,
    নৌকায় দিবে কুঠার মারিআপন আপন বলিস যারে।।
    ধন অনুরাগের বৈঠে বেয়ে চল প্রেমের হাটে,
    নাও লাগাসনে ভবের ঘাটেশুল্লুক জাহাজ যাচ্ছে বুড়ে।।
    গুরুচাঁদ তাই করছে মানাভবের ঘাটে কেউ যেওনা,
    অশ্বিনী তোর মন ভালনাডাকলে কেন শুননারে।।
    ১২৩নং তাল - কাশ্মিরী
    মনে ভাবি কাঙ্গাল হববেহাল সাজিব
    ছেড়া কান্থা করিয়া ধারণগাছতলায় যাব।।
    মহামায়া মাতা যিনিকাতর বাক্যে বলেন তিনি,
    কোথায় যাওরে যাদুমণিকোন প্রাণে তোরে বিদায় দিব।।
    প্রবৃত্তি মহিষী এসেবাঁধতে চায় সে ভোগ বিলাসে,
    ভুলাতে চায় মায়া রসেকেমনে তারে প্রবোধ দিব।।
    লোভ মোহ পুত্র ছয়জনবিনয়বাক্যে করে বারণ,
    পুত্রের মায়া করে ছেদনপ্রানান্তে যেতে দিব।।
    আমোদ আহলাদ প্রতিবেশীযাত্রা ভঙ্গ করে আসি,
    কি দুঃখে হও বিদেশবাসীগৃহে তোর কি অভাব।।
    পাগলচাঁদ কয় অনুরাগেআর কতকাল মরবি ভুগে,
    অশ্বিনী তুই এই সুযোগেবাহির হ তোর সঙ্গে যাব।।
    ১২৪নং তাল -
    আমি পিতৃমাতৃ হলেম ত্যাগী বিষয় বিরাগী
    ঘরে বসে কাঁদিবে বিলাসভার্য্যা অভাগী।।
    ত্যাগ করিলাম পুত্র কণ্যেগৃহে থাকি যাহার জন্যে,
    মন মতি হয়েছে হন্যেকি যেন কি বস্তু লাগি।।
    পিতা কাঁদলে করে হায় হায়কঠিন পাষাণ বলি তোমায়,
    বল ভবে কেউ কারো নয়পাষাণে বুক বাঁধ রাখি।।
    পাখী যত আছ ডালেমা কাঁদিলে পুত্র বলে
    তোমরা ডেক মা বোল বলেপ্রহরে প্রহরে জাগি
    ভার্য্যা কাঁদলে চিকন স্বরেকাল ভ্রমর কই তোমারে,
    বুঝাইও গুণ গুণ স্বরে কেউ কারো নয় দুঃখের ভাগী।।
    গুরুচাঁদের শাসন চোটেভব বন্ধন গিছে কেটে,
    কাঁদতে হবে ঘাটে মাঠেঅশ্বিনী হও প্রেম বৈরাগী।।
    ১২৫নং তাল - কাশ্মিরী
    এই দেখা ত শেষ দেখা ভাইবালাই লয়ে যাই
    এ ক্ষেপে দেখা পাই কি না পাই।।
    দেখা হল কত শতহয়না দেখা মনের মত;
    মনের দুঃখ আর বলব কতজন্মের মত বিদায় হতে চাই।।
    যা হবার তা হয়ে গেলভবের খেলা সাঙ্গ হল;
    বন্ধুবর্গে হরিবলযার আমি ভাই তারে যেন পাই।।
    ১২৬
    সমর্পিত দেহ মম আমিত্ব কি আর,
    আমিত্ব স্বামীত্ব তুমি সর্ব্ব মূলাধার।।
    মহাভাব ভাবিনীর বশেমহাসাগর মহারসে,
    দেহ তরী যাচ্ছে ভেসেনা পেলাম কিনার।।
    তুমি নিত্য নবীন নেয়েএ তরীর কান্ডারী হয়ে,
    প্রেম সাগরে বেড়াও বেয়েওগো গুণধার।।
    তব কৃপা-অনুযোগেহরিণাম বাতাসের বেগে,
    লছে তরী অনুরাগেআনন্দ বাজার।।
    গুরুর কৃপায় ঘুচলো ভ্রান্তআমি কান্তাতুমি কান্ত,
    পূর্বের মন যদি তাই জানতথাকত না বিকার।।
    স্বামি মহানন্দ বলেমন প্রাণ না সপিঁলে,
    কোথায় হরি পতি মেলেঅশ্বিনী বর্ব্বর
    ১২৭
    বিপদ সুপদ মন উভয় একাকার 
    নিরাশা দরিয়ার মাঝেদিয়াছি সাঁতার।।
    সুমতি কুমতি দুজনদ্বন্ধ ঘুচে হল এক মন,
    য়ে তারা প্রেমের ভাজনল নির্ব্বিকার।।
    ভক্তির কণ্টক যে পঞ্চজনপ্রেমানলে হল দাহন,
    তাই দেখে ছয়জনকাঁদে অনিবার।।
    প্রেমানুরাগ হব বলেভাসিতেছে নয়ন জলে,
    ঝাঁপ দিতে চায় প্রেম সলিলেঅকুল পাথার।।
    প্রেম উন্মত্ত হয়ে সবেহুঙ্কার ছারে সিংহরবে,
    প্রাণ দিয়ে সেই প্রাণ বল্লতেকামনা কি আর।।
    ডেকে বলে তারকচন্দ্রমহানন্দের কি আনন্দ,
    দেখলি না অশ্বিনী অন্ধআনন্দ অপার।।
    ১২৮
    যারে নয়ন ধরগে তারেযে রূপে প্রাণ নিল হরে,
    দেখতে দেখতে নয়ন তারেপলক দিতে যায় গো সরে।।
    তুই নয়ন মোর বান্ধব ছিলিতবে কেন পলক দিলি,
    পলকে রূপ হারাইলিআর কি দেখা পাব ফিরে।।
    তুই নয়ন থাকতে প্রহরীতবে কেন সেই চোরা হরি,
    মন প্রাণ করে চুরিআমায় যায় পাগোল করে।।
    যে রূপেতে মন মজিলোসেও যদি আজ ছেড়ে গেল,
    এ জীবনে কাজ কি বলকাজ কি এ ছার জীবন ধরে।।
    মন প্রাণ দিলাম যারেসেও যদি আজ না চায় ফিরে,
    এ দুঃখ আর বলব কারে, ওই দুঃখে মোর বুক বিদরে।।
    গোলকচাঁদের মনচোরাহানন্দের মনোহরা,
    ধরবি যদি অধর ধরাঅশ্বিনী থাক জীয়ন্তেরে।।
    ১২৯
    হরি দয়াময় করলে কি আমায়
    তব বিচ্ছেদ জ্বরে দহিছে হৃদয়।।
    প্রেম দাহানলেসদায় মরি জ্বলে
    এই ছিল কপালেকরি কি উপায়।।
    তব বিচ্ছেদ জ্বরহইলো প্রবল
    চিন্তা পথ্য তায়কুপথ্য ঘটালো।।
    স্বাত্বিক বিকারেখেত বৃদ্ধি করে
    হরি বিনেপিপাসায় প্রাণ যায়।।
    বুঝতে নারি গতিযেন সান্নিপাতি
    দুরন্ত পিপাসানা হয় নিবৃতি।।
    দুর্ব্বৈদ্য আসিয়াশিয়রে বসিয়া
    এক বিন্দু বারি না দিল আমায়।।
    অধৈর্য্য উলূর্ব্বাননাহি কোন ঞ্জান
    জলধর বিনেজ্বলে যায় প্রাণ।।
    জ্বরে তনু জ্বরশুষ্ক ওষ্ঠাধার
    নিরস রসনাপিপাসায় প্রাণ যায়।।
    তৃস্না-তন্দ্রা-নিদ্রামোহ কম্পকায়
    স্বেদ অশ্রু পুলকবিকারে প্রাণ যায়।।
    হেন নাহি বন্ধুহরি কৃপাসিন্ধু
    এক বিন্দু বারিএনে দেও আমায়।।
    বলে মহানন্দহরি প্রেমসিন্ধু
    অশ্বিনী তোর ভাগ্যেঘটলনা এক বিন্দু।।
    গুরুচাঁদের পদ কররে সম্পদ,
    তবে পাবি সে ধন শ্রীগুরুর কৃপায়।।
    ১৩০
    হরি নামে পাপ খন্ডেকহে কোন ভন্ড
    হরিভক্ত এমনি শক্তচায়না সে বিধাতার ব্রহ্মাণ্ড।।
    কার উচ্চারনে মাত্রঅষ্টাদশ সিদ্ধি হয় প্রাপ্ত
    ভুক্তি মুক্তি দূরীভুতলুক্কায়িত কর্মকান্ড।।
    রি’ কার উচ্চারণ হলেঅনর্পিত প্রেম ফলে
    মোক্ষ ফল সে ফেলায় ঠেলেধর্ম্ম তার কাছে হয় দণ্ড।।
    হরিভক্ত সিংহ-শাবকঅন্তরে অনুরাগ পাবক,
    নরের আর থাকেনা নরকশরণ নিলে তিলেক দণ্ড।।
    গঙ্গাস্নানে পাপ হতগঙ্গাকে করে পবিত্র
    পরশ মাত্র হরিভক্তসাধু হয় যত পাষন্ড।।
    গোসাঁই তারকচাঁদের বাণীশ্রবণ মাত্র হরি ধ্বনি

    প্রাপ্ত হয় প্রেম আহলাদিনীঅবিশ্বাসী অশ্বিনী ভন্ড।।


    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.