শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
শ্রীশ্রী হরির ভাব সঙ্গীত গান নংঃ ১-১৫ - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    শ্রীশ্রী হরির ভাব সঙ্গীত গান নংঃ ১-১৫

    গান নংঃ ১-১৫

    শ্রীশ্রী হরির ভাব সংকীর্ত্তন
    উৎসর্গ
    এই সঙ্গীতাবলী
    মহা প্রভু শ্রীশ্রী হরিচাঁদের
    শ্রীশ্রীহরি গুরুচাঁদের
    শ্রীশ্রী চরণার বিন্দে
    উৎসর্গীকৃত
    সমর্পিত
    হইল
    -গ্রন্থকার
    শ্রী দীনবন্ধু ঠাকুর
     
     
     
    সূচনা
    গুরুদেব শ্রীযুক্ত হরি গোস্বামী। তাঁহার আদেশে এবং দয়া-গুনে এই সঙ্গীতাবলী রচনা করা হয়। গুরুদেব একদিন ১৩৪২ সালে ১০ই ফাল্গুন বুধবার তারিখে বরিশাল জেলার বাধুরপুর গ্রামে নিকুঞ্জ বিহারী মতুয়ার বাড়ীতে বসে অনুকূল পন্ডিত কে বলেছিলেন অনুকূলতোমার বিদ্যা ও জ্ঞানশক্তি আছেতুমি তো গান তৈয়ার করতে পা। তুমি গান তৈয়ার করিবা। এখনই একটি গান তৈয়ার করে আমাকে শুনাও” তদুত্তরে তিনি কাগজ ও কলম লয়ে বসিলেন। এই কথা যখন উত্থাপন হয় সেই সময় সেই বিছানায় দীনবন্ধু বসা ছিল। শ্রী গোস্বামীর ঐ শ্রীমুখের বাক্য শুনে দীনবন্ধু গুন গুন রবে তান ধরে শ্রীহরির নাম-পদ রচনা করিতেছিলেন। ঐ সুরের সঙ্গে সঙ্গে অমনি বোল উঠতে লাগল। সেই গান শুনে শ্রীগোস্বামী হেসে উঠে বললেনদীনবন্ধু গান তৈয়ার করতে অনুকুলকে বললামসেই গান কি তৈয়ার করলি তুইতবে আজ হতে তুই গান তৈয়ার কর” সেই দিন হতে শ্রীশ্রীহরি ঠাকুরের নামপদ গান তৈয়ার করতে আরম্ভ হয়
    এ দিকে অনুকূল পন্ডিত একটা গান বেঁধে তার সুর করতে না পেরে গান রচনা করিতে খান্ত করিল। তার দ্বারা গান রচনা হল না। তৎপর ১৩৫১ সালে শ্রীযুক্ত শ্রীপতি প্রসন্ন ঠাকুর বরিশাল জিলার কাঁঠালিয়া দীনবন্ধুর সেই গান শুনে বলিলেন দীনবন্ধু তোমার গানে আমি অতি সন্তুষ্ট হয়েছিকিন্তু যাহাতে এই নাম জগতে প্রচার হয় তা করাই তোমার উচিৎ। নামেই মনের অন্ধকার ঘুঁচে। তাতেই জীবের মুক্তিদীনবন্ধু এই কাজে কখনো আলস্য করিও না” সে কথার উপর দীনবন্ধু বলিলেন,  বাবাআমি বিদ্যাবুদ্ধিহীন অতি জঘন্য দুর্ভাগা; আমার দ্বারা কি হবে” তদুত্তরে ঠাকুর বলিলেন দীনবন্ধু গুরুর প্রতি ভক্তি রাখিস্,গুরুই দেহের মালিকগুরুই সর্বস্তগুরুর প্রতি ভক্তি মতি রাখিলে  সর্ব্ব কর্ম্মে সুফল ফলে। হরি হরি
    ২১শে কার্ত্তিক১৩৫৮ সাল।                 -গ্রন্থাকার
    দীনবন্ধু ঠাকুর বরিশাল জেলায় বাউফল থানা অন্তর্গত ঘুচরাকাঠি গ্রামে ১৩১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁহার পিতার নাম কালীচরণ ঠাকুর ও তার মাতা আদ্যা দেবী
     
    সন্ধ্যা আরতি
    রাগিনী  শানিরা
    ১.  তাল - একতালা
    ডুবল দিনমণি এল রজনী
    দিবা অবসানে সন্ধ্যায় কর, হরিনামের ধ্বনি
    ও তাঁর নামের বলেপাষাণ গলেরেউজান বহে তরঙ্গিণী।।
     
    শ্রীহরির চরণ আমিকরজোরে বন্দি,
    জন্ম সফলা নগরীবসত করে ওড়াকান্দী
    ও তাঁর রূপে জগৎ আলো করে রে’ অন্নপূর্ণা তার জননী।।
     
    আমি কৃষ্ণদাসের চরণ বন্দিবন্দি বৈষ্ণব দাসের পায়,
    গৌরিদাস স্বরূপদাস বন্দিবন্দি কাতর হৃদয়
    দয়াল গুরুচাঁদের চরণ বন্দিরেবন্দি সত্যভামার শিরোমণি
     
    শ্রী শশী সুধন্য চাঁদেরবন্দি শ্রীচরণে
    উপেন্দ্রসুরেন্দ্র বন্দিবন্দি অতি যতনে
    আমি বন্দি কায়মনেশ্রীপতির চরণেবন্দি মঞ্জুলিকার পা দুখানি।।
     
    বিশ্বনাথের চরণ বন্দিবন্দি ব্রজনাথের পাও,
    ব্রজনাটুর চরণ বন্দিআমায় ঐ চরণে নেও
    আমি মাতা পিতার চরণ মন্দিরেহয়ে আমি দীন দুঃখিনী।।
     
    তার পরে বন্দনা করিদশরথ গোস্বামী,
    মৃত্যুঞ্জয়ের চরণ বন্দি যাহারভক্তি বাধ্য অন্তর্য্যামী
    আমি বদন গোসাইর চরণ’ বন্দিরে,
    হরিনাম বিনে নাই অন্য বাণী।।
     
    গোলক চাঁদের চরণ বন্দিবন্দি হীরামণের পায়,
    লোচন গোসাইর চরণ বন্দিবন্দি শ্রীহরির দয়ায়
    গোসাই তারক চাঁদের চরণ বন্দিরে,
    হরি লীলামৃত লিখিলেন যিনি।।
     
    আমি তাপরে বন্দনা করিহরি গোসাইর শ্রীচরণ,
    জীবন অন্তকালে যেনকরি ঐ রূপ দরশন
    মাতা হরিদাসীর চরণ বন্দিরে,
    হরি গোসাই যার হৃদয় মণি।।
     
    আমি এই সকল গোসাইর চরণেকরি যে মিনতি,
    ভক্তি শূণ্য দীন দৈন্যআমার কি হবে গতি
    অধম দীন দৈন্যহৃদয় মাঝে সদায়হরি হেরি যেন মুরতি খানি।।
     
    সরস্বতীর স্তুতি
    রাগিনী - ঝিঝিমারী
    । তাল-একতালা
    মম কঠিন হৃদে মাগো হও অবস্থান।।
    হও অবস্থান হও অবস্থান।।
     
    । হরি গোসাইয়ের দয়াগুনেমাগিতেছি কায়মনে মা
    শ্রীহরি মা শান্তি দেবীরবন্দী যুগল চরণ।।
    । গুরুচাঁদের কৃপা ডুরিগলে দেও দয়ার মাধুরী মা
    এ অধমের সর্ব্ববাঞ্ছা করগো মা পূরণ
    । করি পদে এই মিনতিএস কণ্ঠে সরস্বতী মা
    আমার নাহি শক্তি’ ভাব ভক্তিনাহি আর্থীধন।।
    । প্রথমে বন্দিলেম চরণপটরে বন্দী রূপের কিরণ মা
    (তব) রূপে গুনে ছড়াইলএ তিন ভুবন।।
    । পদযুগে সোনার নুপুরবাদ্য হয় তার রুন ঝুনু মা
    রক্তজবা পদে দিয়ে করিয়াছ সাজন
    । জলপদ্ম রয় বাহু যুগেমুক্তামালা গলে সাজে মা
    গজমতি হার গলে চূড়া শিরে ধারণ।।
    । শ্বেতমাতা সরস্বতীতব পদে করি স্তুতি মা
    তুমি বাগদেবী  কণ্ঠেশ্বরীভুতলে মান্যবান।।
    । কৃপাকর কৃপাময়ীসে কৃপাতে ধন্য হই মা
    তুমি বীনাপাণি কণ্ঠধ্বনিযোগাও মধুর বলি মা
    জগতে মা সে বোল আমার হয় যেন অখন্ডন।।
    ১০। জগৎ জোড়া নামটি তোমার চরণেতে দিয়েছি ভর মা
    এই দীন হীন সন্তানে দেখদিয়ে দুটো নয়ন।।
    ১১। এই ভিক্ষা মা তব পদেদয়া ধূলি দেও মোর হৃদে মা
    অধম দীনবন্ধুর সর্ব্ব কর্ম্মে রাখিও মা স্মরণ।।
     
    আসর
    রাগিনী জয় জিয়া লই
    । তাল  কাহারবা
    হরি এস আসরে,
    বসিবার আসন রেখেছি হৃদয় মন্দিরে
    হরি হৃদ আসনের মালিক তুমিএস যুগল রূপ ধরে।।
    । সাদা আসন মন ফুলেসাজায়ে রেখেছি,
    তুমি আসরে আসিলে আনন্দে নাচি
    আসরে হয়ে উদয়আনন্দময়আনন্দে রাখ মোরে।।
    । ভক্তের বাঞ্ছা পূর্ণকরযশবন্তের নন্দন
    শান্তি মায়ে সঙ্গে লয়েকর আগমন
    তুমি ক্ষীরোদের ধন মধুসূদন শ্রীচরণদেও আমারে।।
    । পতিত পাবন নামটি তুমি করেছ ধারণ
    হৃদয় আসরেতে হরি কর পদার্পন
    তুমি আসরে আসিবে বলে বসেছি আশা করে।।
    । (অধম) দীনবন্ধুর মন বাঞ্ছারয়েছে ভারি
    ফুল চন্দন তুলসী পদেদিব বিরাগ ভরি
    হরি গোসাইর দয়ায়বাঞ্ছা হৃদয়
    অঞ্জলি দিব তোমারে।।
     
    ছত্রিশ নামাবলী
    রাগিনী-জয় জিয়া লই
    হরি বিপদ ভঞ্জন শ্যাম গুনমনি।।
    জয় জগৎপতি হরিচাঁদ জয় জয়।।
    যার নামে রূপে দীপ্ত হল বিশ্বময়।।
    জয় শ্রীকৃষ্ণ দাস জয় বৈষ্ণব দাস
    জয় গৌরিদাস পূর্ণ কর অভিলাষ।।
    জয় শ্রীস্বরূপ চন্দ্র জয় পঞ্চভ্রাতা
    যশবন্ত অন্নপূর্ণা হয় পিতা মাতা।।
    জয় জয় গুরুচাঁদ শ্রীশশী সুধন্য
    আকুল পরানে গাগি উপেন্দ্র সুরেন্দ্র।।
    অন্নপূর্ণা শান্তিদেবী জয় সত্যভামা
    সর্ব্ব জন্মের অপরাধ মোরে কর ক্ষমা।।
    জয় ভগবতী ঠাকুরের জয় জয়
    ভিক্ষা দাও পদে মতি সদা যেন রয়।।
    শ্রীপতি ঠাকুর মাতা মঞ্জুলিকা জয়
    জম্মে জন্মে কৃপা দৃষ্টি দিও হে আমায়।।
    প্রমথ সম্মথ দয়া কর নিজ গুনে
    শান্তি হরি দেখা দেও হৃদি কুঞ্জবনে।।
    জয় জয় মাতা পিতার চরণে প্রণাম
    কৃপা করি ঘুচাইও সর্ব্ব মনস্কাম।।
    জয় শ্রীগোলক চন্দ্র জয় শ্রীবদন
    দশরথ মৃত্যুঞ্জয় ভক্ত প্রাণ ধন।।
    জয় শ্রী তারক চন্দ্র জয় চিন্তামনি
    মম হৃদে দেও সদা ভাব তরঙ্গিনী।।
    জয় জয় হীরামন জয় শ্রীলোচন
    ওড়াকান্দী লীলা ধন্য যাদের কারণ।।
    জয় নাটু জয় ব্রজ বিশ্বনাথ জয়
    জয় মহানন্দ সর্ব্ব হরিভক্তের জয়।।
    জয় শ্রীহরি গোসাই হরিদাসী জয়
    কলুষিত দেহ রাখ যুগল ছায়ায়।।
    এ নামাবলী যে জন নিশী ভোরে লবে
    সারাদিন কুশলে যাবে অন্তে মুক্তি পাবে
    হরি হরি বল মন চৈতন্য হইয়া
    দেখ হিসাবের দিন আসিছে এগুয়া।।
    দীনা বলে পদতলে দাও হরি ঠাঁই
    তুমি বিনে ত্রিভুবনে মোর কেহ নাই।।
     
    প্রভাতী
    রাগিনী-করুণমারী
    । তাল-গড়খেম্টা
    জয় জয় শান্তি হরিচাঁন
    নিশী প্রভাতকালে বল শান্তি হরিচাঁন
    পুলক অন্তরেনিশী ভোরেনামে হও গমন।।
    । যত আছে জগতবাসীশুন দিয়া মন
    বিভা ভোর হল হরি বলআপন ভবন।।
    । মল্লকান্দী গিয়ে হরিভক্ত রঞ্জন
    মত্ত হয়ে সদা করেহরি ভক্ত রঞ্জন
    মত্ত হয়ে সদা করেহরি নাম কীর্ত্তণ।।
    । প্রেমে অঙ্গ পুলকিতনরনারীগণ
    দু নয়নে প্রেম ধারাবহে সর্বক্ষণ।।
    । চৈতন্য হয়ে সবেভাবে মনে মন
    কেহ বলে প্রভুসেবারকর আয়োজন
    । শ্রীহরির স্নান লাগিহইল মনন
    কুন্তু কাখে মনসুখেসতীর আগমন।।
    । কাশীশ্বরী সতীআরও সঙ্গে যত জন
    পিছে পিছে চলে যায় মুখে গুনগান।।
    । কাশীশ্বরী অতি ভারিহরি পরায়ণ
    জল ভরিতে গিয়ে করেঐ রূপ দরর্শন।।
    । কলসী ভরিতে সবেকরিল গমন
    গেলেন চলিয়া যথাযশবন্তের নন্দন।।
    । আসন পাতি কাশী সতীবসায় হরিচাঁন
    হরির অঙ্গে তৈল মাখিকরাইল স্নান।।
    ১০। জানকী মন ফুলেতেসাজায় হরিধন
    হৃদয় মন্দিরে ঐ রূপকরিয়ে স্থাপন।।
    ১১। (এই) নিশী প্রভাত কালে ঘুমেথেকনা কখন
    চৈতন্য হইয়ে করনামের মধু পান।।
    ১২। হরি গোসাই হরিদাসীরপদে রেখ মন
    নাম গুন গেয়ে করগে দীনাপাপ বিমোচন।।
     
    । চৌত্রিশ পদবলী
    হরি ভজলেম না তোমায় আমি,
    জম্মিয়া ধরায়
    ক = করুণ ত্রন্দনে হরি ডেকেছি তোমায়
    খ = খালাস করহবড় জ্বালা মা উদরে।।
    গ = গর্ভেতে পঞ্চম মাসে থেকে অগ্নিকুন্ডে
    ঘ = ঘোরতর এভাবে ডাকিনু হেট মুন্ডে।।
    ঙ = উদ্ধার করিতে জ্বালাএলে দয়াময়
    চ = চিরদিন ডাকিববলেছি সে সময়ে।।
    ছ = ছদ্মবেশে একবার নিলে সপ্ত মাসে
    জ = জমিয়া ওয়ানা বলি ভুলে রঙ্গরসে।।
    ঝ = ঝলমল পূর্ণ শশী দয়ার সাগর
    ঞ = একান্বর রূপরাশী ভুলেছি এবার।।
    ট = টলমল রঙ্গরসে দেখি এ ব্রহ্মান্ড
    ঠ = ঠেকে মহামায়ার হাতে সত্য করি পন্ড।।
    ড = ডুবিয়া রয়েছি আমি ভবকূপ নীরে
    ঢ = ঢলিয়া পরেছি ভব সংসার সাগরে।।
    ণ = বরঙ্গ মঞ্চ মাঝে ভাসিয়ে বেগাই
    ত = তরাইতে তরী নিয়ে এস হে গোসাই।।
    থ = স্থাব জঙ্গমে তুমি সর্ব্বময় হরি
    দ = দয়া যদি হয় দয়াকর দয়া করি।।
    ধ = ধরাধামে সবেরে করহ তুমি দয়া
    ন = নহে দয়ার যোগ্য আমি নাহি সাজে দয়া।।
    প = পবিত্র চরিত্র যেনজন্মাবধি রাখি
    ফ = ফিরে না এ আঁখি যেন তব রূপে রাখি।।
    ব = বশীভূত থাকি যেন তব রূপ সনে
    ভ = ভজন সাধন যাতে করি প্রাণপনে।।
    ম = মনবাঞ্ছা পূর্ণ কর শ্রীমধুসুদন
    য = যনমে তোমার নাম না ভুলি কখন।।
    র = রয়-তে রজনী গতে রবি হৃদাকাশে
    ল = লয়-তে রাধিকা শক্তি বসিয়াছে কাছে।।
    ব = বয়-তে বসন্তকালে বসুমতি হাসি
    শ = শয়-তে শরৎকাল দাড়াইল আসি
    ষ = ষয়-তে সুমতি হয় যাহার সহায়
    স = সয়-তে সরল হয় তাহার হৃদয়।।
    হ = হয় তে হরিনাম সে করে দিবারাতি
    ক্ষ = ক্ষীরোদে বিহারী এসে হয় তার সাথী।।
    দীনাবলে পদতলে রাখ হরি মোরে
    পূনঃ পাঠাইও না হরি মায়ার সংসারে।।
    তব পদ পাশে যেন থাকি দিবা রাতি
    দাস করি রাখ পদে হেরিব মূরতী।।
    চৌত্রিশ পদাবলি সমাপন হ ইল
    প্রেমে ভাসি জগৎবাসি হরি হরি বল।।
     
    ভোর গোষ্ঠ
    রাগিনী - হেলারী
    । তাল  ঝাপ
    উঠরে যশবন্ত লাল,
    গগনে হয়েছে বেলা
    ঐ দেখযত আছে ধেনু বৎস
    কেঁদে কেঁদে হয় উতলা।।
    । তুই আয়রে ভাই প্রাণের হরিআর তো সহে না দেরি,
    রত্নডাঙায় করব গোষ্ঠ লীলা
    এবার তোকে নিয়েগোষ্ঠে গিয়ে,
    মিলাইব প্রেমের মেলা।।
    । তোকে নিয়ে গোষ্ঠে যাবরাখালরাজা সাজাইব
    মনবাঞ্ছা পুরাব এ বেলা
    তোকে না হেরিলে একই বেলাগোষ্ঠে যেতে ঘটে জ্বালা।।
    । গোষ্ঠে ধেনু লয়ে কর খেলাআজ কেন হল বেলা,
    গোষ্ঠ খেলার মনে কেন নাই
    হরি গোষ্ঠে চল বেলা হল,
    গলে দিব ফুলের মালা।।
    । হরি গোসাইর শ্রীচরণেবাঞ্ছা করি মন প্রাণে,
    ঐরূপ যেন হেরি দু নয়নে
    বোকা দীনবন্ধু কয়রত্নডাঙায়,
    রূপ দেখায়ে মনকর ভোলা।।
     
    ফিরা গোষ্ঠ
    রাগিনী - হেলারী
    । তাল - ঝাপ
    বেলা গেল হরি ঘরে চল
    আর কত খেলিবি খেলা
    রত্নডাঙার বিলে সব রাখালে
    করে ছিলে কতই লীলা।।
    । শুন হরি শুন মনিঅন্নপূর্ণ মাতা যিনি
    কাঁদে সদা হরিচাঁদ বলিয়া
    হরি ঘরে চল যাইখেলায় কার্য্য নাই
    চেয়ে দেখ গেল বেলা।।
    । (মায়ের) নয়ন জলে বয়ান ভাসেযারে দেখে আপন পাশে,
    ডেকে বলে আয় হরি কোলে
    মায়ের নাই কোন ঠিকহয়ে বিদিক,
    দিক হারায়ে হয় চঞ্চলা।।
    । (তোমায়) না হেরিলে গুণমনিমা হয় যেন পাগলিনী,
    সাঙ্গ কর এবে গোষ্ঠ খেলা
    ধেনু বৎস যত একত্রিতকরে চল থাকতে বেলা।।
    । (অধম) দীনবন্ধুর বিনয় বচনহরি গোসাইব ঐ শ্রীচরণ
    হয় যেন মোর ভবপারের ভেলা
    হৃদি বৃন্দাবনে করুনাদানেদিও শ্রীচরণ ধূলা।।
     
    শ্রীহরি গোসাইর স্মৃতি গীতি।।
    রাগিনী - দ্রুতা রঙ্গ
    । তাল - ঝাপ
    হরিচাঁদের অপার কীর্ত্তি বুঝিতে না পারি
    । নামে মৃতদেহে জীবন পাঅন্ধ নয়ন দূরে যায়,
    প্রেমানন্দে বলে হরি হরি
    নামে বোবায় ধরেছে তানমধুর হরি গুণ গান,
    পাপী তাপী যেতেছে সব তরি।।
    । আছে কাঁঠালিয়ার হরি গোসাইতার কীর্ত্তির অন্ত নাই,
    চাঁদেশ্বরে পাঠায় গুরুচাঁদ
    কত বাঘ সম্মুখে আয়নামের গুনে সব পালায়,
    গোসাই বদনে বলে হরি
    । আছে আরও কত কীর্ত্তি তারবিবাহের পর,
    ঘুমে ছিল শ্বশুরের ঘরে
    ও তাঁর পরীক্ষার জন্য হরিজাতি সর্প দিলেন ছাড়ি
    বাহুতে পেচায়ে থাকে ধরি।।
    । গোসাই সজাগ হয়ে বসিয়াসর্ব হস্তে দেখিয়া,
    ঝাঁকি দিয়ে ফেলাল সম্মুখে
    সর্ব ফনা ধরে চেয়ে রলেগোসাই বলে যাও চলে,
    তাহা শুনে সাপ যায় ত্বরা করি।।
    । গোসাই জালিয়ার টেকেতে যায়কত কীর্ত্তি সেখানে রয়
    সেই কীর্ত্তি বলিতে না পারি
    অধম দীনবন্ধু কয়পরে রব রাঙা পায়
    যাহা করে দয়াল শ্রীহরি।।
     
    লোক শিক্ষা
    রাগিনী - দেবগিরি
    । তাল ঠুংরী
    গুরুবলে প্রাণে কাঁদে না কি করি উপায়
    মরলেম রিপুর বসে রঙ্গরসে,
    দমন কর রিপু সমুদয়।।
    । অন্তরালে থাক তুমিসদা লুকায়ে,
    ডাকলে পরে হওনা চেতনথাক ঘুমায়ে
    গুরু কি নাম ধরে ডাকলে পরেচেতন হয়ে হইবা সদয়।।
    । কি নাম ধরে ডাকব আমিনামটি না জানি
    কোন নামেতে হবা চেতনবল সে বাণী
    তোমার না জানিলেম স্তুতি বাণী
    কুবাণীতে মত্ত রই সদায়।।
    । দয়াময় নামটি শুনিএ বিশ্বমাঝার
    ব্যাক্ত রলে ভূমন্ডলেযতই চরাচর
    তোমার নামের জোরেপাপী তরে,
    আমায় কেন হইলা নিদয়।।
    । আর কোন ধনহে গুরুধনআমি নাহি চাই,
    দেহ অন্তিমকালেচরণ তলে আমায় দিও ঠাঁই
    গুরু তুমি বিনে দীনহীনেকে ঘুচাবে ভব পারের ভয়।।
    । দীনা বলে রিপুর ছলেহলেম ভজন হীন
    কুকর্ম্মেতে অসার চিন্তেগেল রাতি ্রদিন
    দয়াল হরি গোসাইএই ভিক্ষা চাই
    অন্তে যেন থাকি রাতুল পায়।।
     
    লোক শিক্ষা
    রাগিনী – মঞ্জরাসাই
    ১০। তাল – ঠুংরী
    তুমি সদয় হইলা জীবের প্রতি হরি দয়াময়
    আমি ঘোর পাতকীউদ্ধারের বাকী,
    হরি আর কতদিন রয়।।
    । বড় বিপুল ভরসায়হরি ডাকি হে তোমায়,
    শুনিয়ে কেন তাই শুননা ওহে দয়াময়
    তুমি অর্ন্তয্যামী জগৎস্বামীকেন আমায় হইলা নিদয়।।
    । তুমি তরাবে বলেহরি জগতে এলে
    আমি অধম ঘোর পাতকী এ ভুমন্ডলে
    (দেও) দুঃখ যত অবিরত অপরাধ ঘুচে যেন যায়।।
    । তব পদে প্রণিপাত সর্ব্ব জম্মের অপরাধ,
    ঘুচাও হরি এই জম্মেতেরয়না যেন পাপ
    আমি অপরাধী দুঃখের ভাগীদুঃখ মোচন কর সমুদয়।।
    । অধম দীনা ভেবে কয়আমি ঠেকে রলেম দায়,
    সব অপরাধ ঘুচাইয়ে নেও হরি গোসাইব পায়
    তুমি পার কান্ডারী দয়াল হরিঘুচাও ভবপারের ভয়।।
     
    রাগিনী ভাটিয়ালী
    ১১। তাল কাহারবা
    গুরু আমার প্রতি নিদয়া কেনে
    আমার প্রতি তোমার দয়াকবে হবে ভাবি মনে।।
    । তুমি আত্মা অন্তর্য্যামীশান্তি মায়ের শিরমনি রেশম সুন্দর
    আমি তব দয়ায় হে দয়াময়মিনতি করি তব চরণে।।।
    । শুনি তব দয়ার নাই তুলনাআমার ভাগ্যে কেন হল নাওহে দয়াময়
    দিয়ে পদ ছাড়য়া কর দয়াঅন্তিমে হেরি যেন নয়নে।।
    । গুরুচাঁদের দয়া বলেহরি গোসাইর  তরুতলেথাকি যেন সদায়
    দীনার এই বাঞ্ছা হৃদয়অন্য বাঞ্ছা নাই মনে।।
     
    রাগিনী উরয়ালী
    ১২। তাল একতাফা
    আমি পড়েছি অকুল পাথারে এখন উপায় কি করি
    আমার কর্ম্ম দোষে ব খোয়ালেমনা পেলে চরণ তরী।।
    । পাপেতে ভরেছি ভরাপাই না আমি কুল কিনারানদীর তরঙ্গ ভারী
    তাতে কু-পবনের হাওয়া লেগেউথলে তুফান ভারি।।
    । একে আমার জীর্ণ তরীকু-পবনের প্রবল ভারিআমি উপায় কি করি
    আর ছয়জন দাঁড়িযুক্তি করিঘোলার দিকে নেয় তরী।।
    । হাইল ধরিয়ে আছি বসেনদীর কিনার পাবার আছেহাইলে মানেনা বারি
    দয়াল গুরুচাঁদ মোরকর উপায়সে যে ভব কান্ডারী।।
    । দীনা বলে হরি গোসাইরক্ষার মালিক আর কেহ নাইডুবল এ মানব তরী
    তুমি এ বিপদেকর দয়ানহে ডুবিয়া মরি
     
    রাগিনী  শিন্দারাহা
    ১৩। তালকাওয়ালী
    গুরুর প্রতি না হলে মতিকেমনে যাবি হরি ধাম
    যদি হতো মতি গুরুর প্রতিতবে তোর পুরে যেত মনষ্কাম।।
    । যদি করতে পার গুরুর করণপাবি হরির যুগল চরণ
    ছয় রিপু করিয়ে দমনমনে প্রাণে জপ নাম।।
    । গুরুর করণ ভারি কড়াকরলে জিয়ন্তে হয় মরা
    তা হরে দেয় সে ধরাসেই শ্রীহরি মনোরম।।
    । যে জন প্রেম নগরে যেতে পারেকাম গন্ধ তার রইতে নারে
    তার প্রেমের অঙ্কুর বেড়ে পড়েপ্রেমানন্দে করে আরাম।।
    । কর গুরুচাঁদের করণধরে হরি গোসাইর চরণ
    দীনবন্ধুর কর্ম্ম বন্ধনকাটলে মিলবে শান্তি শ্যাম।।
     
    রাগিনী  করুনভান্ডারা
    ১৪। তাল - কাওয়ালী
    তোমরা বৈলরে  বৈল হরির কাছে রে
    বৈল তোমার একটি পাপী আছে রে,
    হারে আছে এ জগৎ মাঝারে রে।।
    । এ পাপীর কি গতি হবেবল দয়া করি,
    পাপে পরিপূর্ণ হলপাপে হল ভারি
    আমি এ পাপ লয়েকোথায় যাব রে,
    হারে আমি বুঝিতে না পারিবে।।
    । মোর বান্ধব নাই কোন দেশেকার কাছেতে বলি
    বলতে আমি যার কাচে যাইসে দেয় মনে কালি
    আমি কোথায় গিয়ে প্রাণ জুড়াব রে,
    হারে আমি না পাই সুখের ডালিরে।।
    । বটবৃক্ষের তলে গেরামছায়া পাবার আশে,
    পত্র ছেড়ে রৌদ্র লাগেআপন কর্ম্ম দোষে
    আমিশান্তির আশে যাই যে দেশে রে,
    হারে আমার দ্বিগুন হয় অশান্তিরে
    । দীনা বলে কবে আমিযাব ওড়াকান্দী,
    দুনয়ন জুড়াবো হেরেহরি গুণ নিধি
    সদা ঐ রূপ দেখবো প্রাণ জুড়াবো রে
    হারে তবে ঘুচবে আশা নদীরে।।
     
    রাগিনী  উরয়ালী
    ১৫। তাল - এতাফা
    তোরা কে কে যাবিওড়াকান্দী ত্বরায় চলে আয়রে আয়
    দেখবি যাওয়া মাত্র দেহ পাত্র অনায়াসে গলে যায়।।
    । ওড়াকান্দী দেখে কান্ডমনেতে লেগেছে ধন্দ মরি হায়রে
    জীবের ঘুচল সন্দকর্ম্ম বন্ধনআর কি জীবের আছে ভয়।।
    । হরি এল ওড়াকান্দী যশবন্ত রাখলেন বাঁধি
    আয় কে দেখবি আয়
    । রূপ হেরিয়ে যোগী ঋষিসন্ধ্যা আহ্নিক ত্যাজে বসি আছে সর্বদায়
    তারা তন্ত্র মন্ত্রছেড়ে দিয়ে হরি নামে মত্ত হয়।।
    । সেই রূপ রসে হরি গোসাইদিবা নিশি মগ্ন সদাই হরি নাম গুন গায়
    বোকা দীনবন্ধু কয়ঐ রূপের ঘায়
    মোর প্রাণ যেন গলে যায়

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.