সংগঠনের গঠনতন্ত্র বা সংবিধান
ওঁ হরি
হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল
| |
ওঁ শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ওঁ শ্রীমতী শান্তিদেবী
ওঁ শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর
| |
শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ এর ঘোষণাপত্র
সনাতন ধর্মের সূক্ষ্ম শাশ্বত বাণী যখন মনুবাদী ব্রাহ্মণ্যবাদে আচ্ছন্ন হয়ে বিলুপ্ত হতে থাকে, তখন জাতিগত অস্পৃশ্যতার নিষ্পেষণে সমাজের নিম্নশ্রেণিভুক্ত তথা দলিত মানুষেরা হয়ে ওঠে নিরুপায়। উচ্চশ্রেণির মানুষ বিভিন্ন কৌশলে সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহ নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করে নিম্নশ্রেণির মানুষকে দলিত, পতিত করে রাখে, তারা শুধুমাত্র দাস হয়। তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজ এই দলিত শ্রেণিকে পশুর চেয়েও অধম মনে করত। এই অস্পৃশ্যতার গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে দলিত শ্রেণি দলে দলে ধর্মান্তরিত হতে থাকে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেবে এই বর্তমান ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ মুসলিম ও খৃষ্টান এই ধর্মান্তরিত দলিত মানুষ। এই অবস্থায় পতিত জাতির মুক্তির বাণী নিয়ে ক্ষীরোদসায়ী হরি স্বনামে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর নাম ধারণ করে বাংলা ১২১৮ সালের ২৯শে ফাল্গুন বুধবার মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন।
“নীচ হয়ে করিব যে নীচের উদ্ধার। অতি নিম্নে না নামিলে কিসে অবতার।।”
----------------------------------------------------- শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত (কবি রসরাজ তারক চন্দ্র সরকার)
শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর আদি সূক্ষ্ম সনাতন ধর্মের বাণী প্রচার করলেন। আদি তত্ত্ব নতুন রূপে প্রদান করেন এবং তার অনুসারীদের নাম হয় মতুয়া এবং সেই আদি তত্ত্ব হরিতত্ত্ব বা মতুয়া তত্ত্ব নামে প্রসিদ্ধ হয়। শ্রীশ্রী হরিচাঁদ আধ্যাত্মিক মুক্তির বীজমন্ত্র “হরিবোল” নাম প্রদান করেন। এবং হাতে তুলে দেন লাল নিশান আর জয়ডঙ্কা। লাল নিশান ও জয়ডঙ্কা নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায় ঝাঁপিয়ে পড়ে মনুবাদী সংস্কৃতির সাথে মহাযুদ্ধে। অচিরেই তারা লাভ করে ধর্মের অধিকার, মানুষের অধিকার। আর সূক্ষ্মরূপে প্রকাশিত জাগতিক মুক্তির মূলমন্ত্র “শিক্ষা”র প্রচার করেন শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের পুত্র শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর। বাংলা ১২৫২ সালের পহেলা চৈত্র শুক্রবার দোল পূর্ণিমার দিন এই মহামানব জন্ম গ্রহণ করেন।
“নমশূদ্র জাতি যদি বাঁচিবারে চাও। যাক প্রাণ সেও ভালো বিদ্যা শিখে লও।।
বিদ্যা ধর্ম বিদ্যা কর্ম অন্য সব ছাড়। বিদ্যা ছাড়া কথা নাই বিদ্যা কর সার।।
খাও বা না খাও তাতে দুঃখ নাই। ছেলে মেয়ে শিক্ষা দাও এই আমি চাই।।
মোর পিতা হরিচাঁদ বলে গেছে মোরে। বিদ্যা শিক্ষা স্বজাতিকে দিতে হবে ঘরে।।”
-----------------------------------------------শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ চরিত (আচার্য মহানন্দ হালদার)
এই বাণীকে লক্ষ্য করে শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর হরিঠাকুরের তিরোধানের পর মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রধানরূপে গণিত হন। তিনি এই পতিত জাতিকে শিক্ষার আলো দিয়ে শিক্ষিত করে তোলেন। এই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক আরম্ভ হয় ইংরেজি ১৮৮০ সালে শ্রীধাম ওঢ়াকাঁদিতে প্রথম বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর তার এই কর্মে ড. সি এস মীডকে সহযোগী হিসেবে নেন। এই মীড সাহেবের সহযোগিতায় ১৯০৮ সালে শ্রীধাম ওঢ়াকাঁদিতে প্রথম ইংরেজি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১১ সালে গুরচাদ ঠাকুর এই জাতির চণ্ডালত্ব মোচন করে জাতিকে “দ্বিজ নমশূদ্র” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার শিক্ষাসহ নানাবিধ সংস্কারের কারণে এই দলিত সমাজ উন্নত হতে থাকে। যেমন শিক্ষিত হতে থাকে তেমনি রাজনৈতিক ভাবেও এরা উন্নত হতে থাকে। “যার দল নেই, তার বল নেই” গুরুচাঁদ ঠাকুরের এই বাণীকে আত্মিকরণ করে মতুয়ারা তথা দলিত সমাজ দলবদ্ধ হয় এবং সকল প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে।
এই মতুয়াদের সংগঠিত ভাবে চলার জন্য গুরুচাঁদ ঠাকুর “শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ মিশন” প্রতিষ্ঠা করেন। এবং এখনও এই মিশনের কার্যক্রম লক্ষিত হয়। দিনে দিনে বিভিন্ন এলাকার মতুয়ারা দলবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সংঘ, মিশন বা সংস্থা গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের তরুণ সমাজ মতুয়াদের একটি সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এবং কয়েকজন তরুণ অনলাইনে একত্রিত হয়ে একটি সংগঠন করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। এবং আরও ভক্তদের জানাতে থাকেন। এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে “শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ” নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হল। হরিবোল।
| |
প্রস্তাবনা
আমরা, বাংলাদেশের মতুয়া সম্প্রদায় ও প্রবাসী মতুয়াগণ বাংলা ১৪২১ সালের ২০ শে ফাল্গুন, ইংরেজি ২০১৫ সালের ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ১৭০তম জন্মজয়ন্তীতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যবৃন্দ ঐক্যমতের ভিত্তিতে “শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ” নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি।
আমরা সজ্ঞানত অঙ্গিকার করছি যে, শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুরের নীতি তথা মতুয়ার নীতি ‘সত্য, প্রেম ও পবিত্রতা’ হবে এই সংগঠনের মূলনীতি।
আমরা আরও অঙ্গীকার করছি যে, মতুয়া সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নতিকল্পে সচেষ্ট থাকব। এই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন পরিচালনায় শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নীতি প্রতিষ্ঠায় সতত সচেষ্ট থাকব।
এতদ্বারা আমাদের এই সভায়, অদ্য বাংলা ১৪২১ সালের ২০ শে ফাল্গুন, ইংরেজি ২০১৫ সালের ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ‘শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ’ সংগঠনের এই সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করে সমবেতভাবে গৃহীত হল।
| |
শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ এর গঠনতন্ত্র
| |
সংগঠনের নাম
|
বাংলায় শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ, ইংরেজিতে Shree Shree Hari-Gurruchand Matuya Society বা সংক্ষেপে SSHGMS নামে অভিহিত হবে।
|
প্রধান কার্যালয়
|
বাসাইল, আগৈলঝাড়া, বরিশাল বাংলাদেশ।
|
সংগঠনের প্রকৃতি
|
অলাভজনক, অরাজনৈতিক, সমাজ কল্যাণ ও সেবামূলক সংগঠন হিসেবে স্বীকৃত হবে।
|
প্রতিষ্ঠাকাল
|
বাংলা ১৪২১ সালের ২০ শে ফাল্গুন, ইংরেজি ২০১৫ সালের ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার।
|
পতাকা
|
মতুয়াদের প্রচলিত লাল নিশানের কেন্দ্রে সংগঠনের লোগো। লাল নিশান ও লোগোর ক্ষেত্রফলের অনুপাত হবে ৫:৩ (পাঁচঃদুই)।
|
লোগো বা চিহ্ন এর বর্ণনা
|
গোলাকার দ্বিমাত্রিক পৃথিবীর মধ্যে উপরে সংগঠনের নাম “শ্রীশ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া সমাজ”পরিধির নিকট বাঁকা করে লেখা থাকবে। তার নীচে কেন্দ্রীয় লাইনের দুইপাশে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও জগন্মাতা শ্রীমতী শান্তিদেবীর যুগল ছবি থাকবে। তার নীচে বামপাশে শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতিকৃতি ও ডানপাশে মতুয়াদের ব্যবহৃত লাল নিশান থাকবে। এর নীচে কেন্দ্রীয় লাইনের বামপাশে “হরিবোল হরিবোল” এবং ডানপাশে সংগঠনের শ্লোগান “মতুয়া মত, সত্য পথ”পরিধির নিকট বাঁকা করে লেখা থাকবে। তবে এই লেখাগুলো সংগঠনের নামের তুলনায় ছোট অক্ষরে হবে। পুরো লোগোর ব্যাকগ্রাউন্ডে মতুয়া দলের প্রতিকৃতি জলছবি হিসেবে হাল্কা দৃশ্যমান হবে।
|
শ্লোগান
|
মতুয়া মত, সত্য পথ
|
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
|
1। হরিনাম প্রচার করা।
২। মতুয়াতত্ত্ব বা হরিতত্ত্ব প্রচার করা। ৩। মতুয়া সম্প্রদায়ের সর্বসাধারণের মধ্যে পারস্পারিক একটা, সৌহার্দ, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব সহমর্মিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের সার্বজনীন উন্নয়নে সচেষ্ট হওয়া। ৪। হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ প্রচার করা এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা ও করতে সহায়তা করা। ৫। প্রকাশন কার্যক্রম পরিচালনা করা। প্রাথমিক পর্যায়ে পত্রিকা, ক্যালেন্ডার, লিফলেট বা বই প্রকাশ করা যেতে পারে। ৬। স্বল্প পরিসরে হলেও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং এতে সহায়তা করা। মন্দির ভিত্তিক হতে পারে। যেখানে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ শিক্ষা বিশেষ করে আলোচনা হবে। ৭। একটি মতুয়া দল গঠন করতে হবে। যারা বিভিন্ন জায়গায় নিমন্ত্রিত হয়ে যাবে এবং লীলামৃতযজ্ঞ বা এই ধরনের অনুষ্ঠান করবে লীলামৃত ও গুরুচাঁদ চরিতের আলোকে। এবং প্রতি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনার সাথে সাথে গুরুচাঁদের শিক্ষানীতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা। ৮। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের বিধানের মতুয়া মত কি হবে তা প্রস্তাব ও সে অনুযায়ী পরিচালনা করতে সহায়তা করা। প্রয়োজনে মতুয়াদের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করতে হবে। ৯। মন্দির ও সংগঠন ভিত্তিক লাইব্রেরী স্থাপন করা। ১০। রেডিও বা টিভিতে মতুয়া তত্ত্ব বিষয়ক অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করা। ১১। মতুয়া বিধানাবলী পালনের কারণে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া মতুয়াদের পাশে নীতিগতভাবে অবস্থান নেওয়া এবং তা দূরীভূতকরণে সচেষ্ট হওয়া। |
সদস্যপদের যোগ্যতাসমূহ
|
1। সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, গঠনতন্ত্র, কর্মসূচীতে আস্থা স্থানপকারী যে কোন মতুয়া সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ক্রমে সদস্য হতে পারবেন।
2। সাধারণ সদস্য ও নির্বাহী সদস্যের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ (আঠার) বছর হতে হবে।
3। সভাপতি পদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২৫ (পচিশ) বছর হতে হবে।
4। উপদেষ্টা পদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) বছর বয়স হতে হবে। তবে বিশেষ বিবেচনায় নির্বাহী পরিষদের সকল সদস্যের সম্মতিতে সর্বনিম্ন বয়স ২৫ (পচিশ) বছর করা যেতে পারে।
5। বাংলাদেশের আইনে দোষী স্বীকৃত হতে পারবে না বা কেউ দোষী সাবস্ত হলে সাজাভোগ করার পরে সদস্য হতে পারবে।
6। বাংলাদেশের আদালত যদি কাউকে দোষী সাবস্ত নাও করে, কিন্তু নির্বাহী কমিটি যদি মনে করে যে তিনি দোষী তবে তিনি সদস্য হতে পারবেন না।
|
সদস্য নিয়োগের নিয়মাবলী
|
1. সদস্যপদের যোগ্যতাসমূহ পূর্ণ করা সাপেক্ষে যে কেউ সদস্য ফর্ম পূর্ণ করে সদস্য হতে পারবে। সদস্য ফর্মের মূল্য ২০ (বিশ) টাকা।
2. সদস্য হতে হলে এককালীন বাংলাদেশী টাকায় ৫০০ (পাঁচশত) টাকা জমা দিতে হবে। এবং এককালীন টাকার সাথে অন্তত একমাসের মাসিক চাঁদা ১০০ (একশত) টাকা প্রদান করতে হবে।
3. কোন সদস্য এককালীন বা মাসিক চাঁদার নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত প্রদান করতে পারবে, তবে তা অনুদান হিসেবে গৃহীত হবে।
4. সদস্য নিয়োগের পর সংগঠনের শপথ বাক্যে পাঠ করতে হবে এবং লিখতি শপথ বাক্যে স্বাক্ষর করতে হবে।
5. সকল সদস্যগণ নিয়োগের সময় জাতিয় পরিচয় পত্র (জাতিয় পরিচয় পত্র না থাকলে নাগরিক সনদ), পাসপোর্ট সাইজ ছবি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্বলিত কাগজপত্র জমা করবেন।
|
সদস্যপদ বাতিলের নিয়মাবলী
|
1. কোন সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে।
2. সংগঠন বিরোধী কোন কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত হলে।
3. কোন সদস্যের একনাগাড়ে ১ বছর বা তার অধিক সময়ের চাঁদা বাকি পড়লে।
4. বাংলাদেশের আইনে দোষী সাবস্ত হলে সাজাভোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সদস্যপদ স্থগিত হবে এবং অপরাধের প্রকৃতি বুঝে নির্বাহী কমিটি তার সদস্য পদ বাতিল করতে পারবে।
5. সংগঠনের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে এবং মস্তিষ্ক বিকৃত হলে।
6. বাংলাদেশের আদালত যদি কাউকে দোষী সাবস্ত নাও করে, কিন্তু নির্বাহী কমিটি যদি মনে করে যে তিনি দোষী তবে তার সদস্যপদ নির্বাহী কমিটি বাতিল বা স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
7. কোন সদস্য যদি সংগঠন ছেড়ে চলে যেতে চায় বা কারো সদস্য পদ বাতিল হলে তবে তিনি সংগঠনের নিকট কোন কিছুর দাবীদার হবে না।
|
সদস্যের পদের সময়সীমা
|
দায়িত্ব গ্রহণ থেকে ৫ ( পাঁচ) বছর।
|
সদস্যদের অবশ্য পালনীয় নিয়মাবলী বা মূলনীতিসমূহ
|
1. নির্বাহী পরিষদ সংগঠন পরিচালনা করবে।
2. সংগঠনের ব্যাপারে সদস্যরা সর্বদা সত্য বলবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও সর্বদা সত্য বলার চেষ্টা করবে।
3. সংগঠনের কোন বিশেষ তথ্য (গোপন রাখা শ্রেয় অনুভূত হলে) সদস্যদের মাঝে গোপন থাকবে এবং অসদস্যদের কাছে তা বলা যাবে না। সংগঠনের কর্মপদ্ধতি অসদস্যের মাঝে গোপন রাখবে।
4. গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হলে মোট সদস্যের 2/3 (দুই তৃতীয়াংশ) অংশের সম্মতি থাকতে হবে।
5. প্রতি 3 (তিন) বা 6 (ছয়) মাস পর পর অধিকাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিমাসের শেষ বুধবার আমরা অনলাইনে মিলিত হবে।
6. প্রতিমাসের টাকা মাসের 10 (দশ) তারিখের মধ্যে জমা দিতে হবে। তবে কোন সদস্য চাইলে অগ্রীম 3 (তিন) বা 6 (ছয়) বা ১২ (বার) মাসের টাকা একত্রে দিতে পারবে।
7. সংগঠনের আয় ব্যায়ের হিসাব প্রতি ৬ (ছয়) মাস পর পর সদস্যদের অবহিত করতে হবে।
8. ব্যক্তিগত আক্রমণ করে কোন সদস্য কোন সদস্যকে কোন কথা বলবে না।
9. প্রথমবার নির্ধারণ করা হবে কোন পদে কে থাকবে এবং পরবর্তীতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় নির্ণীত হবে।
10. এমন কোন আইন তৈরি করা যাবে না যা বাংলাদেশ সংবিধানের পরিপন্থী হয়।
|
সাংগঠনিক কাঠামো
|
ক) উপদেষ্টা পরিষদ, খ) নির্বাহী পরিষদ ও গ) সাধারণ পরিষদ
|
সদস্য সংখ্যা
|
· উপদেষ্টা পরিষদঃ ২ (দুই)-৫ (পাঁচ)
· নির্বাহী পরিষদঃ
1. সভাপতি- ১ (এক) জন
2. সহসভাপতি- ২ (দুই) জন
3. সম্পাদক- ৪ (চার) জন
4. সহসম্পাদক- ৪ (চার) জন
5. ক্যাশিয়ার- ২ (দুই) জন
6. অঞ্চল প্রতিনিধি (থানা লেভেলে ১ (এক) জন)
· সাধারণ সদস্যঃ উন্মুক্ত
|
নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের দায়িত্ব ও কার্যাবলীর বিবরণ
| |
সভাপতির দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ
|
সভাপতি সংগঠনের সাংবিধানিক প্রধান বলে স্বীকৃত হবেন এবং সংগঠনের সকল ধরণের সভা-অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। তিনি সংগঠনের সামগ্রিক বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। তিনি বিশেষ অবস্থায় নির্বাহী পরিষদের সভা আহবান করবেন এবং সভার সিদ্ধান্তসমূহ পাশ করবেন। সভাপতি সহসভাপতিগণের রিপোর্টিং বস হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যে কোন জরুরী অবস্থায় সহসভাপতিগণের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বা সময় স্বল্পতার কারণে এককভাবে সিদ্ধান্তগ্রহণ করতে পারবেন।
|
সহসভাপতির দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ
|
সাংগঠনিক সহসভাপতিঃ
কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান হিসেবে সভাপতির সাথে আলোচনা করে সংগঠনের উদ্দেশ্য সমূহ বাস্তবায়ন করবেন। নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সভা, ও কার্যকরী সভা আহ্বান করবেন এবং সভাসমূহের কার্যবিবরণী সংরক্ষণ করবেন। কোন সভায় পাশ হওয়া সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবেন এবং বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব বণ্টন করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। নিজ দপ্তরের সমস্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। অর্থ সম্পাদক, সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদককে তাদের কাজের দিকনির্দেশনা দিবেন এবং তাদের রিপোর্টিং বস হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি সংগঠনের তহবিলের থেকে ২০০০ (দুই হাজার) টাকা নগদে নিজের নিকট রাখতে পারবেন এবং এর অধিক ব্যায়ের প্রয়োজন হলে সভাপতির সাথে আলোচনা করে নিতে হবে এবং পরবর্তী সভায় তার অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। তিনি সভাপতির অনুমতিক্রমে সংগঠনের নামে চিঠিপত্র লিখতে ও খরচাদি করতে পারবেন। তিনি সকল কাজের জন্য সভাপতির নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।
শিক্ষা ও প্রচার সহসভাপতিঃ
কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান হিসেবে সভাপতির সাথে আলোচনা করে সংগঠনের উদ্দেশ্য সমূহ বাস্তবায়ন করবেন। সাংগঠনিক সহসভাপতির অনুপ্সথিতিতে নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সভা, ও কার্যকরী সভা আহ্বান করবেন এবং সভাসমূহের কার্যবিবরণী সংরক্ষণ করবেন।কোন সভায় পাশ হওয়া সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবেন এবং বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্ব বণ্টন করবেন। নিজ দপ্তরের সমস্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদককে তাদের কাজের দিকনির্দেশনা দিবেন এবং তাদের রিপোর্টিং বস হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি সংগঠনের তহবিলের থেকে ২০০০ (দুই হাজার) টাকা নগদে নিজের নিকট রাখতে পারবেন এবং এর অধিক ব্যায়ের প্রয়োজন হলে সভাপতির সাথে আলোচনা করে নিতে হবে এবং পরবর্তী সভায় তার অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে। তিনি সভাপতির অনুমতিক্রমে সংগঠনের নামে চিঠিপত্র লিখতে ও খরচাদি করতে পারবেন। তিনি সকল কাজের জন্য সভাপতির নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।
|
সম্পাদকের দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ
|
অর্থ সম্পাদকঃ
অর্থ সম্পাদক সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সংগঠনের তহবিল সংগ্রহের ব্যবস্থা করবেন। তিনি যথাসময়ে সভাপতি/ সাংগঠনিক সহসভাপতি এর অনুমোদনক্রমে ব্যাংকের সাথে সংগঠনের অর্থ আদান প্রদান করবেন। অর্থ সম্পাদক সংগঠনের আয় ব্যয়ের হিসেব সঠিকভাবে রাখার জন্য ক্যাশিয়ারসহ নিজে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বার্ষিক সাধারন সভায় সংগঠনের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব পেশ এবং বছরের বাজেট প্রস্তুত করবেন। ক্যাশিয়ারকে তার কাজ করতে সকল প্রকার নির্দেশনা দিবেন।
সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদকঃ
সংগঠনের উপযুক্ত সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধিসহ সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন এবং সহসভাপতির নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করবেন। সংগঠনের নথিপত্র, কার্যালয়ের মালামালের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন। সংগঠনের মালামালের জন্য একটি রেজিষ্টার খুলে উহাতে মালামালের হিসেব সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন। তিনি সহসভাপতির অনুমোদনক্রমে সংগঠনের পক্ষে ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। তিনি সাংগঠনিক সহসভাপতির নিকট রিপোর্ট করবেন।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সংগঠনের আদর্শ ও উদ্দেশ্য সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে প্রচারের দায়িত্ব পালন করবেন। সংগঠনের কার্যাবলীর বিবরণ বহুল প্রচারে সচেষ্ট থাকবেন এবং সহসভাপতির নির্দেশাবলী বাস্তবায়ন করবেন। আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের প্রচারে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবেন। তিনি শিক্ষা ও প্রচার সহসভাপতির নিকট রিপোর্ট করবেন।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ
তিনি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে কল্যাণমূলক কার্যক্রম প্রণয়ন ও উহা বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকবেন এবং জন্য নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে বছরে কমপক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন। তিনি শিক্ষা ও প্রচার সহসভাপতির নিকট রিপোর্ট করবেন।
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকঃ
তিনি আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে প্রত্যেক এলাকার মেধাবী ও গরীব মতুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করবেন, কুইজ আয়োজন করবেন। মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠচক্রের আয়োজন করবেন। মতুয়ানীতি অনুসারে প্রচলিত সামাজিক অনুষ্ঠানের বিষয়ে গবেষণা করবেন এবং সংগঠনের সভায় তা পেশ করবেন। সামাজিক কারণে হেয় প্রতিপন্ন হওয়া মতুয়াদের নীতিগত পরামর্শ দিবেন। তিনি শিক্ষা ও প্রচার সহসভাপতির নিকট রিপোর্ট করবেন।
আঞ্চলিক প্রতিনিধির দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ
আঞ্চলিক প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর হবে। এলাকা ভিত্তিক প্রচার, লাইব্রেরী, পাঠচক্র গঠন করবে। মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কুইজ বা এই ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। স্থানীয় গরীব মতুয়াদের সামাজিক সাহায্য সহযোগিতা করবে। সামাজিক ভাবে মতুয়া রীতিনীতি পালনের জন্য কেউ হেনস্থা হলে বা হেয় প্রতিপন্ন হলে কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে তার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আঞ্চলিক প্রতিনিধিগণ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকের নিকট রিপোর্ট করবেন।
|
কোষাধ্যক্ষ ও সহসম্পাদকগণের দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ
|
কোষাধ্যক্ষঃ
অর্থ সম্পাদকের নির্দেশনামোতাবেক কাজ করবেন। সদস্যদের নিকট থেকে চাঁদা বা অনুদান গ্রহণ করবেন এবং সঠিক কাগজপত্র সহ সংরক্ষণ করবেন। সদস্য ছাড়াও অন্য কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের নিকট হতে অনুদান গ্রহণ করবেন। আয় ব্যায়ের হিসাব সংরক্ষণ করবেন। সংগঠনের তহবিলে জমাপ্রদানের জন্য গৃহীত অর্থ অর্থ প্রাপ্তির পরবর্তী ০৫ (পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাংকে রক্ষিত সংগঠনের হিসাবে জমা করবেন এবং সকল নথিপত্র সংরক্ষণ করবেন। ব্যাংকের চেক বইতে সাংগঠনিক সহসভাপতি ও অর্থসম্পাদকের সাথে তিনি যৌথভাবে স্বাক্ষর করবেন। হিসাব বিবরণী প্রস্তুতপূর্বক অর্থ সম্পাদকের অনুমতিক্রমে ষাণ্মাসিক বা বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করবেন। এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ করার পূর্বে পরবর্তী বছরের বাজেট অর্থসম্পাদকের মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদের বিবেচনা ও অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। সদস্যদের চাঁদা ও অনুদান গ্রহণ করার জন্য ব্যাংক একাউন্টের পাশাপাশি পোস্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং প্রয়োজনে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করবেন। তবে ব্যাংক একাউন্ট ব্যাতিত অন্য যেভাবেই চাঁদা বা অনুদান সংগ্রহ করা হোক না কেন, প্রতি ১৫ (পনের) দিন অন্তর তা ক্যাশ করে ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে। যে কোন ব্যয় অবশ্যই রসিদের মাধ্যমে করতে হবে।
সাংগঠনিক ও দপ্তর সহসম্পাদকঃ
তিনি সাংগঠনিক ও দপ্তর সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারে সকল কাজ সম্পাদন করবেন।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ
তিনি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারে সকল কাজ সম্পাদন করবেন।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ
তিনি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারে সকল কাজ সম্পাদন করবেন।
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকঃ
তিনি শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকের নির্দেশ অনুসারে সকল কাজ সম্পাদন করবেন।
আঞ্চলিক প্রতিনিধির দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ
আঞ্চলিক প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর হবে। এলাকা ভিত্তিক প্রচার, লাইব্রেরী, পাঠচক্র গঠন করবে। মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কুইজ বা এই ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। স্থানীয় গরীব মতুয়াদের সামাজিক সাহায্য সহযোগিতা করবে। সামাজিক ভাবে মতুয়া রীতিনীতি পালনের জন্য কেউ হেনস্থা হলে বা হেয় প্রতিপন্ন হলে কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে তার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আঞ্চলিক প্রতিনিধিগণ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদকের নিকট রিপোর্ট করবেন। আঞ্চলিক প্রতিনিধিগণ তাদের স্বস্ব এলাকায় সাধারণ সদস্য যোগ করতে পারবেন। সদস্য নিয়োগের সমস্ত বিধিবিধান পালন পূর্বক তারা এই নিয়োগ করবেন এবং নিয়োগের পর প্রাপ্ত অর্থ কোষাধ্যক্ষের মাধ্যমে অর্থসম্পাদকের নিকট জমা করবেন।
|
সাধারণ সদস্যদের দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ
|
সাধারণ সদস্যগণ তাদের স্বস্ব আঞ্চলিক প্রতিনিধিকে সহযোগিতা করবেন এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজে তাকে সহযোগিতা করবেন। এই সদস্যগণ ছড়িয়ে দিবেন হরি-গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ ও নীতি।
|
সংগঠনের তহবিল সংগ্রহঃ
|
1. সদস্য নিয়োগের এককালীন চাঁদা ও মাসিক চাঁদা
2. সদস্যদের অনুদান ও অন্যান্যদের অনুদান
3. সংগঠন ট্রাষ্ট ফাণ্ড গঠন করতে পারবে।
4. বিজ্ঞাপনের দাতাদের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের টাকা সংগ্রহ করতে পারবে।
5. প্রকাশনা থেকে অর্জিত টাকা।
6. অন্যান্য লিগ্যাল উৎস থেকে অর্জিত আয়।
7. সংগঠনের তহবিল বৃদ্ধিকল্পে যে কোন প্রকল্প/ কর্মসূচী/ অনুষ্ঠান পরিচালনার পূর্বে কার্যনির্বাহী পরিষদের পূর্বানুমতি গ্রহণ করবে হবে এবং গৃহীত প্রকল্প/ কর্মসূচী অনুষ্ঠান শেষে আয় ব্যয়ের পুরো হিসাব কার্যনির্বাহী পরিষদের নিকট দাখিল করতে হবে।
|
সংগঠনের সভাঃ
|
বার্ষিক সাধারণ সভাঃ
প্রতি বছর মার্চ মাসের মধ্যে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় সাংগঠনিক সহসভাপতি বার্ষিক বিবরণী পেশ করবেন ও বছরের পূর্নাঙ্গ কার্যবিবরণী ও আয় ব্যয়ের নিরীক্ষিত হিসেব পেশ করবেন। অর্থ সম্পাদক বার্ষিক হিসেব পেশ করবেন। সাধারণ সভায় উপস্থাপিত সকল প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্মতিতে গৃহীত হবে। বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বানের পূর্বে কমপক্ষে পনের দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহ্বান করতে হবে। সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের মোট সদস্যের২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) ভাগ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে এবং সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতির কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণ সভায় সদস্যদেরকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ প্রদান করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভায় পূর্ববর্তী সারাবছরের কার পর্যালোচনা করতে হবে এবং পরবর্তী বছরের পরিকল্পনা করতে হবে। সাধারণ সভায় কেবলমাত্র নিয়মিত সদস্যগণই ভোট দিতে পারবেন। বিশেষ প্রয়োজনে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহ্বান করা যাবে।
বিশেষ সাধারণ সভাঃ
সভাপতি অথবা সহসভাপতির অনুমোদনক্রমে সাংগঠনিক সম্পাদক বছরে যে কোন সময় সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করতে পারবেন। সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধন বা যে কোন জটিল সমস্যা সমাধানে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত ১৫ (পনের) দিনের নোটিশ প্রদানে সভা অনুষ্ঠিত হবে। জরুরী প্রয়োজনে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় নির্বাহী সদস্যদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হলে সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে উপস্থিত সদস্যদের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) অনুমোদন করলে তবে পাশ হবে।
অনুরোধক্রমে সভা বা জরুরী সভাঃ
সংগঠনের অন্তত মোট সদস্যের (নির্বাহী ও সাধারণ) এক তৃতীয়াংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত অনুরোধে সভাপতি ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে যথানিয়মে সমিতির সাধারণ সভা আহ্বান করতে বাধ্য থাকবেন। যদি সভাপতি উক্ত সময়ের মধ্যে সভা আহ্বান করতে অসমর্থ হন তা হলে বর্ণিত স্বাক্ষরকারীরাই ৭ দিনের নোটিশে নির্দিষ্ট তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে সংবাদ পত্রে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সভা আহ্বান করতে পারবেন। উক্ত সভায় মোট সদস্যের তিন ভাগের দুইভাগ সদস্য উপস্থিত থাকলেই উক্ত সভার সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাঃ
কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা সাধারণত ৭ (সাত) দিনের নোটিশে ৩ (তিন) মাসে একবার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সভাপতি অথবা সভাপতির অনুমোদনক্রমে সাংগঠনিক সহসভাপতি ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার নোটিশে কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভা আহ্বান করতে পারবেন। নির্বাহী পরিষদের মোট সদস্যের এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে কোরাম হবে এবং সভা অনুষ্ঠান করা যাবে। এছাড়াও নির্বাহী কমিটি প্রতিমাসে অন্তত একবার অনলাইনে সভা করবে।
|
নির্বাচন কমিশনঃ
|
নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন অনুষ্ঠানঃ
প্রতি ৫ (পাঁচ) বছর অন্তর সংগঠনের বার্ষিক সভায় প্রত্যেক পদের জন্য প্রত্যক্ষ/ গোপন ভোটে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট বছরের ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে, তবে কোন বিশেষ কারণে সম্ভব না হলে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্বাচনের ২ (দুই) মাস পূর্বে নির্বাচনের তারিখ কার্যকরী সংসদের সভায় স্থির করতে হবে এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না এমন সদস্যদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যানসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত তারিখের ৩০ (ত্রিশ) দিন আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সদস্য হিসেবে যারা নিয়মিত কমপক্ষে ৬ (ছয়) মাসের চাঁদা, ভর্তি ফিস ইত্যাদি পরিশোধ করবেন শুধু সে সকল সদস্যই ঘোষিত নির্বাচনে ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে প্রার্থী হওয়ার এবং ভোট প্রদানের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন অর্থাৎ কোন বকেয়া অথবা সাধারন সদস্য হিসাবে মেয়াদ ৬ মাসের কম হলে প্রাথী হওয়ার কিংবা ভোট প্রদানের যোগ্য বিবেচিত হবেন না। নির্বাচনে একই ব্যক্তি একাধিক পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রত্যেক ভোটার সংসদের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সংখ্যানুযায়ী একটি করে ভোট দিতে পারবেন। কোন পদে প্রার্থী না থাকলে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। নির্বাচন ঘোষণার দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন বাধ্যতামূলক।
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাঃ
নির্বাচন কমিশন সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক কার্যনির্বাহী পরিষদের ও সদস্য নির্বাচন সম্পন্ন করবেন। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনবোধে গঠনতন্ত্রের কোন ধারা কিংবা উপধারার পরিপন্থী নয় এমন নির্বাচন সংক্রান্ত উপ-বিধি প্রণয়ন করতে পারবেন। নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষচূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
দায়িত্বভার হস্তান্তরঃ
ক) নির্বাচন অনুষ্ঠানের ১০ (দশ) দিনের মধ্যে নতুন কার্যনির্বাহী ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই পরিষদের নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য পদত্যাগ করলে বা কোন কারণে সদস্যপদ বাতিল হলে কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্তৃক তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ কিংবা পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত উক্ত সদস্য দায়িত্বভার পালন করতে হবে।
|
আঞ্চলিক শাখা অফিসঃ
|
যে কোন অঞ্চলে সংগঠনের আঞ্চলিক শাখা গঠন করা যাবে। তবে এর জন্য অবশ্যই কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন থাকতে হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন আঞ্চলিক শাখার গঠনতন্ত্র কার্যকর হবে না। আঞ্চলিক শাখা পরিচালনার ক্ষেত্রে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
|
সমিতির গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ
|
সংগঠনের সকল কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্র গঠনতন্ত্রই একমাত্র আইন সংগত নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হবে। ভবিষ্যতে বিশেষ প্রয়োজনে অথবা সংগঠনের পরিচালনার সুবিধার্থে অত্র গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন কিংবা পরিবর্ধনের জন্য সমিতির যে কোন সাধারন সদস্য সাংগঠনিক সম্পাদকের নিকট লিখিত প্রস্তাব করতে পারবেন, যা পরবর্তী সাধারণ সভায় উপস্থিত ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) এর সমর্থনে গৃহীত হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক সংশোধিত প্রস্তাবের উপর কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিমতসহ সাধারণ সভায় তা উপস্থাপন করতে পারবেন।
|
সংগঠনের বিলুপ্তিকরণঃ
|
যদি কোন সুনির্দিষ্ট কারণে সংগঠনের বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠে তাহলে,
· সাধারণ সভার ৪/৫ (চার-পঞ্চমাংশ) ভাগ সদস্যের অনুমোদনক্রমে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট নিবন্ধন বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। নিবন্ধন বাতিল হলে সংগঠন বাতিল বলে গণ্য হবে।
· নিবন্ধন বাতিলের পূর্বে সংগঠনের বর্তমান স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পদের বণ্টন করতে হবে।
· সংগঠন বাতিল হলেও এর সদস্যগণ কোনভাবেই সংগঠনের সম্পদের অধিকারি হবে না। এক্ষেত্রে সংগঠন বাতিল হলে সংগঠনের ২/৩ (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যের সম্মতিতে বড় কোন মতুয়া সংগঠনের কাছে হস্তান্তর করবে অথবা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে দান করবে।
|
মসজিদ কমিটির উচিত উত্তম নৈতিকতা, বিনয়, দয়া, ভালবাসা এবং আতিথেয়তা প্রদর্শন করা। তাদের সর্বদা নৈতিকভাবে আচরণ করা উচিত, তারা মসজিদের পরিদর্শক, স্টাফ সদস এবং মসজিদের সার্বিক কাজ পরিচালনা করা এদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মসজিদ কমিটির পদ সমূহ কি কি? কমিটির বৈশিষ্ট্য, দায়িত্ব ও কর্তব্য জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
ReplyDelete