শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান, নংঃ ৭১-৯০ - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান, নংঃ ৭১-৯০


    গান নংঃ ৭১-৯০


    ৭১নং তাল -গড়খেমটা
    গুরু তত্ত্ব কয়ে ভারি গোঁসাই সেজেছ
    গুরু কি ধন চিনলিনা মনসে রসে তুমি নি তাই মজেছ।।
    লোক সমাজে হরি কথা কওবাবার ঠাকুর হয়েরে মনপায়স অন্ন খাও
    তার নি উমান পাওসাধু নাম কোলাওহরি নামটি দিয়া জগৎ মাতাও,
    মনা ভাইতুমি নি তায় মেতেছ।।
    দোষ-লুকায়ে গুণের কথা কওহয়ে করণ বিহীনআপনি প্রবীণ জগতে জানাও,
    ঘাটে নৌকা বাওপ্রতিষ্ঠা বাড়াওহারে চোরের নৌকায় সাধুর নিশান,
    আমার মন টেনে কেনে দিয়াছ
    লোক ভুলাতে হরিকথা কওঅন্তরেতে দুষ্টমুখে মিস্ট কথা কও;
    কাজের কাজি নওকপট সাধু হওগুরু তত্ত্ব পরমার্থ,
    না জেনেগুরুর ভূষণ পরেছ।।
    আর ভাব দেখায়ে ভাবের কথা কওসিংহের মত ভঙ্গি দিয়ে অনুরাগ দেখাও,
    প্রেমের প্রেমিক নওঢলুয়া প্রেম দেখাওযে দিন শমন এসেবাঁধবে কসে,
    এড়াতে সম্বল কি তার করেছ
    তারকচাঁদ কয় ছাড় জাহিরী, সুক্ষ পথে না থাকিলে মিলবে কি হরি,
    দেখনা বিচারীচাড় জুয়াচুরি, অশ্বিনী তুই ব্যভিচারী,
    আপন কর্ম্মদোষে হয়েছ।।
    ৭২নং তাল - ঠুংরী
    আমি গুরু বৈমুখ হয়ে রলেম ভাইএ মুখ কেউ দেখ না
    এ পোড়া মুখ দেখলে পরে ও তার দুঃখ আর যাবে না।।
    হরি বৈমুখ হলে পরেগুরু গোঁসাই রাখতে পারে, বিচার অনুসারে
    গুরু বৈমুখ হলে পরেতারে কেউ রাখতে পারে না।।
    গুরু গোঁসাইর দয়া ছিলকর্ম্মদোষে নিদয় হলশেষে বিদায় দিল,
    ভবকুপে ফেলে দিলআমায় কেউ ডেকে সুধায় না।।
    বন্ধু বান্ধব ছিল যারাআমার বিপদ দেখে পালায় তারা ভেবে হলেম সারা
    তবিল ভেঙ্গে গেলাম মারাআমার মন মতি ভাল না।।
    গুরু গোঁসাই দয়া করে আমায় পাঠাইল প্রেম বাজারেলোভে এলেম ফিরে
    এমন সুধা মধু ত্যজ্য করেএসে খেলেম গরল পানা।।
    মহানন্দ বলছে দুঃখেএমন অপরূপ রূপ দেখে চক্ষেমজলি ঐহিক সুখে
    অশ্বিনী তোর নাইরে রক্ষেআমার গুরু চন্দ্র বিনা।।
    ৭৩নং তাল  আদ্দা
    হুজুরে পড়েছি ধরা আমারে কেউ ছুসনে তোরা
    আমার বাতাস লাগলে পরেপাবিনা আর কুল কিনারা।।
    আইন জেনে আইন লঙ্ঘিলোককে দেখাই সাধুর ভঙ্গি;
    কেউ হইনা আমার সঙ্গীজানে প্রাণে যাবি মারা।।
    পিতা মাতার পুণ্যের জোরেগিয়েছিলাম প্রেম বাজারে;
    কর্ম্মদোষে এলম ফিরেচিনলেম না সেই প্রেমের ধারা।।
    স্বার্থলোভে তত্ত্ব হারাইসদাই করি অর্থের বড়াই;
    ষড়রিপুর স্ফুর্ত্তি বাড়াইঐ দুঃখেতে হলেম সারা।।
    কি দোষ দিব বিধাতারেসকলই স্বকর্ম্মে করে;
    ঝিকে শিকায় বৌটী মেরেজানতে পারে ভাবুক যারা।।
    গুরুচাঁদের মধুর বাণীকর্ম্মগুণে হয় রাজরাণী;
    কর্ম্মদোষে হয় বারাণীস্বাক্ষী তার অশ্বিনী ফেরা।।
    ৭৪নং তাল - একতালা
    কত গুণের হরি আমারগুণের বলিহারি
    হরি বিনে রাত্রি দিনেজুরিয়া ঝুরিয়া মরি।।
    সত্ত্ব রজঃ তম গুণদিবানিশি গায় গুণ;
    গুণেতে হয়ে নিপুণবৈষ্ণবী শঙ্করী।।
    যার গুণে সেই দিনমণিঅন্ধকার হরেন তিনি
    সুশীতল চন্দ্র যিনিগঙ্গা পেলশীতল বারি।।
    যার গুণেতে জগৎ বন্দীঅনাদি না পেল সন্ধী,
    বিধানে না পেয়ে বিধিহলেন ব্রহ্মচারী।।
    যার গুণে সেই মহানন্দবিতরিল প্রেমানন্দ,
    অশ্বিনী তোর যায় না সন্দবিষয়ে বিষ পান করি।।
    ৭৫নং তাল - একতালা
    তত্ত্ব জ্ঞানে মত্ত হয়েনিত্য বস্তু জান
    অনিত্য সংসারে রে মনসং সেজে তুই রৈলি কেন।।
    অনিত্য সংসার ছাড়নিত্যধন অন্বেষণ কর;
    মন মানুষে দিয়া ভারবিবেক আর অনুরাগ আন।।
    অনুরাগের এমনি ধারামনকে করে মাতোয়ারা;
    করিয়া সে পাগল পারাপ্রেমামৃত করায় পান।।
    দান করিলে প্রেমামৃতমন মাতঙ্গের হয় সামর্থ্য;
    দলিয়া সংসার অনিত্যমন মানুষের পায় সন্ধান।।
    বিবেক বন্ধুর এমনি রীতিমনকে করে ছন্নমতি;
    ঘুচায়ে সে বাহ্য স্মৃতিপ্রেমানন্দ করে দান।।
    প্রেমানন্দ উদয় হলেমহানন্দ গুরু মিলে;
    অশ্বিনী তোর এইকপালেসে আনন্দ ঘটবে কেন।।
    ৭৬নং তাল - ঠুংরী
    কেনরে শ্রী গুরুর পদে কি বিষাদেএ দেহের ভার দিব
    আমি যেমন মানুষ তেমনি হবেগুরুকে কেন দায় ঠেকাব।।
    মনে মম এই সাধশ্রীগুরুর শ্রীকমল পদ;
    কমলার সু সম্পদমূলে থেকে নিরখিব।।
    যে চরণে চন্দন দিতেশঙ্কা হয় গোপীর চিত্তে;
    সে চরণে আমা হতেকেনরে বেদান লাগাব।।
    গুরু আমার থাকুক সুখেআমি যেন কাঁদি দুঃখে;
    কাঙ্গাল বেশে করব ভিক্ষেগুরুর গুণ গেয়ে বেড়াব।।
    গুরু আমার পবিত্র ময়অপবিত্র মম হৃদয়;
    দিবানিধি ভাবি সদায়কেন সরলে গরল মিশাব।।
    দয়াল গুরু মহানন্দপদে প্রেম মকরন্দ,
    পান করলিনা তার একবিন্দুঅশ্বিনী তোর নাই সে ভাব।।
    ৭৭নং তাল - একতাল
    এ পাপ দেহ গুরু পদে কেন করব দান
    আমার দান দিবার এক বস্তু আছেনেও যদি করি সম্প্রদান।।
    প্রেম ভক্তি ধর্ম্ম পুণ্যরেখেছি নাথ তোমার জন্য;
    আমি মেঙ্গে খাব হয়ে দৈন্য মনে করেছি এই বিধান।।
    সুখ শান্তি তোমায় দিয়েঅধর্ম্ম অশান্তি লয়ে,
    আমি থাকব মহাপাপী হয়েতবু না দেহ করিব দান।।
    পবিত্রময় তব অঙ্গবহিতেছে প্রেম তরঙ্গ;
    আমি কেন করব সে ভাব ভঙ্গএ দেহ পাপেতে পাষাণ।।
    নারকী হইয়া রবতবু না পদ পরশিব;
    আমি যেমন ব্যক্তি তেমনি রবও পদে নিতে চাই না স্থান।।
    মহানন্দের বাক্য লয়েদুঃখের পাষাণ বক্ষে দিয়ে;
    অশ্বিনী থাক চাতক হয়েকরিস না অন্য বারি পান।।
    ৭৮নং তাল -ঠুংরী
    স্বার্থ ত্যাগী অনুরাগী হওরে মন
    নিস্বার্থ নগরে যাবিপাবি রূপের দরশন।।
    নিস্বার্থ নগরে যাবিকত যে আনন্দ পাবি;
    প্রেমানন্দে সুখে রবিমিলবে গুরু পরম ধন
    স্বার্থময় সংসারে এসেমত্ত হলি অর্থের বশে;
    মায়া পিশাচী এসেস্বহস্তে করল বন্ধন
    দেখে শুনে হয় না জ্ঞানকরছ অভিমান সুরাপান;
    প্রতিষ্ঠা শুকরের বিষ্ঠাদিবা নিশি করছ ভক্ষণ
    পুন্য মুক্তি ভোগ অভিলাষছাড়রে কামিনীর কুরস;
    অতি সরস নাম সুধা রসসদায় করো আস্বদন।।
    মহানন্দ উচৈঃস্বরেডেকে বলে অশ্বিনীরে,
    এমন প্রেম ভক্তি রস নিলিনারেভবে আলি অকারণ।।
    ৭৯নং তাল - গড়খেমটা
    যদি শান্তি ধামে যাবিনিস্বার্থ গুরুতত্ত্বপরমার্থ অর্থ পাবি
    প্রবৃত্তি মহিষী তারে নির্ব্বাসন করিবি-
    নিবৃত্তি মহিষীর সঙ্গেপরম রঙ্গে কাল কাটাবি।।
    নিত্য ধন বল যারেরয়েছে শান্তি পুরে;
    শান্তি মাগেলে দেখা পাবি
    সে যে শান্তি মায়ের সাধনের ধনপ্রাণ সঁপে তায় দিবি;
    এক মন দিলেসে ধন মিলে প্রেমানন্দে সুখে রবি।।
    সুজন মন উজান বেয়েশান্তিপুর চল ধেয়ে,
    ত্রিবেণী এড়াইয়ে প্রেমের জোয়ার পাবি,
    শ্রদ্ধা পাল অনুরাগ মাস্তুলবাদাম টেনে দিবি;
    যুতের হালির কাঁটা ঠিক রাখিয়াশান্তিপুরে নাও লাগাবি।।
    মাধুর্য্য ভক্ত যে জনশান্তিপুরের মহাজন,
    বিলাচ্ছে অমূল্য ধনআয় তোরা কে নিবি
    পবিত্রময় দেহ হলেসেই সে প্রাপ্ত হবি;
    অপবিত্র দেহ হলেসঞ্চিত ধনে বঞ্চিত হবি।।
    শান্তিপুর ভাবের পাগলপ্রেমরসে হয়ে বিভোল;
    করতেছে প্রেমের কল্লোলদেখলে পাগল হবি।।
    হরি বলে বাহুতুলেসেই দলে মিশিবি,
    যেই পাগলের সঙ্গ নিলেতাপিত অঙ্গ জুড়াইবি।।
    পাগলের শিরোমণিহরিচাঁদ গুণ মণি
    শান্তিপুর দিন রজনীউদয় অক্ষয় রবি
    গোঁসাই গোলোকচন্দ্র মহানন্দ সেই পাগলে ভাবি;
    অশ্বিনী তোর চিত্ত সন্দএকে কালে সব ঘুচাইবি।।
    ৮০নং তাল - আদ্দা
    প্রেম নগরে বাঁধগে বাসা
    প্রেমিকেরই সঙ্গ নিলে ছুটবে না তোর প্রেমের নেশা।।
    প্রেমিক রাজার রাজ্যে যাবিপ্রেম প্রতিমা দেখতে পাবি;
    আনন্দেতে সুখে রবিঘুচবে না তোর প্রেম পিপাসা।।
    প্রেমের পোস্তায় প্রেমের পুরীপ্রেমের শয্যায় শয়ন করি;
    প্রেমিক গুরুর সঙ্গ করিকরগে রে মন প্রেম তামাসা।।
    মিলাইয়া প্রেমের মেলাদোলাইয়া প্রেমের দোলা;
    খেলবি রে মন প্রেমের কেলাপাতিয়া সেই প্রেমের পাশা।।
    দাঁড়িয়ে সেই প্রেমের তীরেস্নান কর মন প্রেম সাগরে;
    প্রেমের দোকান প্রেমের খনিপ্রেমিক মতুয়ার এই ব্যবসা।।
    প্রেমিক মহানন্দ বলেহরি প্রেম কি কথায় মিলে;
    প্রেমিক তারক ডেকে বলেঅশ্বিনী প্রেম ভক্তিনাশা।।
    ৮১নং তাল - আদ্দা
    মন কাঁদে মন মানুষ বলে
    বিষম বিরহানলেমনের আগুণ দিগুণ জ্বলে।।
    মন মানে না ধর্ম্মের শাসনপুণ্য মুক্তি তুচ্ছ দুজন;
    দেখতে চায় মন মানুষ রতনবয়ান ভাসে নয়ন জলে।।
    রুদ্র আগুন সইতে পারিব্রহ্ম আগুন তুচ্ছ করি;
    বিচ্ছেদ আগুন সইতে নারিপ্রাণে মরি জ্বলে জ্বলে।।
    মনের মানুষ মনোচোরামন না দিলে যায় না ধরা;
    মনের মানুষ ধরবি তোরাডুব দিগে তার রূপ সলিলে।।
    মনের মানুষ পাবার লাগিগোলোকচাঁদ হল বিরাগী;
    হীরামন হয় সর্ব্বত্যাগীপ্রেমসাগরে সাঁতার খেলে।।
    বলে গোঁসাই মহানন্দমনের মানুষ হরিচন্দ্র;
    অশ্বিনী তুই অজ্ঞানান্ধদেখলিনা রূপ নয়ন মেলে।।
    ৮২নং তাল - একতাল
    আমার হরিচাঁদের রূপের কিরণ লেগেছে যার গায়
    ও তার রসে তনু ডগমগরেভাবে তনু ডগমগদেখলে চেনা যায়।।
    রূপ নেহারী ভক্ত যে জন হয়;
    ও তার চিত্ত চকোর হয়ে বিভোর চাঁদের সুধা খায়
    হয়ে অনুরাগী সর্ব্বত্যাগীরেসুধাপানে মত্ত হয়।।
    গগন চাঁদে জগৎ আলো হয়,
    আমার হরিচাঁদের কিরণেতেমনের আঁধার যায়
    অগণিত রবি শশিউদয় হরিচাঁদের পায়।।
    কি কব সেই রূপের মাধুরী,
    নয়ন পথে ছিদ্র পেয়েমন করে চুরি
    আমার সর্ব্বস্ব ধনকরে হরণনয়ন পথে ঝলক দেয়।।
    যার লেগেছে সে চাঁদের কিরণ
    দিবানিশি চাঁদের সুধা করে আস্বাদন
    ও সে প্রেমানন্দে হয়ে মগন ধুলায় গড়াগড়ি যায়।।
    গোলোকচাঁদ সেই চাঁদের রূপ হেরে,
    ও তার হৃদয় আলোকহয়ে পুলক পলক না মারে
    মহানন্দের বাণী শোন অশ্বিনীতোর দরশনের সময় যায়।।
    ৮৩নং তাল - একতালা
    দয়াময় দীনবন্ধু হরি;
    কত দয়া করছ দয়ার বলিহারী
    তুমি আমার লাগিয়া হে,
    ক্ষুধার অন্ন হয়েপিপাসা হলে পিয়াও বারি।।
    কত সুমিষ্ট সুপক্ক হে,
    ফল লক্ষ লক্ষআমা লাগি রাখছ বৃক্ষোপরি
    কত চিনি সন্দেশ মিঠাপায়স অন্ন পিঠা,
    খাওয়াইতেছ আমায় অখিল পুরি।।
    তুমি আমার কারণে হে,
    বিবিধ বসনে শয়নে দিতেছ শয্যা করি
    আমি যখন ঘুমে থাকিমুদে দুট আঁখি,
    তুমি এস তখন হও প্রহরী।।
    কত বিদ্যা বুদ্ধি দানে হে,
    সর্ব্বত্র সম্মানেকরেছ আমায় মান্য মান ভারি,
    আমায় দাসদাসী দিয়েগোঁসাইজি বানায়ে;
    করে দিলে তায় আজ্ঞাকারী।।
    তুমি আমারে তুষিতে হে,
    সুখ শান্তি দিতেদিয়েছ দারা কুমার কুমারী
    দিলে ঘর বাড়ী জমিসুখের নাইক কমি,
    অশেষ সুখ ভুঞ্জালে হরি।।
    দয়াল মহানন্দ বলে হে;
    প্রেমানন্দ মিলে অনুরাগী হলে ফকিরি,
    গোঁসাই তারকচন্দ্র সুধায়অশ্বিনী তুই সদায়,
    হরি বলে হে প্রেমভিখারী।।
    ৮৪নং তাল - আড়া
    হরি পরাণ পুতুল আমার পরাণ পুতুল
    নয়নের মণি হরিজীবন জাতি কুল।।
    বসন ভুষণ হরিহরি আমার হস্তের চুড়ি;
    হরি আমার শঙ্খ শাড়ীহরি কর্ণের দুল।।
    হরি পতি হরি গতিহরি আমার রতি মতি;
    হরি আমার দিবারাতিহরি নাকের ফুল।।
    হরি মাতা হরি পিতাহরি গুরু জ্ঞান দাতা;
    হরি আমার পুত্র ভ্রাতাহরি অনুকুল।।
    হরি ধ্যান হরি জ্ঞানহরি আমার কুল মান,
    হরি আমার ধন প্রাণহরি সর্ব্বমূল।।
    হরি আমার মহানন্দহরি আমার তারকচন্দ্র,
    হরি বিনা নিরানন্দঅশ্বিনী আকুল।।
    ৮৫নং তাল - আড়া
    গুরুর কাছে হুকুম নিয়েকাম রতির রণে দে হানা
    শুন না শুন না কারুর মানা।।
    নিস্কাম রথে আরোহণ করিশম তম অশ্ব যুড়ি;
    ধৈর্য্য ধনুক করে ধরিসহজ বাণ কর যোজনা।।
    কামের সহায় কলি রাজাষড়রিপু তাহার প্রজা;
    জীবাত্মাকে দিচ্ছে সাজালুট করে নেয় উপাসনা।।
    ক্রোধ কলির সেনাপতিদয়া মায়া নাই এক রতি,
    সুমতির ঘটায় কুমতিএক জোটে আছে ছয় জনা।।
    হরি নামের ডঙ্কা মারিঅনুরাগের ত্রিশূল ধরি;
    তত্ত্বমসি তরবারিধারণ করলে ভয় রবে না।।
    দয়াল মহানন্দ বলেগুরু পদে প্রাণ সপিলে;
    শঙ্কা নাই তোর কোন কালেঅশ্বিনী কেন বুঝ না।।
    ৮৬নং তাল - গড় খেমটা
    উঠল ভাবসাগরে প্রেমের তুফান
    চলগে ডুবে মরি স্বার্থ বল ছাড়ি।।
    যদি মরতে পার মরার মত হয়ে রূপের অনুগত;
    ত্যাজিয়া সংসার অনিত্যভ্রান্ত মায়া ছাড়ি;
    তবে পাবি রতনমনের মতনঅপরূপ রূপের মাধুরী।।
    ডুব দিয়ে যেনা ছাড়ে উসঢেউ লেগে সে হয়েছে বেহুঁশ;
    পেয়েছে সে মনের মানুষতারে কই ডুবারী;
    এবার জাগলে পরে পাবা না রেঅধরে ধর সন্ধান করি।।
    প্রেম লহরে রত্নাকরেকাল মাণিক বিরাজ করে;
    ধরতে হবে নিরিখ ধরেছেড়ে সব জাহিরী;
    হয়ে বেহালপথের কাঙ্গালমন মাতাল হওগে প্রেম ভিখারী।।
    পান কর প্রেম সুধাসিন্ধুসই রেখে তোর নাদবিন্দু;
    ইন্দু মাঝে বিরাজ করেকিশোর কিশোরী;
    হলে প্রেমে আর্ত্তিযুগল মূর্ত্তিআনন্দে দেখবি নয়ন ভরি।।
    প্রেমসাগরের অতল বারিমহানন্দের ডুবল তরী;
    তারক চাঁদ কয় ডুবে মরিবলে হরি হরি;
    অশ্বিনী কেন বসে রলিঅলসেতে দিন কাটালি
    এ সময় সয়নারে আর দেরী।।
    ৮৭নং তাল - গড় খেমটা
    মন চোরা দুঃখ পাশরা দেখবি যদি তারে
    নিত্য ধাম আনন্দ নগরেচল যাই উজান মেরে
    সে অন্তরঙ্গ ভক্তের সঙ্গেবিরাজ করে পরম রঙ্গে,
    সাঁতার খেলে প্রেম তরঙ্গেপুলক অন্তরে;
    সে যে প্রেমের বাধ্য ভবারাধ্যমরিস্ কেন তপ তপস্যা করে।।
    যোগী ঋষি দিবানিশিতত্ত্ব জ্ঞানী তত্ত্বমসি;
    সাধন করে বনে বসিথাকি অনাহারে;
    তবু পায়না দেখাবাঁকা সখাযতদিন প্রেম নাহি সঞ্চারে।।
    প্রেমানুগা হও মন আগেডাকরে তারে অনুরাগে;
    কাজ কিরে তোর যোগে যাগেসাধ্য সাধন করে;
    ছেড়ে সাধন ভজন পৈশাচ বৃত্তিবসে থাক নিবৃত্তি আগারে।।
    ধন্য করি যুগ ধন্যজীবকে হইয়ে সুপ্রসন্ন;
    জন্ম নিল শ্রীচৈতন্যযশোমন্তের ঘরে;
    এবার নিহেতু প্রেম দিবার জন্যএসেছে মানব দেহ ধরে।।
    ওড়াকান্দী নিত্য ধামেমত্ত আছে সহজ প্রেমে;
    গেলে পরে ভাগ্যক্রমেদেখবি সে অধরে;
    গোঁসাই গুরুচাঁদের দয়া বিনেঅশ্বিনী দেখবি কেমন করে।।
    ৮৮নং তাল - ঠুংরী
    পথ ছাড়রে ছজন বাদী
    আমি দেখতে যাই হরি গুণনিধি।।
    পথে দিয়ে বিষয় কাঁটা বসে আছে ছয় বেটা;
    একেত সংসারের লেটাঐ দুঃখেতে বসে কাঁদি।।
    হরি দরশনে যাবযাস যদি আয় সঙ্গে নিব;
    প্রেমানন্দে সুখে রবদেখব ঐ রূপ নিরবধি।।
    তুইত আমার মিত্র ছিলিতবে কেন শত্রু হলি;
    করিস না আর জোরামালীভাল এবার চাওরে যদি।।
    হরি প্রেমের প্রেমিক হবপ্রেম সুধা লুটে খাব;
    যম বেটাকে ফাঁকি দিবসে সুখের আর নাই অবধি।।
    মহানন্দের দয়া হলেদীনবন্ধু হরি মিলে;
    অশ্বিনী তোর এই কপালেঘটবে কি অনাদির আদি।।
    ৮৯নং তাল - ঠুংরী
    কে বলেরে রিপু ছয় জন
    এরা গুরু সেবার মূল মহাজন।।
    কামকে লাগাও গুরু সেবায়ক্রোধ ভক্ত দ্বেষী জনায়
    লোভ সাধু সঙ্গে সদায়করুক হরি নাম সংকীর্ত্তণ।।
    মোহ রূপ দরশনেমত্ত থাকুক নিশি দিনে;
    মত্ত হরি গুণ গানেকরুক সদা প্রেম আস্বাদন।।
    মাৎসর্য্য মত্ত মাতঙ্গমহাভাবে দোলাক অঙ্গ;
    যার গুণে হয় প্রেম তরঙ্গশীতল করে তাপিত জীবন।।
    দেহ চালায় এই ছয় জনেনিবে নিত্য বৃন্দাবনে;
    দেখাইবে হরি ধনেশঙ্করের সাধনেরই ধন।।
    গুরু পদে মতি রাখসদয় সাবধানে থাক;
    অশ্বিনী তোর নাই বিপাকপাবি হরির যুগল চরণ।।
    ৯০নং তাল - গড় খেমটা
    যে জন রক্ষা করে পিতৃধন,
    সেই সে ভবে বাপের বেটা বিচক্ষণ।।
    পিতৃধন না করে যতনও সে অধ্যেপ্যতে অভাজন।।
    পিতৃধনের উপরেহরিধন বিরাজ করে,
    লয়ে রাসেশ্বরীরাসবিহারী মহারাস করে,
    যে জন অটল মানুষপ্রেমে বেহুঁশ সেই করে রূপ দরশন।।
    পিতৃধন রাখা বড় দায়কইতে লাগে ভয়;
    চুম্বক লোহার আকর্ষনে নার লোহা খসায়;
    তেমনি মায়াবিনী চুম্বক লোহায়পিতৃধন করে হরণ।।
    নিষ্কাম সুখ বড় আনন্দতাতে নাই কামের গন্ধ;
    যে জন ভবে করেছে সেই মদনকে বন্ধ,
    ও তার হৃদয় দোলে প্রেমানন্দনিরানন্দ নাই কখন।।
    ও যার গুরুতে আর্ত্তিও তার খন্ড রতি;
    দিবানিশি দেখতে পায় সেরসরাজ মূর্ত্তি;
    সে প্রাপ্ত হয়ে প্রেম পিরীতি যুগল সেবার মহাজন।।
    গোঁসাই তারকচন্দ্র কয়যে জন উর্দ্ধরেতা রয়,
    কাম গন্ধহীন প্রেম পিরীতিসেই সে প্রাপ্ত হয়,
    ওরে অশ্বিনী মোহিনীয় মায়ায়কাম কুপে হলি পতন।।

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.