শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
শ্রীশ্রী হরির ভাব সঙ্গীত, গান নংঃ ১৬-৩৫ - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    শ্রীশ্রী হরির ভাব সঙ্গীত, গান নংঃ ১৬-৩৫

    গান নংঃ ১৬-৩৫


    রাগীনি - কেলেংরাণী
    ১৬। তাল  ঠুংরি
    দয়াল হরি হে – আমি ডাকি অসীম কাতরে
    হরি মনোবাঞ্ছা কর পূরণএই আকিঞ্চন মোর অন্তরে।।
    । এই বাসনা মনে ভারিতোমায় যেন ডাকতে পারি
    আমায় জম্মে জন্মে কৃপা করিরেখ কৃপা সাগরে।।
    যা ইচ্ছা তাই কর হরিতাতে চিন্তা নাহি করি
    আমার কাটে যেন মায়া বেড়ীপাপ ঘুচায়ে নেও আমারে
    । দুঃখ যত অবিরতদেও হে দুঃখমনের মত
    (তোমার) চরণ সেবার যোগ্য মতকরে রেখ আমারে।।
    । তুমি যে পাতকীর বন্ধুতরাও আমায় ভবসিন্ধু
    দেহ অন্তিম কালে কৃপাসিন্ধুচরণে স্থান দেও আমারে।।
    । অধম দীনার এই আকিঞ্চনকুকর্ম্মে হয়েছি পতন
    হরি কর আমার পাপ বিমোচন,
    শ্রীচরণ দেও হৃদ মাঝারে।।
     
    রাগীনি – আনারা
    ১৭। তাল - গড়খেম্টা
    এল কলির শেসে জীব তরাতে
    ওড়াকান্দী হরিচাঁদ আমার
    তোরা এই মধুর নাম নিলে পরে
    অনায়াসে হয়ে যাবি পাড়।।
    । দুঃখী তাপি উদ্ধারিতেএল হরি এ জগতে,
    ডাকার মত না ডাকিলেদয়া হবে না
    অকুলে ভবকান্ডারীডাকিলেদয়া হবে না
    অকুলে ভবকান্ডারীডাকলে পাবি পদতরি,
    সবার বিপদ মোচনকারীভব নদী করে নেয় পাড়।।
    । বেলা থাকতে ধর পাড়িবদনে বলিয়ে হরি,
    অনায়াসে উঠবে পারিভয় রবে না আর
    এ দুঃখ ভব সাগরেযদি ডাকতে পার তারে,
    দয়াল মাঝি হলে রাজিপার করতে বিলম্ব নাই তার।।
    । আপনি সাজায়ে তরীহরিচাঁদ কর কান্ডারি,
    সাধু মহাজন বহর ধরিপ্রেমতারে লাগাইও ডুরি,
    অনুরাগের দাড় মারিভবনদীর ধর কিনার।।
    । দয়াল হরি গোসাই বলেদীনারে তুই এই সকালে,
    সারি গেয়ে হরি বলেহয়ে যাবে পার
    ভবনদীর তুফান ভারিউচ্চ স্বরে বল হরি,
    তবে পারে যাবি ত্বরা করিহরিনাম ভুলনারে আর।।
     
    রাগিনী - ফকিরী ধাওয়া
    ১৮। তাল ঠুংরি
    আমি ঘুরে বেড়াই দেশ বিদেশে
    কোথায় গিয়ে হরিচাঁদ পাবরে
    আমি হরির আশেদেশ বিদেশে,
    সদা বেড়াই ঘুরে ঘুরে।।
    । হরি আমার প্রাণের বড়িনা দেখিলে জ্বলে মরি
    আমি কেমন করেধৈর্য্য ধরিদিন রজনী প্রাণ পোড়ে।।
    । থাকে হরি যেই দেশেযাব বলে সেই দেশে
    আমার যাওর্য়া হয় নাকর্ম্মদোষেকুমতি রাখে ঘিরে।।
    । বের হব হরিচাঁদ বলেযা থাকে আমার কপালে
    আমি চরণের দাসহয়ে রবযদি দেখা পাই তারে।।
    । কাতরে কয় দীনা বোকাদেশবিদেশে ঘুরি একা
    আমি তবু হরির পাইনে দেখা, (আমি) উপায় কি করিব রে।।
     
    রাগিনী-গোপীছোড়া
    ১৯। তাল-ঠুংরী
    তোরা আয় কে যাবি হরিচাঁদের প্রেমের বাজারে
    তোরা গেলে পড়ে দেখতে পাবিকত মাল আছে থরে থরে
    । সম্পূর্ণ মাল রক্ষা করেরেখ মালের কোঠা ভরে রে
    এবার হুসিয়ার থেক দিবা রাত্রেমাল যেন নেয়না চোরে
    । সেই বাজারে আছে চোরানিয়ে যায় মাল সব হরিয়া রে
    চোরাবাতি জ্বেলে করে চুরিজিলা আর মোকাম ধরে।।
    । সেই মালের উপরথরেসোর মানুষ বিরাজ করে রে
    ও তার রূপে ভুবন আলো করেদেখলে জীবের মন হরে।।
    । বাজারে সেই অটল মানুষসদা থাকে প্রেমে বেহুস রে
    ও সে সদা থাকে প্রেমের ঘরেপ্রেমানন্দে বাস করে।।
    । হরি গোসাইর মধুর বচনবোকা দীনা তোরে কই শুনরে
    যদি পেতে চাও সেই মানুষ রতনগুরুর চরণ থাক ধরে।।
     
    রাগিনী-আনারা
    ২০। তাল-গড়খেম্টা
    কেন ঘুরে বেড়াও অন্ধকারে
    বিরাগ ভরে ডাক তারে
    ডাক দিয়ে ভক্তি পাবি মুক্তিভক্তি বিনে পায়না তারে।।
    । মুখে বল হরি হরিকাজে কর জুয়াচুরি,
    কেম্নে পাবি সেই শ্রীহরিঐ ভাব রসনা
    হও কেন বাক্য ভ্রষ্টগুরুর বাক্য কর নষ্ট,
    হরি পাওয়া ভারি কষ্টনামে রুচি হলনারে।।
    । যদি করতে পার প্রেমভক্তিহরিপদে হবে আর্থী,
    না থাকিলে প্রেমভক্তিতারে পাবেনা
    চায়না তোদের টাকাকড়িচায়না তোমার জমিদারি,
    চায় সে শুধু ভক্তি ডুরিভক্তি বিনা চায় না কারে।।
    । যদি দেখ টাকাকড়িঘরেতে সুন্দরী নারী,
    সে সব শুধু দিন দুই চারিচেয়ে দেখনা
    ভেবে দেখ ঐ হৃদমন্দিরেচোরা আছে সিং দুয়ারে,
    সব ধন তোর নিবে হরেমাল কোঠা ভাঙ্গিয়ে জোরে।।
    । হরি গোসাই বলে একান্ত দীনারে তুই হসনে ভ্রান্ত,
    করিয়ে মন সূক্ষ্ম শান্তহরি বলে ডাক
    ঘুচাইলে মনের ময়লাদূরে যাবে শমন জ্বালা,
    ভবপারে যাবার বেলাকোন কষ্ট হবেনা রে
     
    রাগিনী-ভাটিয়াল
    ২১। তালঝাপ
    আমার কর্ম্ম দোষে সব খুয়ালেম
    না পেলেম সেই অধর ধরা
    আমি যদি করতেম গুরুর করণ
    তবে অধর চাঁদের পেতাম ধরা।।
    । কু-সঙ্গিনীর বাতাস লেগে গায়,
    হা-হুতাশে জীবন গেলকি করি উপায়
    আমার নাই কোন বলমনে গরল,
    চিন্তানলে হলেম সারা।।
    । কু-সঙ্গিনীর কু-চক্রে পড়ে,
    সারাজীবন গেল আমার দুষ্কর্ম্ম ফেরে
    মরলেম্ অসৎসঙ্গ কু-আচারেকু-মতি চতুপার্শ ঘেরা
    । হরিচাঁদের প্রেমেরই বাতাস,
    আমার গায়ে লাগলনাকরি সদা পরিহাস
    হলাম অকাল কুষ্মান্ডসকল পন্ড,
    ভজন পূজন নাই মোর করা।।
    । যদি প্রেমের বাতাস এক দিন লাগত গায়
    তাপিত অঙ্গ গলে যেতসেই বাতাসের গায়
    দীনার কাতর বাণীদিন রজনী;
    হরি জীয়ন্তে দেও আমায় ধরা।।
     
    রাগিনী সিন্ধুনী
    ২২। তাল লোফা
    গুরু বিপদ কালে রৈলা কোথায়
    আমি মায়া পিশাচিমায়া দুর কর আসি,
    নহে এ পিশাচির কি উপায়।।
    । আমার নাই ভক্তি বলআমার নাই নয়নে জল,
    নিজদাস বলিয়ে গুরুঘুচাও মনের খল
    গুরু তুমি না হলেগতি নাই ভুমন্ডলে,
    তোমার শ্রীচরণ দেও মোর হৃদয়।।
    । আমি অতি অভাজনতোমার না জানি সাধন,
    দিবানিধি দেখা দেও হেশ্রীমধূসূদন
    আমার মনের বাসনাওহে কেলেসোনা,
    ভব-জ্বালা যেন ঘুচে যায়
    । আমার মনের অভিলাষতব পদে হব দাস,
    নয়ন জলে ধোয়াব চরণমনের এই আঁশ
    আমি অতি দীনহীনপদে রেখ চিরদিন,
    বসে আছি ঐ চরণ আশায়।।
    । দয়াল হরি গোসাইতুমি বিনে গতি নাই,
    আমার মনের বেদনাগুরু কেন দেখা দেও না,
    তুমি আমায় কেন হইলা নিদয়
     
    রাগিনী - ভেরি
    ২৩। তাল - গড়খেমটা
    হরি লীলা বুঝতে নারে
    হরি লীলা বুঝতে নারে।।
    দস্যু হয়ে যে জন থাকেউদ্ধার করে নেয় তাহারে।।
    । যে জন হরিনাম করে সারদুঃখ যাতনার সীমা নাই তার,
    দস্যুকে করে নেয় পারএইত হরির খেলা
    দুঃখী-জনার দুঃখ বুঝিবেএমন লক্ষ্য নাই তার,
    তারে মনের মত দুঃখ দিয়েভাসায়ে দেয় দুঃখ সাগরে।।
    । (রাজা) হরিশ্চন্দ্র ধার্ম্মিক ছিলভার্য্যা পুত্র দান বিকাইল,
    রাজ্য ছেড়ে যেতে হলকত হয় লাঞ্ছনা
    পুত্র মরল সর্পাঘাতেমায়ের সাক্ষাতে,
    দুঃখে শৈব্যা রাণীকাঁদে তিনি,
    (রাজা) হরিশ্চন্দ্র দেখা দেও আমারে।।
    । নরসিংহ অবতারেহিরণ্যকশিপুরে,
    অষ্ট হস্তে বিনাশ করেউরুতে রাখিয়ে
    প্রহ্লাদ থাকে করজোড়েসম্মুখে দাড়ায়ে,
    মুখে হরেকৃষ্ণ হরে কৃষ্ণনয়নেতে অশ্রু  ঝরে।।
    । ধ্রুব প্রহ্নাদ ছিল ভক্তদুঃখ দিল অতি শক্ত,
    সেই কথা বলিব কতএ ভীষণ ব্যাপার
    হরি গোসাইর মধুর বাণীশুনরে দীনা দুরাচার,
    তোর দস্যু আত্মা কেটেঅনায়াসে যাবি তৈরে।।
     
    রাগিনী - ভজনা
    ২৪। তাল - ঝাপ
    কি ধনে পূজিব গুরু আমার সে ধন নাই রে
    তিনি হবে যে ধনেতে খুশিসে ধন আমার নাই রে।।
    । গুরু দিল গোল আনাকরলেম না ঐ উপাসনা
    আমার গুরু রতি ঠিক হলনাজনম বৃথায় গেল রে।।
    । গুরু আমার বলতে আছে যে ধন,
    দিতে পারলেম না গুরু ধন
    আমায় শিকায়ে লও সে ভাব রতন,
    পাই শ্রীচরণ কেমন করে।।
    । বলে বোকা দীনবন্ধুহরি গোসাইর দয়াবিন্দু
    আমি পেলেম না তার একবিন্দু কি উপায় মোর হবে রে।।
     
    রাগিনী - ভাটিয়াল
    ২৫। তাল - ঝাপ
    হরি কবে তোমায় চাবে আমার এ পাপ পরানে
    আমি পাপ অনলে মলেম জ্বলে সারা হলেম্ এ জীবনে।।
    । পেয়ে তোমার শান্তি সুখের ঘর,
    অন্ধকারে রলেম পড়ে সদা মোর অহঙ্কার
    রলেমত হিংসানলেতোমায় ভুলে
    তোমার নামটিনাই মোর মনে।।
    । আমি হয়ে রলেম মায়ার আবদ্ধ,
    তোমায় আমি ছেড়ে রলেমসংসারেরর মধ্য।।
    কবে সংসার জ্বালাহবে ত্যাজ্য,
    কবে রব তোমার ঐ চরণে।।
    । দিয়ে আমায় ভাবভক্তিজ্ঞান
    হরি আমার ষড়রিপুকরহে দমন
    আমার এ পাষান মনকর দলন,
    (যেন) তোমায় না ভুলি কখনো।।
    । দীনবন্ধু কাতর প্রাণে কয়,
    হরি আমায় চরণ তলেরাখিও সদায়।।
    করি মায়ার সংসারহে শুনধর
    দেখি অন্ধকার দুনয়েনে।।
     
    রাগিনী - ভাটিয়াল
    ২৬। তাল - ঝাপ
    তুই ভেবে দেখ ঐ হরি বিনে,
    বন্ধু নাই আর এ সংসারে
    হরি তোর হইল সর্ব্বস্বজীবন যৌবন দে তাহারে।।
    । হরি হইল সর্ব্ব মূলাধার,
    ব্যক্ত আছে ত্রিসংসারেযতই চরাচর
    এবার সময় গেল হরি বল
    দিন থাকতে নেও বদন ভরে।।
    । আগে মদনের ঘর বাঁধগে এটে,
    হরি বলে বাহু তুলেযাও প্রেমের হাটে
    সদা ডাক তারে বিরাগ ভরে,
    শক্তি দিয়ে ভক্তি ডোরে।।
    । কাম ক্রোধ লোভ মোহ মদ মাৎসর্য্য,
    ছয় রিপুকে করলে বাধ্যহবেরে কার্য্য
    তবে প্রেমানন্দে কাল কাটাবি,
    থাকবি সদা প্রেমনগরে।।
    । তুই থাক যেয়ে প্রেমেরি বাজার,
    প্রেমদাতা হরিকে তুই দেখবি রে এবার
    হরি গোসাই কয় এবার হরি কর সার
    দীনবন্ধু বলি তোরে।।
     
    রাগিনী - পানতুফাণি
    ২৭। তাল - লোফা
    এবার ভাবনা ভাব অন্তরে গুরু বলে
    তবে প্রেমের গুরু কল্পতরুপাবিরে তুই প্রেম দিলে।।
    । ভক্তি প্রেমের গুরু মধুসূদনডাকতে পারলে পায় তার চরণ
    ও সে বসত করে সপ্ত তালায়সে দ্দিলল পদ্মমূলে।।
    । আছে ষস্ট রথীপঞ্চ সখাযুদ্ধস্থলে পায় তার দেখা
    যে জন করতে পারে করণ যুদ্ধহরিধামে যায় সে চলে।।
    । জানে কামদ্রোণ রাজাভীষণ যুদ্ধশরাঘাতে করে জব্দ
    পারবি না ঠিক থাকিতে কোন মতে,
    কাম দ্রোনের বাণ ভীষণ চলে
    । অর্জ্জুন যেমন ছিল যোদ্ধাযুদ্ধে পায় দৌপদী সাধ্যা
    তেমনি তার মত হইলে যোদ্ধাজয়ী হবি সেই রণস্থলে।।
    । দীনবন্ধু ভ্রান্ত মনেযুদ্ধ করবি কোন সন্ধ্যানে
    (সন্ধান) জেনে হরি গোসাইর স্থানে,
    যুদ্ধে যাবি তারই বলে।।
     
    রাগিনী - শিন্দীয়ারা
    ২৮। তাল - ঠুংরী
    হরিচাঁদের চরণ ছাড়া কেন আমি হলেম ভাই
    আমি হরি বিনে মনোব্যাথাকার কাছে যেয়ে জানাই।।
    । আমি কত অপরাধিপাইনে দেখা গুণনিধি
    সে ভাবনা নিরবধিকি দিয়ে মোর প্রাণ জুড়াই।।
    । (আমার) পিতার সু-পুত্র হও যারাওড়াকান্দী যা ভাই তোরা
    আমি হই ভক্তিহীন কর্ম্ম ছাড়াকি শুনেতে তারে পাই।।
    । আমার খবর বলিস তোরাতারে বিনে গেলাম মারা
    এইবার যেন দেয় সে ধরাসে বিনে মোর বান্ধব নাই।।
    । হরি গোসাইর কৃপা জোরে, (রব) হরিচাঁদ কৃপা নগরে
    আমি আর যেন আসি ফিরেদীনার অন্য আশা নাই।।
     
    রাগিনী - উরয়ালিকা
    ২৯। তাল - একতাফা
    এ বিপদে কোথায় ওহে হরিচাঁন
    নদীর ঘোলায় পড়ি ডাকি হরিশ্রীচরণে দেও হে স্থান।।
    । মাল ভরিয়ে দিলেম পাড়িকাম নদীর ঐ পাকে পড়িবল কি উপায়
    নদীর তরঙ্গ ভারি ডুবে তরীএ দেহ হয় অবসান।।
    । বিপদে পড়িয়ে ডাকিবিপদ ভঞ্জন কমল আঁখিহও সদয়
    তোমার দয়া বিনে এ তুফানেসারা হল আমার প্রাণ।।
    । পড়েছি অকুল পাথারেরক্ষা কর অধমেরে অসময়
    হরি আমি অতি মূঢ় মতি না জানি পারের সন্ধান।।
    । গুরুচাঁদের কৃপা ডুরিনৌকায় দিয়ে বন্ধি করিউঠাও কিনারায়।।
    হরি গোসাই করে এই সদুপায়দীনার রক্ষ দেহ প্রাণ
     
    রাগিনী - ভজনা
    ৩০। তাল  ঝাপ
    হরি এল ওড়াকান্দী
    নামে জগৎ মাতালরে
    নামে জগৎ মাতালরে - নামে জগৎ মাতালরে।।
    । নামে প্রেমে বোঝাই করিছেড়ে দিল নামের তরী
    তোরা এই নাম নিবি বদন ভরি,, মনেরি পুলকে রে।।
    । ক্ষত্রিয়ব্রাহ্মণবৈশ্যতাঁতি-সবে এক ভাই একই জাতি
    জাতির গৌরব ছাড়ি বল হরিনামে যাও মাতিয়ারে।।
    । ঘুচাও সবে মনের ভ্রান্তএই হরি নাম সূক্ষ্মশান্ত
    হল চারি যুগের মহামন্ত্র (হরি) নাম সংকীর্ত্তণ রে।।
    । (হরি) নামেতে যার ভব-ব্যাধিপান কর নাম নিরবধি
    ঐ দেখ নাম বিনে এ তিন ভুবনেবন্ধু কেহ নাই রে।।
    । নাম বিলায় সেই হরি গোসাইবলে নাম ভিন্ন গতিনাই
    এমন শুভদিন আর পাবিনা তাইদীনবন্ধু বলি তোরে।।
     
    রাগিনী - হেলারি
    ৩১। তাল ঝাপ
    হরিচাঁদ আমার মনের দুঃখ
    মনের রল আশা পূর্ণ হইলনা
    আমার মনের দুঃখ মনে রলআশা পুর্ণ কেন হল না।।
    । দুঃখে জনম গেলমনের দুঃখ মনে রল
    পেলেম না তব শ্রীচরণ
    অমি যদি পেতেমহৃদয়ে লইতেম,
    পুরাইতেম মন বাসনা।।
    । (শুনি) নামে গুনে রাং হয় সোনাহরি তোমার এই মহিমা
    আমার প্রতি কেন দয়া হয়না
    আমার ভব বন্ধন কর খন্ডনরাতুল চরণ হৃদয়ে দেও না।।
    । আমার মনে এই আকিঞ্চনহরি তোমার যুগল চরণ,
    পুজিব বিরলে বসিয়
    পুজিব অতি যতনেআকুল প্রাণেভক্তি চন্দন দিব বাসনা।।
    । দীনার মনে এই বারতাহরি গোসাই ভরসা,
    তুমি বিনে আর প্রত্যাশা নাই
    গুরু তোমারি করণেবাঁচি না তাড়নে,
    বিপদে স্থান কেন পাইনা।।
     
    রাগিনী - বেহুন
    ৩২। তাল - গরখেম্টা
    আমায় কি বেশে সাজালে হরি
    আমায় কি বেশে সাজালে হরি
    আমি দেশ বিদেশে ভ্রমণ করি,
    করলে আমায় দীন ভিখালী।।
    । আমার মন প্রাণ হল হুতাশীগৃহ ছেড়ে হই বিদেশী,
    বেড়াইতেছি কেউ নাই সাথীএ তিন ভুবনে
    দুঃখ দিলে মনের মতআরও দুঃখ দিবে কত
    এখন হওয়াও তোমার অনুগতচাইনা বিষয় টাকাকড়ি।।
    । হৃদয়ের দেবতা তুমিতুমি আত্মা অন্তর্যয্যামী,
    তুমি জগৎ পিতা স্বামীআমি কভু জানলেম না
    তুমি জনম ভরে পালন করেরাখলে এই ঘোর সংসারে,
    মনের যায়না ময়লা করি হেলাহৃদয়ে দেও হে প্রেম তোমারি।।
    । (আমায়) দুঃখ দিলেপেয়ে কষ্টডাকি তোমায় হয়ে তুষ্ট,
    ডাকেতে হয়ে সন্তুষ্টসুখে করাও বাস
    সুখ পেলে মনের এই গতিহরিপদে রয় না মতি,
    দীনা এবার করগে স্তুতিহরি গোসাইর পদে পড়ি।।
     
    রাগিনী - মঞ্জারাসাই
    ৩৩। তাল - ঠুংরী
    বহু যুগ পরে এল দয়াল হরিচাঁন
    হরি এসে ভবেসর্ব্বজীবেরক্ষা কর প্রাণ
    । তুই দেখ ভেবে মনেএ  তিন ভুবনে,
    এমন পরম বান্ধব নাই আরহরি বিনে
    একবার ডাক তারেপ্রেম ভরে,
    তবে পাবি পরিত্রাণ।।
    । রাজা অম্বরিসের ছেলেআয়ু দশ বৎসর ছিল,
    অযুত বৎসর আয়ু পেলহরি নামের বলে
    লয়ে প্রজাগনে প্রাণ - প্রণে,
    করে হরিনাম গান
    । তার এক বৎসর পরেহরি দেখা দেয় তারে,
    যম অধিকার ঘুচে গেলহরির দয়া জোরে
    ঘুচায় কর্ম্ম বন্ধনসেই হরি ধন,
    হরি রাখে ভক্তের প্রান।।
    । যুগে যুগে অবতারকরে জীবেরি উদ্ধার,
    প্রেম-ভক্তি-ধন রসিক যে জনতারে করে পার
    মুখে বলে হরিনাই তার দেরি
    হরি ঘুচায় তার নিদান।।
    । হরি গোসাই কয় এবারমিছে এ সংসার,
    করগে দেহ ভুমি আবাদজ্ঞানে অস্ত্র ধর
    দীনা হরির প্রতিরাখিস মতি,
    হরি করবে প্রেম দান।।
     
    রাগিনী - মনহরাসাই
    ৩৪। তাল - আদ্ধা
    হরি বলে করলি নারে ভক্তি স্তুতি
    অন্তমকালে কি হবে তোর গতি
    হরিনাম পরম ধনচিনলি না মন
    অসার রাজ্যে করলি বসতি।।
    । মনরে হরি তোরে করে দয়ানিদানে দেয় পদ চাড়া,
    যা চাও তাই দেয়তোরে যোগাড় করি
    তুই যার বলেতে হইলি বলি,
    তার কাছে করলি না মিনতি
    । মন'রে রঙ্গের খেলা হলে ভঙ্গচলে যাবে সাঙ্গ পাঙ্গ,
    আপন বলতেকেউ না রবে ভবে
    তুই রঙ্গে ভঙ্গে রলি আনন্দেহরিনামে হল না মতি।।
    । মন রে - গুরু দিল ঘোল আনাব্যাপার থাক হলি দেনা,
    কুহকিনী নিল সকল হরে
    তুই ভুলে রলি সব খুয়ালি,
    দেখ না জ্বেলে জ্ঞানের বাতি।।
    । মন রে - হরি গোসাই  বলে দীনবন্ধুপার হবি তুই ভবসিন্ধু,
    পারের কড়ি রাখলিনা তোর সাথে
    তুই পারের বেলা কাঁদড়ি একেলা
    কেউ হবে না সঙ্গের সাথী।।
     
    রাগিনী- বিরহাসি
    ৩৫। তাল-ঠুংরী
    পাষান মনরে-
    গুরু তোর নিকটে থাকে চোখের আড়ালে
    তোর গুরুর প্রতিনাই রে মতি,
    গতি কি তোর অন্তিম কালে।।
    । গুরুর পদে মন মজায়েথাকরে মন চাতক হয়ে
    যে দিন হবে বর্ষন পাবি দর্শনশান্তিপুরে যাবি চলে।।
    । রিপুর বশে থাকে যে জনধন-প্রান তার করে হরণ
    কাম রূপেতে দিয়ে নয়নকাম নগরে থাকে ভুলে।।
    । যাহার আছে গুরু ভক্তিসে করে গুরুকে ার্থী
    (সদা) জ্বেলে দুট জ্ঞানের বাতিপাহারা দেয় রূপ নেহালে।।
    । গুরু যদি পেতে চাও মনবে-হালের বেশ কর ধারন
    পর অনুরাগের বসনগড়ি দেও ঐ ভক্তি ধূলে।।
    । হরি গোসাই কয় এই বচনদীনবন্ধু করগে সাধন
    তাহলে তোর নাইরে মরনথাকিসনে আর রিপুর দলে।।

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.