শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান, নংঃ ৫১-৭০ - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান, নংঃ ৫১-৭০

     


    গান নংঃ ৫১-৭০

    ৫১ নং তাল - গড়খেমটা
    আমার মন মধুকর হওরে বিভোর প্রেম মধুপানে
    ভক্তি পাখা তোল উড়ে চলপ্রেমমধু আছেরে মন যেখানে।।
    শ্রীগুরু পাদ পদ্ম কাননে,
    গুণ গুণ স্বরে যাও উড়ে মধু যেখানে;
    মত্ত হও প্রেম মধু পানেভুলে আর যাসনে আর যাসনে বিষয় কাননে।।
    গুরু কল্প করুণা ডালে,
    গুরুকৃপা চাকে মনের সুখে রও কুতুহলে;
    এবার সাধুসঙ্গ ফুলে ফুলে মধুপান করবে রাত্রি দিনে।।
    মতুয়া ময়রা রসের দোকানে
    বিরাগ ভরে যাওরে উড়ে আনন্দে মনে,
    প্রেম রসগোল্লা রস পানেশান্তি পাবি সে রস আস্বাদনে।।
    মধুর মর্ম্ম জেনে হীরামন,
    শ্রীগুরু পাদ পদ্ম বনে থাকে অনুক্ষণ;
    দশরথ মৃত্যুঞ্জয় লোচনমধু পান করে প্রফুল্লমনে।।
    গোঁসাই গোলোকচাঁদ সেই মধুর মহাজন,
    দয়াল মহানন্দ ঘরে দুই করছে বিতরণ,
    স্বামী তারকচাঁদের এই আকিঞ্চণঅশ্বিনী মত্ত হও মধুপানে।।
    ৫২ নং তাল - গড়খেমটা
    এবার সুখ হলনা বসত করে নবরত্নের ঘরে
    ঘরে কাল কামিনীদিন রজনী চিন্তানলে দগ্ধ করে।।
    তিন গুরু ঐক্য হয়ে অষ্টাদশ রস মিশায়ে,
    সাধের ঘর গড়াইয়েদিয়াছে ঠিক করে,
    ও তার দুই খুটির পর পাড়েম সারাতিন গুণেতে বন্ধন করে।।
    শ্রীগুরুর অপার কীর্ত্তিমটকার পর দুটো বাতি;
    জ্বলতেছে দিবারাতিজগৎ আলো করে;
    সাড়ে চব্বিশ চন্দ্র বন্দে বন্দেরয়েছে ঘরের ভিতরে।।
    বাম দক্ষিণে রবি সোমক্ষিতি অপ তেজমরুৎ ব্যোম;
    পঞ্চ তত্ত্বে পুরো দোমরেখেছে মন্দিরে;
    ও তার আগম নিগম জানলে পরেআব্রক্ষ্ম ভেদ করতে পারে।।
    শ্রীগুরু যত্ন করেঅমূল্য রত্ম পূরে;
    রেখেছে সাধের ঘরেসাত তালার উপরে;
    এমন অমূল্য ধন থাকতে ঘরেভক্তি রতন কিনলি নারে।।
    ডেকে কয় মহানন্দছেড়ে দে চিত্ত সন্দ;
    অশ্বিনী অজ্ঞানান্ধবলব কি আর তোরে;
    আমার হরিচাঁদ এ ঘরের মালিকদেখলিনা রূপ নেহার করে।।
    ৫৩ নং তাল - গড়খেমটা
    কারণ যুদ্ধ কর ধনুক ধরশ্রীগুরুর সনে
    আপন মন হলে সইসমরে জয়ীহবি মন শঙ্কা কি আছে মনে
    শ্রদ্ধারথে করি আরোহণ,
    ভজন পূজন অশ্ব যুড়ি করতে চল রণ;
    সারথি সাজাও মন পবনমনা ভাই হানা দে গুরুর রণে।।
    অনুরাগে ছাড় হুঙ্কার;
    জয় হরিবোল বলে দাও মনধনুকে টঙ্কার;
    সমরতে হও অগ্রসরসাজায়ে সামর্থ্য সৈন্যগণে।।
    জ্ঞান ধনুকে যুড়ে ভক্তি বান,
    গুরুর প্রতি শীঘ্রগতিকর সু-সন্ধান;
    সমরেতে হয়ে সাবধানভক্তিবান হান গুরুন চরণে।।
    করণ যুদ্ধ করে গোলোকচাঁদ,
    হরিচাঁদকে প্রাপ্ত হল পেতে প্রেমের ফাঁদ;
    তাই স্বহস্তে লিখলেন তারকচাঁদহরিচাঁদ রামরূপ দেখায় হীরামনে।।
    গোঁসাই মহানন্দ করিয়া গর্জ্জন,
    ডেকে বলে অশ্বিনী তুই যুদ্ধের কথা শোন
    যদি গুরু সঙ্গে করিবি রণপলক মারিসনা দুই নয়নে।।
    ৫৪ নং তাল - গড়খেমটা
    ভক্তি রতন না থাকিলেকৃষ্ণ ধন কি মিলে
    ভক্তির বাধ্য ভবারাধ্যনন্দের রাধা রয় গোকুলে।।
    (হায়) ভক্তির গুণে ব্রজঙ্গনাকৃষ্ণ পতি পেলে;
    ভক্তির গুনে রাইচরণে স্বহস্তে দস্তখত দিলে।।
    ভক্তির গুনে প্রহলাদ ভক্তকৃষ্ণ ধনকে পেলে;
    ভক্তির জোরেদীন দয়াময়বিদুরের ক্ষুদ খেয়েছিলেন।।
    ভক্তির গুনে যুদ পতিপাণ্ডব সখা হলে;
    ভক্তির গুণেদীন দয়াময়বিদুরের ক্ষুদ খেয়েছিলেন।।
    ভক্তির গুণে গুহক চণ্ডালরামমিতে হলে;
    ভক্তির গুনে হনুমানরামরূপ দেখে হৃদকমলে।।
    ভক্তির গুণে গোলোকচন্দ্রহরিচাঁদকে পেলে;
    ভক্তি শুন্য দীন দৈন্য অশ্বিনীতুই রইলি ভুলে।।
    ৫৫ নং তাল - যৎ
    তৃণ হতে সুনীচেননৈলে কি প্রেম ঘটে
    কৃষ্ণ প্রেমের নিু গতিউর্দ্ধেতে প্রেম রয় না মোটে।।
    প্রেম পথের কন্টক পঞ্চসাধু শাস্ত্রে রটে;
    জাতি বিদ্যা মহতঞ্চরূপ যৌবনরে বটে।।
    যোগী ঋষি কি সন্ন্যাসীযে প্রেম পায়না মোটে;
    গোপী কপি প্রাপ্ত হলরামে শ্যামে হয়ে নিষ্ঠে।।
    রুহিদাস সেনত গুণেকৃষ্ণ প্রেম তার ঘটে;
    গঙ্গা বলে ডাকলে পরেচর্ম্মকাঠয় গঙ্গা উঠে।।
    কৃষ্ণ প্রেম সিংহ দুগ্ধসুনির্মল মিঠে;
    সুবর্ণ পাত্রেতে রয় প্রেমমেটে পাত্র যায় গো ফেটে।।
    পদ শুন্য প্রেম উদয় হলহরিচাঁদের হাটে;
    সবার ভাগ্যে প্রাপ্ত হলঅশ্বিনীর ঘটল না ঘটে।।
    ৫৬ নং তাল - ঠুংরী
    গুরু নিষ্ঠা নামে রুচি হল কই
    অবোধ মন তোরে কই।।
    (ও মন) যার হয়েছে নামে রুচিমুচি হলে সর্ব্বশুচি;
    নাম বিরুচি ব্রাহ্মণে কুলাবে কই
    যে হয়েছে গুরুনিষ্ঠচন্ডাল হলে সর্ব্বশ্রেষ্ঠভাগবতে প্রমাণ সই।।
    যত্নে গুরু বৈদ্য ধরনামৌষধি সেবন কর,
    কাম কুপথ্য ছাড়রোগ আরোগ্য হই
    করিলে নিষ্কাম পথ্যএ দেহ হবে সামর্থ্যহবিরে মন সর্ব্বজয়ী।।
    সাধুসঙ্গ কর মুষ্ঠিযোগআরোগ্য হবে ভবরোগ;
    আর কত ভুগবি রোগ অবধমন তোরে
    না হয় অনুরাগের তেঁতুল গুলেপান কর মন হরিবলে;
    নব রসের ডাবের জলে মহাভাবের কাঁচি দই
    পান কর মন শ্রদ্ধা করেভব রোগ তোর যাবে সেরে; জানবিনা আর গুরু বই।।
    গোঁসাই তারকচাঁদ কয় হওগে খাঁটিছেড়েদে সব ময়লা মাটি;
    অসৎ পচাল পঁচাপুটি ভব রোগের বৃদ্ধি ঐ
    মহানন্দের ভাগসাগরেডুব দেরে তুই বিরাগ ভরে; অশ্বিনী তোরে সুধাই।।
    ৫৭নং তাল - ঠুংরী
    পতিত পাবনে হবে রণ
    সমরে সাজ মন।।
    (ও মন) তুই পতিতহরি পাবনসম্মুখ যুদ্ধে হানা দে মন,
    মন্ত্রে সাধন না হয় এ দেহ পতন
    তোর পাপ সেনা মদ মত্তনাম অস্ত্রে হবে হত, কামাদি সৈন্য ছয় জন।।
    ভবরঙ্গ মঞ্চ মাঝেকুহকিনীর মায়ায় মজে,
    চল্লিনা মন আপন বুঝে কি কারণ
    তোর তমঃ দেখে দীনবন্ধুসঙ্গে সৈন্য ভক্তবৃন্দরণে এল হরিধন।।
    হরি এল হয়ে বক্রকরে লয়ে দেয়া চক্র;
    কাটবেরে তোর মায়া নক্র করছে পণ
    তোর কুমতি মন্ত্রীর মুন্ডভাঙ্গবে মেরে দয়াদন্ড, হবে না তাহা খন্ডন।।
    তোর হিংসা নিদআর বংশাবলীকেটে দিবে জলাঞ্জলী,
    যার বলে তুই এত বলিবলি শোন
    তোর অজ্ঞান অহঙ্কার বংশসবংশে করিবে ধ্বংশ, এল রসিক হংসগণ।।
    হরিচাঁদের সেনা গোলোকরণে এল হয়ে পুলক;
    হঙ্কারে যার কাঁপে গোলোক বৃন্দাবন
    দয়াল মহানন্দের বাণীশোনরে দুর্ম্মতি অশ্বিনী, এ রনে ভাল মরণ।।
    ৫৮নং তাল - ঠুংরী
    দেহ লঙ্কার শঙ্কা ঘুচাও দয়াময়
    দুর্ম্মতি দুষ্ট দশাননবাঁচি না তার যন্ত্রনায়।।
    শান্তি সীতে অন্বেষণেপাঠাও দাস্য হনুমানে;
    গিয়ে মুক্তি আম্র বনেখেয়ে করুকচূর্ণ তায়,
    প্রেমের আগুন জ্বালাইয়ামায়া মন্দির পোড়াইয়া, করুক লঙ্কা ভষ্মময়।।
    আমার কামরূপ সাগর বন্ধন করিলঙ্কায় যাও রাম ধনুকধারী,
    সাঙ্গোপাঙ্গ সঙ্গে করিএস হরি রসময়
    সে অলস পাপী কুন্তকর্ণস্বহস্তে তায় কর চূর্ন; যার ভারে তাপিত হৃদয়।।
    ব্রহ্ম জ্ঞান ব্রহ্মবাণেদুর্ম্মতিরূপ দশাননে;
    বিনাশ কর জানে প্রাণেতবে অঙ্গ শীতল হয়
    সত্যরূপ লক্ষ্মণে পাঠাওঅজ্ঞান ইন্দ্রজিতে হটাও, সবংশেতে করুক ক্ষয়।।
    মাধূর্য্যরূপ বিভীষণেবসাও হৃদি সিংহাসনে,
    এ বাসনা রাত্র দিনেতবে বাঞ্ছা পূর্ণ হয়
    সে যে চরিত্ররূপে মন্দোদরীকর তারে পাটেশ্বরী, বসুক বিভীষণের বাঁয়
    তারকচাঁদ কয় সন্দ কিরেযে যেমন বাসনা করে,
    বাঞ্ছা পূর্ণ করে তারেহরিচাঁদ মোর দয়াময়
    মহানন্দের চরণ তরীঅশ্বিনী তাই সম্বল করি, ঘুচাও ভব পারের ভয়।।
    ৫৯নং তাল - কাশ্মিরী
    কে কে নিবি আয়নাতোরামধুর হরিনাম
    ঐ দেখ ডাকছে হরি গুণধাম।।
    জীবের বড় ভাগ্য ছিলহরি কল্পতরু এল,
    নাম দিয়া জগৎ মাতাল কেউকে তা না হল বাম;
    সত্য ত্রেতা দ্বাপর গেলযে তত্ত্ব না বিলাইল,
    সেই ধন লয়ে ধরায় এলপুরাতে জীবের মনস্কাম।।
    হরি বলতে আছে কতএ জগতে অগণিত,
    এ নাম নয় সে নামের মতগোপনে ছিলগোলোকধাম।।
    এ নাম নয় সে নামের মতগোপনে ছিলগোলোকধাম।।
    রাধাকৃষ্ণ উভয়াঙ্গমথনে হয় প্রেম তরঙ্গ,
    নাম উৎপত্তি প্রেমের রঙ্গগোলোকে করলেন রাধাশ্যাম।।
    সেই হরিরনাম লয়ে এবারএল হরিশচন্দ্র আমার,
    কলির জীব করিল নিস্তার অশ্বিনী নামে হল বাম
    ৬০নং তাল - কাশ্মিরী
    হরি নাম সিংহ রবেপলায় শমন বাঘ
    দেখে ভক্ত সিংহের প্রেম অনুরাগ।।
    ষড়রিপু পশু ছয় জনছেয়ে তারা হৃদয় কানন,
    ভয় পেয়ে করে পলায়নঘুচল দশ ইন্দ্রিয়ের জাঁক।।
    শুনে মদুর হরিধ্বনিআনন্দে নাচে মেদিনী;
    নাচে গঙ্গা সুরধনী ঘুচল কলির কলুষ দাগ।।
    হরি সিংহ শাবক যারাহু-হুষ্কারে কাঁপায় ধরা;
    কলির রাজত্ব তারাকেড়ে নিল দিল না ভাগ।।
    প্রেম রসেতে মাতায় জগৎ কিবা কাঙ্গাল কিবা মহৎ
    জগতে না থাকবে অসৎসকলে সাধু মহাভাগ।।
    হরিচাঁদ জগতে এলচিত্ত সন্দ ঘুচিয়ে গেল,
    সকলে চৈতন্য হঅশ্বিনী হলনা সজাগ।।
    ৬১নং তাল - গড়খেমটা
    প্রেমের পাগল সাজলিনা মনকিসে মিলবে গুরু বস্তু ধন
    ভবের পাগল সাজিয়ে রৈলিগোলমালে হলি পতন।।
    প্রেম-নগরে উঠছে সাড়াপ্রেমের পাগল যারা যারা,
    প্রেমানন্দে মাতয়ারাডুবু ডুবু দুনয়ন।।
    প্রেম পাগলের এমনি রীতিহৃদয়ে অনুরাগের বাঁতি;
    জ্বলিতেছে দিবারাতিদেখতে পায় যুগলমিলন।।
    প্রেম রসেতে মত্ত হয়েঅষ্টপাশ সে তেয়াগিয়ে;
    আহার নিদ্রা সাইকে দিয়েকরে প্রেম আস্বাদন।।
    প্রেমের পাগল গোলোকচন্দ্রআর মেতেছে মহানন্দ;
    আর এক পাগল তারকচন্দ্রআর পাগল সে হীরামন।।
    মহানন্দের এই মিনতিরব আমরা হরি পতি,
    অশ্বিনী তোর কি দুর্গতিভজলিনা গুরুর চরণ।।
    ৬২নং তাল -রাণেটী
    কররে মন মানুষ বর্ত্ত নিত্য মানুষের সাধনা।।
    অনুমান কায়া শূন্য ছায়ার কেন কর ভাবনা
    গুরুপদে সপে দেওরে মন, (হারে) ঘুচবেরে তোর মনের আঁধার জুড়াবে জীবন
    কর বর্তমানে ভজন পূজনপূরবে তোর মনের বাসনা।।
    রামের ভক্ত চিল হনুমানবনের পশু হয়ে পেল ভজনের সন্ধান।।
    হনু রাম পদে সপে দিয়ে প্রাণ অন্য রূপ চক্ষে হেরে না।।
    ঘুচবেরে তোর দশ ইন্দ্রিয়ের জাঁকগুরু পদে মন মজায়ে বাধ অনুরাগ
    যার লেগেছে সেই প্রেমের দাগনয়ন দেখলে যায় গো চেনা?
    যাগ যজ্ঞ পূজা মন্ত্র ধ্যানভাবটি দিয়া নামটি চেতাও এত কর কেন
    গুরু রূপে মেঘ সাজায়েচাতক হয়ে চেয়ে থাক না।।
    দয়াল মহানন্দ আনন্দ হৃদয়ডেকে বলে অশ্বিনী তোর সময়ে বয়ে যায়
    এবার তারকচাঁদকে করে সহায়গুরুচাঁদের হওগে কেনা।।
    ৬৩নং তাল - রাণেটী
    দয়া করি দয়াল গুরু রেখ আমায় সেবা দাসী
    আমার আর কোন ধন নাই দরদিকি দিয়া করিব খুশী।।
    আমি তব দাসীর যোগ্য নই, (হারে) তবু পোড়া মনে বলে সেবা দাসী হই,
    বুঝালে মন বুঝে বা কইতবু ঐ রূপ ভালবাসি।।
    হৃদ কমলে তোমায় বসামনে বলে নয়ন জলে চরণ ধোয়াব।।
    কেশ দিয়া মোছাইবএই ভাবনা ভাবি বসি।।
    কথায় কথায় বলে অনেক জনভষ্ম ফেলতে ভাঙ্গা কুলা করে প্রয়োজন;
    আমায় দাসী রেখ তেমনি মতনসে যোগ্য নই বাঞ্চা বেশী।।
    তব দয়া গয়াতে যাব কামনা জননী মায়ের শ্রাদ্ধ করিব;
    ভ্রান্ত পিতার নামে ন্ডি দিবহব ও প্রেম তীর্থবাসী।।
    হরি চাঁদের মহিমা অপারতারকচাঁদকে জামিন রেখ অশ্বিনী বর্বর;
    তবে গুরুচাঁদ তাই করবেন স্বীকারমন তুমি যার অভিলাষী
    ৬৪নং তাল 
    হরি নাম বিনে আর বন্ধু নাই ভাই ভবপার যেতে।।
    আমার দয়াল হরি দয়া করি এল জগতে।।
    দেবের দুর্লভ প্রেম ভক্তিলয়ে অগতির গতি;
    সদয় হয়ে জীবের প্রতি এসেছে দিতে।।
    গুরু নিষ্ঠা নামে রুচিএই ধর্ম হয় সর্ব শুচি;
    এবার প্রাপ্ত হয়ে হাড়ি মুচি গিয়াছে মেতে।।
    ন্যাস কুম্ভক কুটিনাটিরেচক পুরক ময়লা মাটি,
    কলিতে নাম যজ্ঞ খাটিসব ধর্ম্ম হতে।।
    যোগীন্যাসী কর্মী জ্ঞানীব্রহ্মচারী পূজক ধ্যানী;
    করে মলাট লয়ে টানা টানিবঞ্চিত প্রেমেতে।।
    দয়াল মহানন্দ বলেকাজ কিরে আর ফলাফলে,
    অশ্বিনী তুই হরি বলেডুবদে প্রেমেতে।।
    ৬৫নং তাল - একতাল
    কেন কর ভাই দ্বেষা দ্বেষীএস সবে করি মেশামেশি
    হয়ে দেল খোলসা গুরু ভরসাহব গুরুর সেবাদাসী।।
    ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্রযোগী ঋষি কি সন্ন্যাসী
    তার কাছেতে সবাই সমানস্বর্গ নরক গয়া কাশী।।
    কেন কর ভাই দলাদলিকোলাকোলি কর আসি।
    ভবে এক পতা বইপিতা আছে কইএক পিতা এই ত্রিলোক বাসী।।
    জাতি বিদ্যা মহতঞ্চরূপ যৌবন সর্ব্বনাশী
    ভবে এই পঞ্চজনভক্তির কন্টকতাদের কেন ভালবাসি।।
    একই ক্ষেত্রে এক বিরজেতেজন্ম নিলাম জগৎবাসী
    রইল এ বড় খেদআত্মবিচ্ছেদকরে হিংসা নীরে ভাসি।।
    ডেকে বলে তারকচন্দ্রধারণ কর তত্ত্বমসি,
    অশ্বিনী তোর কর্ম্ম সূত্রকেটে আমায় কর খুশী।।
    ৬৬নং তাল - গড়খেমটা
    আমাকে ছুসনালো প্রাণ সজনী
    আমার জাত মেরে রেখেছেঘরে হরিচাঁদ গুণমণি
    আমার বাতাস লাগলে তোদের গায়শেষে ঠেকবি বিষম দায়;
    কুলমান যাবে পাছে করবি কি উপায়
    সদায় হরি বলে কাঁদতে হবে গো, সব লোকে বলবে লো কলঙ্কিনী।।
    হরির প্রেম ত সহজ নয়যেমন বিষে উজান ধায়;
    ধিক ধিক করে জ্বলবে হিয়েকরবিরে হায় হায়,
    শেষে প্রোমনলেমরবি জ্বলে গো, পথিক লোকে বলবে গো পাগলিনী।।
    তার বিরহে বএল মরলেম সইমনের দুঃখ কার কাছে বা কই;
    উড়ু উড়ু করলো প্রাণ কিসে ধৈর্য্য রই
    সে যে মন নিল প্রাণ নিল গো, হরিয়া নিল এ নয়ন মণি।।
    আমাতে আমি কি আছিকি করতে কিনা করিতেছি;
    আমার হরিচাঁদের প্রেম সাগরেমদায় ভাসতেছি
    আমি ক্ষনেক হাসি ক্ষনেক কাঁদি গো; প্রবোধ না মানে দিবা রজনী।।
    ডেকে স্বামী মহানন্দ কয়হরিপ্রেম লেগেছে যার গায়;
    সেই সে জানে প্রেমের জ্বালাকেঁদে বুক ভাসায়
    গোঁসাই তারকচন্দ্র ডেকে সুধায় গো, হরি প্রেম নিলিনা দীন অশ্বিনী।।
    ৬৭নং তাল - গড়খেমটা
    আমি কি আমাতে আছি;
    হরিচাঁদের রূপে নয়ন দিয়ে (হারে) ঘরের বাহিরে হয়েছি।।
    আমার মন পোড়া এক রোগ হয়েছে সখি, সেই জ্বালায় জ্বলে মরতেছি।।
    মন পোড়া রোগের রীতি, (হারে) সদয়া জ্বলে বিষের বাতি;
    আমার মন হয়েছে ছন্নমতিকি করতে কিনা করতেছি;
    হয়ে পাগল পারামাতোয়ারাসখি কুলের ভয় ভুলে গিয়াছি।।
    এ বড় কঠিন ব্যারামকিছুতে না হয় গো আরাম,
    কেবল বলি মলেম মরমে মরে রয়েছি
    হরি চিন্তামণি ঔষধ দে গো এনে তবে সই পরাণে বাঁচি।।
    (কেউ যদি বান্ধব থাক গো)
    হরি প্রেম বিচ্ছেদ রোগেআমি বাঁচিনা তার ভাব উদ্বেগে,
    আমার মন লাগেনা ভোগে যোগেযে রোগে রোগী হয়েছি
    আমি ক্ষনেক হাসি ক্ষনেক কাঁদি সখিমন পোড়া বাউরি সেজেছি।।
    লেগে সেই রূপের ছটাআমার খসে পল পঞ্চ কাঁটা,
    জাত কুলের পর দিয়ে বাটাতরঙ্গে সাঁতার খেলতেছি;
    যেদিক ফিরাই আঁছিসেই দিক দেখি সখিহরিময় জগৎ দেখিতেছি।।
    তারক চাঁদ ডেকে বলেস্বামী মহানন্দের সঙ্গ নিলে,
    তার এই দশা ঘটে কপালেস্বচক্ষে কত দেখেছি;
    এবার অশ্বিনী ঐ রোগে মরুক জ্বলেতা হলে আনন্দে নাচি!
    ৬৮নং তাল – ঠুংরী
    রূপ সাগরে যে জন ডুবেছে
    সে যে স্বরূপ রূপে নয়ন দিয়েমনের মানুষ বলে কাঁদতেছে।।
    হয়ে সে রূপের আশ্রিতডুব দিয়ে জনমের মত;
    ও সে হয়ে রূপের অনুগতপ্রেম সাগরে ভাসতেছে।।
    ডুবু ডুবু নয়ন তারাদুনয়নে বহে ধারা;
    ওতার প্রেমে তনু জ্বারা দ্বারামরমে দাগ লেগেছে
    হাই-হুতাশ বাতুলের মতকেঁদে বেড়ায় অবিরত;
    ও সে সমর্পিয়া আত্বস্বার্থসাঁই বলে হাই ছাড়তেছে।।
    হরিচাঁদের প্রেম বাতাসেগোলোকচাঁদ তরঙ্গে ভাসে;
    দয়াল মহানন্দ ঐরূপ রসেপাগল বেশে ঘুরতেছে।।
    ডেকে বলে তারকচন্দ্রঅশ্বিনী তোর যায় না সন্দ;
    ঐ দেখ উদয় হল হরিচন্দ্রজগৎ আলো করছে।।
    ৬৯নং তাল -ঠুংরী
    নিষ্কাম নগরে চল মন
    কেন কামাখ্যা নগরে এসে হারা হলি পরম ধন।।
    নিষ্কাম নগরে যাবিস্বরূপের রূপ দেখতে পাবি;
    প্রেমানন্দে সুখে রবি (মনরে) জুড়াবে তাপিত জীবন।।
    নিষ্কাম রাজ্যের রসিক ময়রাপ্রেম রসেতে মাতোয়ারা;
    প্রেমের দোকান পেতে তারাকরছে বেচা কেনা অনুক্ষণ।।
    নিষ্কাম রাজ্যের এমনি রীতিকাম গন্ধহীন প্রেম পিরীতি,
    জ্বেলে অনুরাগের বাতিতারা দেখতে পায় যুগল মিলন
    নিষ্কাম রাজ্যের রাজা যিনিহরিচাঁদ প্রেম শিরোমণি;
    ভক্তবৃন্দ লয়ে তিনিসদায় করতেছে প্রেম বরিষণ।।
    নিষ্কাম রাজ্যে মহানন্দবিলাইতেছে প্রেমানন্দ,
    অশ্বিনী তুই অজ্ঞানান্ধকরলি না রূপ দরশন।।
    ৭০নং তাল - ঠুংরী
    গুরুচাঁদের তবিল ভেঙ্গে ভাই হলেম অপরাধী
    আমার মত কেউ হওনাএবার ভাল চাওরে যদি।।
    গুরুচাঁদ তাই করছে মানা (হারে) জরিমানা কেউ খেওনাসে আর কুল পাবে না
    অকুলের কুল দিতে হরিউদয় হল ওড়াকান্দি।।
    অবতীর্ণ জীবের জন্যনিহেতু প্রেম দিবার জন্য আপনি হলেন দৈন্য,
    মন বিনা সে চায়না অন্যআমার হরি গুণনিধি।।
    হরিচাঁদের নির্ম্মল করণএকবিন্দু পেয়েছে যে জনসে হয় প্রেম মহাজন
    ও তার সাক্ষী গোলোকচাঁদ হীরামনতারা পার হল বেদ বিধি।।
    গুরুচাঁদের এই ভারতীজ্বেলে অনুরাগের বাতিভজ হরিপতি
    প্রাপ্ত হবে মধুর রতিও তার সুখের নাই অবধি।।
    অশ্বিনী তাই করে হলোখেলতে গিয়ে ভবের খেলা ঘটেছে বিষম জ্বালা
    অর্থ লোভে সাধুর পোলাহল হরিপ্রেম বিরোধী।।

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.