শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.
কে বড়? মাতা না পিতা ? - মতুয়ার বার্তা

শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.

  • Breaking News

    হরিচাঁদ ঠাকুরের দ্বাদশ আজ্ঞা

    ➤ ১. সদা সত্য কথা বলবে। ➤ ২. পিতা-মাতাকে দেবজ্ঞানে ভক্তি করবে।➤ ৩. নারীকে মাতৃজ্ঞান করবে। ➤ ৪. জগতকে ভালোবাসবে।➤ ৫. সকল ধর্মের প্রতি উদার থাকবে। ➤ ৬. জাতিভেদ করবে না। ➤ ৭. হরিমন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। ➤ ৮. প্রত্যহ প্রার্থনা করবে। ➤ ৯. ঈশ্বরে আত্মদান করবে। ➤ ১০. বহিরঙ্গে সাধু সাজবে না। ➤ ১১. ষড়রিপু বশে রাখবে। ➤ ১২. হাতে কাম ও মুখে নাম করবে।

    কে বড়? মাতা না পিতা ?


    দুটি শ্লোক আমাদের খুব দ্বন্দে ফেলে
    ১। ” ভূমে গরীয়সী মাতাঃ ”
    ২। ” পিতাঃ স্বর্গ পিতাঃ ধর্ম পিতা হিঃ পরমনতপঃ
    পিতরি প্রিতিমাপন্ন্যে প্রিয়ন্তে সর্বোঃ দেবতাঃ

    এই দুটি শ্লোক এক সাথে পড়লেই মাথায় সবারই একটা প্রশ্ন ঘোরে
    মাতার স্থান উচ্চে না পিতার? উচ্চে স্থান হবার কারণ কি?
    আজ এটা নিয়েই আলোচনা করি চলুন।

    মাতার স্থান উঁচুতে। শাস্ত্রে বলা হয়েছে পিতার চাইতে মাতার স্থান সহস্র গুন উচ্চে।
    ” সহস্রং তু পিতৃম্মাতা গৌরবেণাতিরিচ্যতে ” (মনুস্মৃতি ২।১৪৫)

    রামচন্দ্র বনবাস গমন কালে মাতার নিকট গিয়ে তাঁর চরণ বন্দনা করে বলেছিলেন ” মাতা আমার বনবাসের আদেশ হয়েছে। ”
    তাঁর মাতা বলেন, ” কেবল পিতা যদি তোমায় এই আদেশ দিয়ে থাকে তবে মাতা শ্রেষ্ঠ জেনে তুনি বনবাস গমন থেকে বিরত হউ। ”
    ” জোঁ কেবল পিতু আয়সু তাতা
    তৌ জনি জাহু জানি বড়ি মাতা ” ( মানস , অযোধ্যা ৫৬।১)

    তিনি আরও বলেন, ” আর যদি তোমার পিতা ও বিমাতা মলে বনবাস আদেশ দিয়ে থাকেন তবে বনবাস তোমার নিকট একশো অযোধ্যার সমান। ”
    ” জো পিতু মাতু কহেউ বন জানা
    তৌ কানন সত অবধ সমানা ” ( মানস , অযোধ্যা ৫৬।২)

    ( মা কৌশল্যা কনিষ্ঠা সতিন কৈকেয়ীকে নিজের চেয়ে অধিক সম্মন দিয়েছেন এটি তাঁর উদারভাব। এর দ্বারা তিনি সকলকে এই সিক্ষাই দিয়েছেন যে, মাতার চাইতে বিমাতাকে অধিক সম্মান প্রদর্শন প্রয়োজন, যাতে পারিবারিক সম্প্রিতি বজায় থাকে।)
    পিতা সন্তানের ভরন পোষণের জন্য সম্পত্তি প্রভৃতি ব্যয় করেন। কিন্তু মাতা নিজ শরীর দ্বারা সন্তান প্রতিপালন করেন। ধন সম্পত্তি হল অভিলাষের ( মমতার ) জিনিষ আর শরীর হল অহমিকার ( অহং- এর ) জিনিষ। অভিলাষের চাইতে আমাদের অহমিকার সম্পর্ক নিকটতম। মমতা- অভিলাষের বস্তু অস্থির, এর হ্রাস বৃদ্ধি হয়। কিন্তু অহং যুক্ত শরীর অপেক্ষাকৃত দীর্ঘস্থায়ী। কাজেই মাতার স্থান উচ্চে এটাই স্বাভাবিক। মাতা সন্তানের জন্য তাঁর যুবা ( যৌবন ) বয়সকাল ক্ষয় করেছেন, বুকের স্তন পান করিয়ে সন্তানকে লালন পালন করেছেন। মাতাকে একাধারে ধাত্রী, নাপিত, ধোপা ও গুরুর কাজও করতে হয়েছে। অধিকন্তু সন্তানের মল-মুত্র পরিষ্কার করে মা মেথরের কাজও করেছেন। এই সমস্ত কাজকে মা বোঝা স্বরূপ না মনে করে স্নেহ-মমতা ও উদ্যমের সঙ্গে কোন রূপ প্রতিদান পাবার আশা ত্যাগ করে করেছেন। সন্তানের অসুখ হলে মাতার শরীর দুর্বল হয়ে পরে। কাজেই সন্তান লালন পালন ক্ষেত্রে মাতার অধিক কে আছে???
    ” মাত্রা সমং নাস্তি শরীরপোষণম্ ”
    এই কারনে মাতার স্থান সকলের ওপরে।
    শাস্ত্রে আরও আছে ” পুত্র যদি সাধু সন্ন্যাসী হয় তবুও সাক্ষাৎমাত্র মাতার চরণ প্রত্যক্ষভাবে দণ্ডবৎ প্রণাম করবে ”
    এমন উচ্চ স্থান আর কার হতে পারে?

    No comments:

    Post a Comment

    শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত

    শ্রীশ্রীহরি-গুরুচাঁদ চরিত্র সুধা

    শ্রীশ্রীহরিসঙ্গীত গান

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদ ঠাকুর শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুুরে আদর্শ তথা মতুয়া দর্শনের মাধ্যমে জীবন গড়ে তুলুন। হরিনাম করুন.